রাগে - অনুরাগে
রাগে - অনুরাগে
কবিতা: রাগে- অনুরাগে
স্ট্রিট লাইটের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোককণা,
রাঙিয়েছিল আমার মেঠো মন।
আকণ্ঠ পবিত্রতায় ডুবে,
ছুঁয়ে ছিলাম তোমার অদৃশ্য হৃদয়।
কেমন যেন তারকাটা বিদ্যুৎ খেলেছিল,
গোলাপি হাতের তালু বলয়। ভাঙ্গাচোরা
ফুটপাথে, খয়ে আসা বুটের সুকতলা খসে পড়ে।
আমি তখনই তোমার পাশে।
সদ্য বৃষ্টিস্নাত আলোর শহরের খন্দে,
আমার কাঁধের ব্যাগটা ডুবুডুবু।
আর আমি! তোমাতে।
ভাবেছিলেম ইতঃস্ততা তোমাকে গ্রাস করবে,
আর ভেটকি মাছের সুমিষ্ট ঘ্রাণে জিভে জল আনা
মুখে রুমাল চাপা দিয়ে লম্বা লম্বা পা ফেলে
পাসকাটিয়ে অদূরের দোকান থেকে কিনবে,
ডিমের ডেভিল আর ফিসফ্রাই। আড়চোখে হয়তো দেখবে, আমি তখনো ভূপতিত না জুতো ফেলে হাঁটা শুরু করেছি।
তুমি তখন ষোড়শী কন্যা, লাবণ্য যেখানে মাদকতা ছড়ায় সেখানেই ছিল দুটি সুকোমল হাত। হাত বাড়িয়েছিলে।
আমি নির্লজ্জ পথ কাটা বিড়ালের ন্যায় উঠে দাঁড়িয়ে মিউমিউ করতে করতে একগাল কৃষ্ণের ন্যায় ভুবন মোহিনী হাসি হেসে ফেললাম। সেই শুরু।
খ্রিস্টমাস ট্রির গোড়ায় দাঁড়িয়ে শুভ্র রুমালে লেপে ছিলে কলঙ্কের দাগ কাদা। বললে, পরিষ্কার হয়ে যায় মাটি চিন্তা নেই। ধমকে দিয়ে বলেছিলে,দেখে হাঁটতে পারো না! সেই পথ চলা।
ক্ষুধা ধরানো চাইনিজ খাবারের মম গন্ধে,,, আমি তখন পকেট হাতড়ে খুচরো খুঁজি। এত বসন্তের শেষে , সেই বসন্ত ছিল রঙিন রঙিন বাড়ির সুসজ্জিত ফুলবাগানের ন্যায়।
দেখা, রোজ দেখা, কথা, মান-অভিমান সব কিছুর সাক্ষী থেকেছে, মনোবিতানের দুই ময়না। অভিমানের শেষ বাঁশি আমিই বাজিয়ে ছিলাম। আর তুমি সেদিন বন্ধন খুলে দিয়েছিলে। আমি তাই আজ বাঁধন হারা।