অক্ষরে মুক্তি
অক্ষরে মুক্তি
নিয়মমাফিক একটা ঠোঁট খুঁজি রোজ|
প্রেমিকের নয়, কোটিপতি কোনো ব্যক্তির নয়|
এমন একটা ঠোঁট; যেখানে লেখা আছে কালের ঠিকানা|
উপড়ে তুলে আনবো কয়েকটা অক্ষর,
প্রত্নতাত্ত্বিক ডাকবো, ঐতিহাসিকরা আসবেন|
বিস্তর আলাপ আলোচনা হবে...
বৈঠক হবে মুহুর্মুহু;
সভা সমিতি জন্ম নেবে , খুঁজবে সবাই অক্ষরের অর্থ|
অকৃতকার্য হবার উৎসবে সবাই সুস্থ সুন্দর হয়ে উঠবে ক্রমশ;
চিকিৎসা মুলতুবি করে হায়ারোগ্লিফ লিপি নিয়ে বেদম অট্টহাস্য হবে,
ফেটে পড়বে পৃথিবী|
তারপর, সমস্তরকম নিয়ম, উনুনের গনগনে আঁচে বিসর্জন দিয়ে
ঈশ্বরের বর্ণপরিচয় নিয়ে বসবো সকলে|
খানিকক্ষণ স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণ কচলে নেবার পর যখন উঠে দাঁড়াব
দেখবো পাখিটা বসে আছে বাঁ কাঁধে, ওর ঠোঁটে লেগে আছে মুক্তির অক্ষর ॥