ভাগ্য লক্ষ্মী
ভাগ্য লক্ষ্মী
আলোর রসনাইয়ে উচ্ছ্বাসিত সারা ভুবন ,
কিন্তু মনটা আমার আজও এত ব্যাকুল ,
কাজল পড়া চোখ ভাসছে অশ্রু জলে ,
তবুও মুখের কোনায় এক চিলতে হাসি নিয়ে,
এলো চুলে নতুন শাড়ি পড়ে
জানলার অধর প্রান্তে তাকিয়ে থাকি ,
ধূপ ধুনোর গন্ধে প্রাণটা জুড়িয়ে গেল ,
তবুও কিন্তু ঢাক ঢোলের সুরেলা আওয়াজ
আমার কাছে বেমানান লাগছে ।
মন বলছে তুমি আসবে !
তার অটুট বিশ্বাস তুমি যেন রেখো ,
সন্ধ্যে নেমে এলো,
মা কাকিমারা মোমবাতি প্রদীপ নিয়ে বেরিয়ে পড়লে উঠোনে ,
আমাকে বললে !
আমি বলি যাব না ভাল লাগছে না এখন,
কিন্তু যারা এসেছে তারা কি শুনবে আমার কথা ।
তারা আমার বন্ধুরা যারা আমার কথা এমনকি তোমার কথাও জানে !
তারা এসে হাত ধরে টানাটানি করে নিয়ে গেল আমায় উঠোনে ,
শুনলো না আমার কোন বারন মানলো না আমার কোন কথা ,
রং মশালের প্রস্ফুটিত আলো আর ফুলজুরির ঝকমকি আলোতে চোখ ধাঁধিয়ে গেল কিন্তু মনটা এখনো কাঁদছে তোমার জন্য,
তারা এলো আবার চলেও গেল রাত আটটা বাজে এখন !
আমার মন তবুও বলছে তুমি আসবে ।
হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজ এ
চোখ তুলে তাকালাম ,
আমার মনের কথা তুমি মেনেছো তাহলে ,
আমি দৌড়ে গিয়ে তোমার সামনে দাঁড়ালাম
বলে উঠলাম , কেমন আছো তুমি ?
তুমি তার উত্তরে বললে ভালো নেই
আমি জাহ্নবী !
আমি বললাম কেন কি হয়েছে তোমার !
তুমি বলে আমি তোমায় ছাড়া কি ভালো থাকতে পারি !
আমি মুচকি হেসে বললাম ,
হ্যাঁ , জানি তো!
কিন্তু আমার অনেক অভিমান ও আছে,
তুমি জিজ্ঞেস করলে কিসের অভিমান?
আমি বললাম, তুমি যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে একবারের জন্য দেখা করে গেলে না,
আমি তোমার পথ চেয়ে বসে ছিলাম ,
জানিনা কতক্ষণ
পাড়ার বিল্টু যখন আমাকে এসে ডাকল বলল যে
অনেক রাত হয়েছে দিদি বাড়ি চলো ,
তখন বুঝতে পারলাম তুমি আর আসবেনা
পাড়ি দিয়েছো সাত সমুদ্রের পাড়ে,
কিন্তু তবুও মনটাট খুব বলছিল তুমি আবার আসবে,
হ্যাঁ, জাহ্নবী আমি ফিরে এসেছি
তোমার কাছে ফিরে এসেছি, তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছি, নিয়ে যেতে এসেছি,
কিন্তু কোথায় ?
কেন আমরা বিয়ে করবো !
আমি অবাক হলাম,
আমরা সত্যিই বিয়ে করবো উজান !
হ্যাঁ ,আজ এই শুভদিনে তোমার সিঁথি রাঙিয়ে দেবো,
উজান আর জাহ্নবীর বিয়ে হয়ে গেল,
তাহলে কি ভাগ্যলক্ষ্মীর চাকা
সত্যিই ঘুরে গেল ওদের প্রেমের জন্য ।