পঁচিশে বৈশাখ
পঁচিশে বৈশাখ
গ্রামে গ্রামে এখন ধান বোনার রব
সেজেছে আকাশ কৃষ্ণচূড়ায়, নদী বর্ষার আশায়,
কাঁচা আমে গাছ ভারী, হঠাৎ বিকেলে কালবৈশাখী,
বাড়ির লোকের ব্যস্ত দৌড়াদৌড়ি।
আপনমনে মেয়েটি তখন ঘরের কোণে নাচে।
'হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে'
তোমার সাথে পঁচিশে বৈশাখ এই তার পরিচয়
কবি আজ ও একই ভাবে মনের মাঝে রয়।
রেললাইনের ধারে ঝুপড়িতে-
গুটিসুটি মেরে ভাই দিদির পাশে,
সন্ধেতে, মত্ত বাবা মায়ের ওপর চড়াও-
প্রতিদিনের মতো মা যখন গুমরে কাঁদে;
'এক পা কাছে আসিস যদি আর'
ছেলে পাশে বসে, মুখস্থ করা চলে তার।
তোমার সাথে পঁচিশে বৈশাখ এই তার পরিচয়
কবি আজ ও একই ভাবে মনের মাঝে রয়।
শহরের বড় স্কুলে ইংরেজীর সাথে বিদেশীভাষা,
ঝাঁ চকচকে আবাসনে অনেক আয়োজন;
নৃত্যনাট্য এবার নতুন আঙ্গিকে,
বিভিন্ন সুরে এবার বেশ হয়েছে ফিউসন,
একলা মা মেয়েকে তৈরী করে তেমনি
'আমি চিন্ত্রাঙ্গদা রাজনন্দিনী'
তোমার সাথে পঁচিশে বৈশাখ এই তার পরিচয়
কবি আজ ও একই ভাবে মনের মাঝে রয়।
বিদেশপাড়ি অনেকদিন, কবি সেই একই ভাবে পাশে।
ঝোড়ো হাওয়া আর ঠান্ডায় কালো ঘনিয়ে আসে
স্মৃতি জড়িয়ে বিদেশে যেন আরো জমজমাট
বাংলা ভাষায় যারা, সবাই একসাথে আঁট।
সেই 'পুরানো সে দিনের কথা, সেকি ভোলা যায়'।
তোমার সাথে পঁচিশে বৈশাখ এই তার পরিচয়
কবি আজ ও একই ভাবে মনের মাঝে রয়।
যুগ ছাড়িয়ে একইভাবে তোমার সাথে চলা,
আকাশে বাতাসে তুমি পঁচিশে বৈশাখ
মনে মনে কবির কথা বলা।
আজ স্তব্ধ যখন পৃথিবী;নীরব যখন ঈশ্বর,
তোমার কথায় বুক বেঁধেছি,তোমার মন্ত্রে স্থির।
"চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির'।