প্রকাশক
প্রকাশক
কি আর করি শরৎবাবু, তুমি আগেই গেছো চলে,
তা নাহলে হয়তো তোমায় বলতাম কিছু কথা খুলে।
তারপর তাতে জল বা দুধ কিছু মিশিয়ে,
লিখতে পারতে গল্প বা উপন্যাস আমায় নিয়ে।
তবে হ্যাঁ, ঐসব অভাগী, কাঙালী এসব নাম দিওনা,
অত দুঃখের নাম কিন্তু আমার একটুও পছন্দ না।
বিজয়া,অনুপমা,রাজলক্ষী,অনুরাধা,নলিনী নয় মন্দ,
চঞ্চলা আমি, অচলা হয়েও থাকতে পারবো না।
বিভার মতোই আছে মনের জোর, চাই একটা গৃহ,
চরিত্রটি গড়বে দিয়ে বড়দিদির বিন্দু বিন্দু স্নেহ।
হেমাঙ্গিনী, দীগম্বরী, কাদম্বিনী এসব নাম চলবেনা,
এমন সেকেলে নাম দিলে কিন্তু গল্প কেউ পড়বেনা।
হোক না ছোটো গল্প তাতে কি! গল্পের শিরোনাম,
আর চরিত্রদের নাম, পাঠকের পছন্দ হওয়া জরুরী।
আর ঝাঁ চকচকে মলাট চাই, এখানেও আছে চাতুরী!
শুধু তাই নয়, বই প্রকাশের রয়েছে নানা প্রতিষ্ঠান।
তারাই বই ছেপে বের করবে, বাড়বে তোমার মান।
দায়িত্ব নিয়ে পাবলিশ করবে আই.এস.বি.এন. দিয়ে,
তুমি ঘুরে বেড়াতে পারো গায়ে হাওয়া লাগিয়ে।
আমাজনেও সাজিয়ে রাখবে তোমার বই,
শুধু প্রথমে তোমায় হাজার কয়েক খরচ করতে হবে,
আর তোমার কোনোরকমের কোনও চিন্তাই নেই।
আমার কথা না যদি করো বিশ্বাস, ওহে শরৎবাবু !
গুগুল সার্চ করে খালি তোমার ঠিকানা দিয়ে দেখো,
ওদের ফোনের ঠেলায় হয়ে পড়বে একদম কাবু।
আগেকার গরুর গাড়ির যুগ আর নেই,
জাহাজ নয়, চলছে লোকে দেশে-বিদেশে বিমানেই।
মুদীর দোকান হোক বা প্রকাশক, এমন নেটওয়ার্ক!
সব মিলে যায় এই স্মার্ট ফোনের অনলাইনেই।