আমার শিক্ষকেরা
আমার শিক্ষকেরা
আমার শিক্ষকেরা
আজ শিক্ষক দিন। এই বিশেষ মেঘেনা পাওয়া সকল শিক্ষককে আমার প্রমম। এব অনেক ছাত্র, প্রাথমিক শিক্ষক অবশ্যই মা, বরং গর্হশিক, স্কুলশিক্ষক, শিক্ষক, সেতারের শিক্ষক। এই সব ছাত্রদের কত সুখস্মৃতি দলের সাথে আছে।
মেন কাছে প্রাথমিক শিক্ষার পর গৃহশিক্ষক যাঁকে পেয়েছিলেন, তিনি মনে করেন প্রায়, সকাল আসতে আর দাদুর শিক্ষার সময় রোজই ইস্টিটা পড়ুন। আমার ভ্রমণ সহ্য না। তার দাদুর অনেকের সঙ্গে দাদু অনেক কিছু সক্রিয় করতে। আমি আর দিদি যেতাম দাদুর সাথে কিন্তু এই নতুন মাস্তারমশাইয়ের জন্য ভোট না। গত বছর আর নাস্তা নাক, দাদুর যুদ্ধ করছে মস আওয়াজ পেয়েই মাস্তারকে বলে, "মাস্তার মই, নাক সুসুড়, নাকটা ঝেড়ে আসব?" তারপরই দাদুর সাথে হাওয়া। দিদি বেচারি একা মাষ্টার মশাইয়ের খপ্পরে। আমার বছর চারেক পুরানো হয়েছে সন্দেহ।
তারপর একজন মাস্তার মশাই এলেন, বৃদ্ধ।তিনি পাড়ার অনেক ছেলেমেয়েদের পড়ুন, খুব সুনাম। আমাদের স্কুলে থাকতে হবে, তাই ওনার ডাকল। নিজেকে তৈরি করে স্কুলে গঠন করতে গিয়েছিলেন। তিনি বাংলা নিয়মানুবর্তিতা শিখিয়েছিলেন যা আমার মজ্জায় হয়েছে। পড়ার পদ্ধতি শিখেছি তাই আমি আমার জীবন উপকৃত হচ্ছে। স্কুলের রুটিন অনুযায়ী পড়তে শিখতে হবে, কালকের রুটিনে যা থাকবে সেই মত ফার্স্ট পিরিয়ডের আগে পড়ুন, সেইভাবে উল্টে বইটি রাখতে হবে। এইভাবে পর পর প্রার্থী পিরিয়ড পাঠ করতে হবে সবার ওপর থেকে ফার্স্ট পিরিয়ডের বই বার করে পড়ুন। তারপর পরপর। একবার পাঠ ভুল হয়েছিল, মনে আছে, থাপ্পড় কষিয়েছিলেন, আঙুলের দাগ পাঁচই পাঁচ। আর জ্বলে পুড়ে মরে যাওয়ার সময়, কচি দেহে। অনেক সময়ই, তারপরেই আমি জানতে পারছিলাম যাতে আর বিশিক্কা না হয়, হয়। আমরা তিনবোন সাধারণ পড়তাম ওনার কাছে। কান ধরে এক পা দাঁড় করিয়ে দিতে। অবশ্যই আমার কোনো দিন পাওনা। আমি ওনার কথা মত পড়াতে ফরোয়ার্ড আধঘণ্টা আগে সব ঠিক করে রাখতাম। বেদবিও করতাম, "মাস্তার মশাই পেটে ব্যথা করছে", চেষ্টা আলোচনা। ভাবতাম ছেড়ে দিয়ে, তা নয় বললেন"দিক দিয়ে ওদিক দিয়ে আয়, সে যাবে"। আমাদের বাড়িটাতে উঠোন, উপরে চার দিয়ে দালান, তার পিছনে পিছনে ঘর। বাড়িটা বেশ বড়ই ছিল। আমি দৌড়ে রান্নাঘরে খুলুন, রাঁধুনি বানের কাছে তখনকার কড়কচ নুন চাইলাম, দু'ফোঁটা তেল, ব্যাস আচার তৈরি করুন। তিনি বলেন, সে বমি হবে, আরে দূর হবে, এত সুন্দর আচার হল, চাটতে হবে একদিক চাদিক চাদিক দিয়ে গিয়ে হাজির, মাষ্টার মশাইয়ের কথামত পেট ব্যথা সেরে যাবার কথা, নারে যাবে।
স্কুলের কথা, কেজিতে আমার ক্লাসটিচার ছিল মেরি অঞ্জলিদি। তাঁর কাছে আমার আবদার ছিল, আমার চারটে নাম ধরে ডাকতে হবে, তবে প্রেজেন্ট প্লিজ বল, স্কুলের নাম মানসী, মামাবাড়ি দেওয়া বেবী, ঠাকুমার দেওয়া নাম সরস্বতী, আর বাবা দেওয়া আদরের নাম বুলকা৷ তা রাজ্য সরকার শুধু মানসী ব্যানার্জী বলে ডাকায়, গুট করে সোজা জোরে ওনার পেটে এক ঘুষি। ছোট ছোট গোলগাল মানুষ ছিলেন। রাগ নয়, বকুনি নয়, আদর করে কোলে লিখেছিলেন। আর মা মোটা কাজল পড়তে দিতে বলতে বলতে, "তোদের বাড়ি আর কাজ নেই?
ক্লাস থ্রীতে যখন পড়ি আমার ছোট
ভাই জন্মায়। আরতিদি বলেছিলেন, "তোর ভাই আমি নিয়ে নেবো"। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে বালিশ ভিজে গেছে, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে ভাইকে নিয়ে গেছে। কত সুন্দর সম্পর্ক তখন ছাত্র ও ছাত্রদের মধ্যে।
বড় হওয়াও শিক্ষিকার কাছেই পছন্দের সেরা সেরা। ক্লাসে এই একবার জ্বলে পুলিশে স্কুলে যেতে পারি, ক্লাস টিচার ইংলিশ পড়াতেন, কিচ্ছু পড়ুন ঠিক করতে, চুপ করে ক্লাসে বলছিলেন। আমি স্কুল কামাই করতাম না, ঝড়, জল, শিলা বৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য না কেন। আরো অনেক সুখস্মৃতি আছে। আমাকে তুলনা করে অন্য মেয়েদের যখন শিক্ষিকারা বলতে, খুব কষ্ট করত, বন্ধুদের দিকে তাকাতে পারতাম না।
ক্লাস নাইন নতুন গৃহশিক্ষক এলেন, ইংরাজি, বাংলা পড়ুন। খুব ভালোবাসতেন, দেখাতেও ভালোবাসতেন, একগাদা চপ অর্থনীতি আনতেন প্রায়ই, কলকাতায় থিয়েটার নিয়ে যেতে। ওনার নানা ছিল নিজে কিছু রান্নাবান্না করে। দিদি পছন্দ তো ঢ্যাড়শের ঝাল, বোন আলুরদম। খুব খুশি হতে আমি কোনোদিন কিছু করতাম না। কথা বলতাম, "আমি কোনোদিন রান্না করব না"। জোরে বলেছেন, "মেয়ে হয়ে জন্মেছি, কোনোদিন রান্নাঘরে পড়তে হয় পড়ুন, বুড় মাস্তার বজায় থাকবে না, নিয়ন্ত্রণ কথাটা"। আমি বলতে বলতে, "হোটেল থেকে বেরিয়ে সম্পর্কে বোঝানো"। ঠিক তাই, যখনই রান্নাঘরে পছন্দ ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়, খুব মনে পড়ে মাস্তারমশাইয়ের কথা।
আমার আরও কিছু শিক্ষকের সঙ্গে হৃদয়তা হয়েছিল। তারপর যখন ল'থাকে মুক্তি, সব টিচার খুব খুব ঘনিতা ছিল তখন টিচারদের সাথে। আরও সেতার শিখতাম যখন, বাড়ি খুব আসতে আসতে বাবা বন্ধু, ভালবেসে যত্ন করে শেখান। পরে একটি স্কুলের মাধ্যমে সঙ্গীত বিশারের সর্বদা যখন সেখানেও শিক্ষিকা ও তবলা টিচারের কাছে পছন্দের গান।
পরে কাটিং শিখেছি, সেখানেও শিক্ষকার প্রিয় পাত্রী তিনমাসে তিন বছরের কথা কম্পিউটার কম্পিউটার করে বলে। ফিড প্রিজারভেশনের রাজনীতি যখন, আমার আগ্রহ ও ভোট নিষ্ঠার সাথে খুব ভালো হওয়া। যা শিখতাম, বাড়ি ফেরত রাত্তির স্থান, আড়াইটে ব্যক্তি পর্যন্ত পরদিন নিয়ে গিয়ে হাজির করতাম। ৯৬% মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কম্পিটিশনে প্রজাস, লেমন স্কোয়াশ, পিয়ার জেলী, ম্যাঙ্গো পিকলতে। সেই আমি আমাকে নিয়ে কিছু না করা তারাও খুব আশা করছিল। ওখানে আমরা আমাদের কর্তৃপক্ষের হিসাবে নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু সরকারী সংস্থা, তাই এমপ্লয়মেন্ট এক্সেঞ্জের প্রয়োজন ছিল কিন্তু বাবা চাকরী করতে না বলে কার্ড করি, তাই আমাকেও থাকতে পারেন। আমার এক্সচেঞ্জের কার্ড নাওয়া ওনারা খুব অবাক হয়েছিলেন।
বাস্তবে যখন যা কিছু শিখেছি, খুব অধ্যবসায় সহকারে আর তাই সর্বোত্তম ভালকোলবল যা আমার ফলার পাথেয়। আমার পরিপাটি মানুষ খুশি হতেন।
আর সব বৈধ ২০০ টেক্সল ডিজাইনিং বিবেচনায় যখন, রাত ৩, ৩.৩০অবধি সদস্য বাসার কাজ, ফেব্রিকের কাজ আমি আবার ভোর পাঁচটা ছেলেমেয়েকে খুঁজে বসাতাম। যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মূল্যবোধ শ্রেষ্ঠ। এই পাওয়াটুকু আমার কাছে বড় পাওয়া। এর জন্য শরীরকে তুচ্ছ জ্ঞান করে আমি কিছুতেই নেশার ঘোরে। তার ফলেই আজ শরীরটা বিগড়েছে। এখনও এই যা মনে হয় মনে হয়, এই নিয়ে বেশ কিছু পিছিয়ে পড়েছি, চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এরজন্য আমার শিক্ষকের কাছে আমি পাঠাই। আমি আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে, আজও করছি।