বুনো
বুনো
বুনো ফুল নাকি ছন্দে ছন্দে দোলে আনন্দে!
কিন্তু ভুল করে যদি কেউ পা দিয়ে দেয় মাড়িয়ে?
তখন কিন্তু সেও একটু একটু কাঁদে।
অনাদর, অবহেলা আর নির্যাতন,
এর মধ্যে রয়েছে অনেকটাই ফারাক।
ইচ্ছে করে ভুল না করলেও, বোধ হয় ফুলটা চায়,
প্রাকৃতিক নিয়মেই সে শাস্তি পাক।
দেখতে ভালো আর সূর্যের ভালোবাসা পেয়েছে বলে,
বুনো ফুলও একদিন করেছিলো যে অহঙ্কার !
ভুলেছিলো, সূর্য কে সবাই করে নমস্কার,
সকলেরই আছে বাঁচার অধিকার।
ইচ্ছে করে না হলেও, ভুল করে তো হামেশাই,
আমরা করে ফেলি অনেক ভুলই।
এরপর তার মাশুল গুনতে হয় আমাদের ই।
কাল বিকেলে, সন্ধ্যের একটু আগে,
দুচার ফোঁটা বৃষ্টি এলো হঠাৎ চড়বড়িয়ে।
তারে কিছু কাপড় মেলা ছিল বাইরে,
কাপড় তুলতে দৌড়ে বেরিয়ে যাই।
কাপড় যে ঝেড়ে ঝেড়ে তুলতে হয় মনে নেই,
একটা কাঠ পিঁপড়ে চলে আসে কাপড়ের সঙ্গেই।
তার বেয়ে চলাচল তো করে সারাদিনময়,
ঘরে আসতেই বেচারা বোধহয় একটু ঘাবড়ে যায়।
তাড়া হুরো করে নিশ্চয়ই পালাতে যায়,
বাঁ হাতে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছিল যে যায়গায়,
কিছু একটা যেন সুরসুর করে চলে যায়,
ফেলে দিতে ছোটো কোনো পোকা মাকড়,
অথবা ছোটো পিঁপড়ে ভেবে দু আঙ্গুলে ধরতে যাই।
তাতেই যেটুকু সময় ওটা পেয়ে যায়,
বাঁচতে চেয়ে নিয়ম অনুযায়ী কামড়ে দেয়।
ফেলে দিতেই ভাবে, ধরে প্রাণ আসলো বোধহয়,
দিব্যি গুটগুট করে নিজেদের বাড়ি যেতে হাঁটা দেয়।
কে জানে মান্দাইলটা ওর সাতকামড়ি নাম রাখতে,
কটা কামড় যে এবার দিয়েছিলো।
এ যেন আমার করোনা ভ্যাকসিনের,
তৃতীয় ডোজ নেওয়া হলো।
কাল ব্যাথার সাথে হাতটা ফুলে ঢোল হয়েছিলো।
আজকেও আছে কিছুটা ব্যাথা,
কি জানি কতটা বিষ যে ঢেলেছিলো !
সুন্দর দেখে রূপে ভুলে গেলে কি করে আর চলবে ?
শুধু ফুল, বেড়াল, মোষ বা হাতি বুনো নয়,
পিঁপড়েরাও বুনো হয়, সে কথা কে অস্বীকার করবে !