কলুর বলদ
কলুর বলদ
যতোই বলিনা কেন আমার জীবনে ওর নো এন্ট্রি,
কথা শুনতেই চায় না, বড় বেহায়া এই একঘেয়ে টা।
আমার বাপু অতো দয়া মায়া নেই,
প্রয়োজনে দিই ঘাড় ধাক্কা, ইচ্ছে হয় লিখে রাখি
কপালে, "আমি হইতে সাবধান"।
আমি কি কলুর বলদ? চোখে কি বাঁধা আমার ঠুলি?
ইচ্ছে মতো চোখ বন্ধ করে যদি গান শুনে দুলি,
সেটা তো আলাদা কথা, পাখিদের সাথেও কথা বলি।
জানালা খুলে যদি আকাশ দেখি, কে দেয় বাধা?
মাঠ, ঘাট, পশু, পাখি দেখলেও কোনো আপত্তি নেই।
বেশ ভালো লাগে একটু ঘুরে বেড়ালেই।
তাছাড়াও আছে তো নানান কাজ, রান্না বান্না,
সেলাই, লেখা-পড়া, গাছেদের যত্ন করা, নেট ঘাটা,
আরো কত কিই যে কাটুম কুটুম!
সত্যি কথা বলতে কি সময়ের বড্ড অভাব !
তবুও একটু ফাঁক পেলেই ঢুকে পড়ে ঐ একঘেয়েটা,
ভালো কথায় কাজ না হলে দিতেই হয় চড় চাপড় টা।
তাতে ও কাঁদুক, গড়াগড়ি যাক, কিছুতেই ভুলিনা,
আমার এই প্রাণটা খুব নিষ্ঠুর কি না আমি জানি না।
শুধু এটুকু জানি, আমার জীবনকে আমি কিছুতেই,
কক্ষনো একঘেয়ে হতে দেবোনা।
তার জন্য যদি আমাকে করতে হয় কঠোর পরিশ্রম ,
আমি তাতেও সবসময় রাজি।
এক ই কাজ অনেকক্ষণ ধরে করতে হলে মানুষের
বিরক্তি আসাটাই স্বাভাবিক, জানে ঐ পাজি।
বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ে ঠিক ঐ সময়টায়।
তাই বিভিন্ন রকম কাজ ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় করা চাই,
প্রয়োজনে পরিস্থিতি পাল্টে নিতে হয় তাই।
ঘুমোতে যদিও ভালোবাসি খুউব তবুও
খুব বেশিক্ষণ ঘুমোতে একঘেয়ে লাগে বলেই তো,
ভোরেই আমার ঘুম ভেঙে যায়।
ভোরের পাখিদের কল - কাকলি শুনতে পাই।
তাই শেষমেষ ঐ একঘেয়ে টাকেও ধন্যবাদ জানাই।