গোলোক ধাঁধা
গোলোক ধাঁধা
আমাকে যে হাড়ে হাড়ে, মজ্জ্বায় গেছো চিনে,
হতে পারি একটু লাজুক, কিন্তু মোটেও নই মিনমিনে।
চট করে রেগে যাই, যা নয় তাই বলে ফেলি,
পরে অনুশোচনায় ভুগি, ক্ষমা চেয়ে কেঁদে ফেলি।
খুব ভালো করেই জানো তো, চোখের জলের খবর !
রাগ, কষ্ট সবেতেই এক, ওটাই যে আমার দূর্বলতা।
তাই তো তোমার একটু রাগ বা অভিমান হলেই ___
হুমকি দাও দিকশূণ্যপুরে চলে যাবে আমায় ছেড়েই,
কি করে যে আসে তোমার মুখে এসব কথা!
কথাটা বলে ফেলেই তুমি তো খালাস,
বিছানায় শুয়েও চোখে আসেনা ঘুম আমার,
শুধুই করি যে আমি এপাশ ওপাশ।
ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুম আর যত টুকরো কথা,
জগঝম্প নৃত্য করে এই মাথায় অযথা।
সুগার আর একটু প্রেশার নিয়েও খুশিতে আছি,
তুমি ভালো থাকলে তবে বুঝি, যে বেঁচে আছি।
ইনসমনিয়া রোগটাও কি আমায় ধরাবে!
দেখতে পাই যে আমি অনিদ্রার করাল গ্রাস।
আজকাল চোখের জলে বালিশ ভেজালেও মুশকিল,
দু চোখের পাতা ফুলে হয়ে যায় ঢোল,
শুধু তাই নয়, পাঁচ ছয় দিন ধরে, তার রেশ চলে,
চোখের ধারের স্কিন হয়েছে যে বেশ দূর্বল।
তারপর ঠ্যালা সামলাতে উজার,
নাইট ক্রিম আর ময়েশ্চারাইজার।
মুখে বলো তুমি নাকি বরফের মতোই শীতল,
সামান্য কথাতেই তবে মেজাজটি কেন টলমল?
ভাবছি তোমার ঐ হুমকি কে আর ভয় করবোনা,
যাবে আমাকে ছেড়ে ! তোমায় আমি বাঁধবোনা।
যেখানেই যাও, দাঁড়িয়ে আমি তোমার সব পথেই,
পৃথিবীর সব পথই যে আসলে গোলক ধাঁধা!
জানি তো, ঘুরে ফিরে নিজে থেকেই পড়বে বাঁধা।
বেড়েছে তো আমারও বহু গুণ কনফিডেন্স !
আমায় যখন ভালোবেসেছো, এই টুকুই বেশ।
যেখানেই যাও, সঙ্গে না নিলেও থাকবো সাথেই,
তোমার মাঝেই আমি করি বাস, ভেবে মরি মিছেই।