জোনাক সভ্যতা / নীলম সামন্ত
জোনাক সভ্যতা / নীলম সামন্ত
পাহাড়ের ওপর ঘর গড়ব৷ নীল রঙের৷ গেটের ওপর অপরাজিতায় লেখা থাকবে জোনাক সভ্যতা। ঘরের ভিতর ওক কাঠের দোলনা আর দুটো শীতল পাটি। তোমার জন্য একটা পড়ার টেবিল আর চাঁদ আঁকা ল্যাম্পপোস্ট৷
আমাদের বৃক্ষ না হতে পারা সময় গুলো তুলে এনে চাঁদোয়া টানব উত্তর দক্ষিনে৷ তোমার সুচারু আঙুলে জড়িয়ে দেব অতিলৌকিক বটঝুড়ি৷
তুমি কি হেসে উঠবে? নাকি হাত ধরে লাট্টু পাকে ঘুরে নেবে এক পৃথিবী?
হাসতেই পারো৷ হাসলে তোমায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস মনে হয়৷ যার ওপর সিঁড়ি রেখে পৌঁছে যাবো সূর্যোদয়ের উপত্যকায় ৷ কড়িবরগায় লিখে রাখব নতুন অক্ষরের আলাপন।
শীতকাল এলে তোমার ওভারকোটের গায়ে অ্যাক্রেলিক রঙে ফুটিয়ে দেব মৌরিফুল৷ ফায়ারপ্লেসের সামনে মোমবাতির আলোয় প্রথমবার পাতা ওল্টাবো উপহারে পাওয়া লাল মলাটের গীতাঞ্জলির।
শীত তোমার প্রিয় কাল।
শীত ঘরে ঢুকে পড়লে দেখি তুমি ভালো থাকো। দরজায় দরজায় আলো জ্বালাও। মহাকাশ থেকে তুলে আনো পাঁচকোণের তারা। সকালে ঘুম ভাঙার পর যখন খবরের কাগজে ডুব দিয়ে হারিয়ে যাবে টাটকা গন্ধরাজের ভিড়ে; আমি, হাসি মুখে এগিয়ে দেব গত সন্ধ্যের আগুন কিংবা ভোরের জমাট বাঁধা বরফ।
তুমি কি এখনও হাসছ? নাকি প্রহর গুনতে থাকা শালপাতায় নুনের পাশে থেকে তুলে নিচ্ছ গৌরীশৃঙ্গ?