বট কাহিনী
বট কাহিনী
Week-22
বট কাহিনী
মানিক চন্দ্র গোস্বামী
পাশাপাশি বট গাছ, যমজ দু'টি বোন,
এক শিকড়ে বড় হয়ে বানায় তপোবন।
তপোবনের ছায়াতে শীতল রৌদ্র তপ্ত পথিক,
পাখির কূজনে, সুরেলা স্বরে, মেতে ওঠে দশদিক।
শাখায়, পাতায় জড়াজড়ি, ভালোবাসার ধরণ,
হাওয়ার পরশে গাছের শাখে একই ছন্দে দোলন।
রাখাল বালক চড়ায় গরু পাশের বিশাল মাঠে,
ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় অলস দুপুর কাটে।
মধ্যাহ্নের তপ্ত রবি ঢেকেছে পাতার ভীড়ে,
গাছের ছায়ায় ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুম আসে চোখ জুড়ে।
কাকের ঠোঁটে পড়ছে ধরা গাছের বাহারি ফল,
বৃন্তচ্যুত শুকনো ফলে ভরেছে গাছের তল।
রয়ে গেছে স্মৃতি কত প্রেমিকের আবেগ ঘন প্রেমে,
সফল কিংবা ব্যর্থ হলেও অনুরাগ আছে জমে।
গাছতলাটির নীরব স্থানে আঁধার নামে রাতে,
ভয়ঙ্করী রূপের আভাস মানুষের কল্পনাতে।
ভূত, প্রেত, দত্যি-দানোর আঁধারে আসর বসে,
ভয় পেয়ে লোকে মাড়ায় না পথ, ভুতেরা নাকি হাসে।
লোকের মুখে প্রচলিত ভয়াল কাহিনী ঘিরে,
ছেলে, মেয়ে, আবাল বৃদ্ধ, এড়ায় প্রান্তটিরে।
ভোরটি হতেই আবার নতুন প্রাণ ফিরে পায় গাছে,
হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে দোয়েল, ফিঙে নাচে।