জীবন বিজ্ঞানের স্যার
জীবন বিজ্ঞানের স্যার
আজ জীবনের অপরাহ্নে এসে খুব মনে পড়ে জীবন বিজ্ঞানের স্যার রেবতীবাবুর কথা। আমরা যখন পড়তাম, দেখেছি স্যার কোনো দিন কোনো ছাত্রকেই মারেননি। পড়ানোর ধরনটাই ছিল ভিন্ন রকমের। কোনো দিন বই খুলতেন না।স্যার ক্লাসে এলে আমরা বই এগিয়ে দিতাম।ফেরৎ দিতেন না। নিয়ে টেবিলে রেখে দিতেন। তারপর শুরু করতেন পড়ানো। জীবন বিজ্ঞান বইটা স্যারের কবিতার মতো মুখস্থ। আজকে যেখানে পড়া শেষ করেছেন কালকে ঠিক তারপর থেকেই শুরু করতেন।কোনোদিন জিজ্ঞাসা করতেন না কতদূর পড়ানো হয়েছে। সারা বছর প্রত্যেকটা ক্লাস মন দিয়ে শুনলে কোচিংয়ের প্রয়োজন হতো না। বই ছোঁয়ারও দরকার হতো না।পাশ নাম্বার অনায়াসেই উঠে যেত। আমরা যখন স্কুল শেষ করে বেরিয়ে আসি স্যার তখন অবসর নেবার কাছাকাছি সময়ে চলে এসেছেন। দু-এক বছরের মধ্যেই অবসর নেবেন। তারপর বহুদিন গড়িয়ে গেছে।যোগাযোগও আর নেই স্যারের সঙ্গে। কর্মজীবনে প্রবেশ করে ব্যস্ত হয়ে গেছি। তবুও আজও বারবার মানসপটে ভেসে ওঠে স্যারের সেইদিনকার পড়ানোর ছন্দ।