সোনার একতারা
সোনার একতারা
এখন আমি আর তোমার দেওয়া জুতোগুলো পরিনা,
এখন আমি পরি সোনার জুতো।
আসলে জীবনের রাস্তাটা এত বদলে গেছে,
এই নতুন রাস্তায় এত কাঁটা ছড়াতে হয়েছে,
যে তোমার দেওয়া জুতোগুলো আর সামলাতে পারবে না।
ওই জুতোগুলো মেঘের রাজ্যের জন্য,
শুষ্ক বাস্তবের জন্য নয়।
এখন আর তোমার দেওয়া কলমে লিখি না,
এখন আমি লিখি সোনার কলমে।
আসলে জীবনের এই নতুন ডায়রির কাগজ এতো রুক্ষ,
এত ক্ষতবিক্ষত জীবনের কথামালা,
যে তোমার দেওয়া কলমে লেখাই পড়বে না।
ওই কলম প্রেমপত্র লেখার জন্য,
জীবনখাতার হিসেবের জন্য নয়।
এখন আর তোমার দেওয়া চশমাটা পরিনা,
এখন আমি পরি সোনার চশমা।
আসলে জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি এত পাল্টে গেছে,
এতো মৃত্যুজড়িত রক্তিম সেই দৃশ্য।
যে তোমার দেওয়া চশমায় কিছু দেখতেই পাবো না,
ওই চশমায় আনন্দময় মানুষ দেখা যায়,
লোভী, হিংস্র, অহঙ্কারীদের নয়।
তবু,
যখন বৃষ্টি পড়ে, গাছের পাতা সবুজ হয়,
আর চারিদিক ভরে ওঠে ফুলের গন্ধে,
তখন জানলার কাছে বসে আমি একতারা বাজাই,
তোমার দেওয়া একতারা।
তোমার দেওয়া গান বাজাই আমি।
সব অভ্যাস পাল্টে ফেলেছি
পায়ে ফোস্কা পরে যায় তাও,
কব্জি ব্যাথা করে তাও,
আস্তে আস্তে অন্ধ হয়ে যাচ্ছি তাও....
কিন্তু এই অভ্যাসটা পাল্টাইনি।
পাল্টানোর কথা ভেবেছিলাম
কিন্তু সোনার তারে তো সুর লাগে না।