Manasi Ganguli

Romance Others

4  

Manasi Ganguli

Romance Others

শুভ পরিণয়

শুভ পরিণয়

7 mins
436



    কুচবিহারের মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে অরুণিমা। দু'চোখে স্বপ্ন অনেক। নিজের পায়ে দাঁড়াবার তার বড় সাধ। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হবার ফলে মনের অনেক চাহিদাই তার অপূর্ণ থেকে যায়। সেসব মনের মাঝেই গুমড়ে মরেছে, কখনও বাবা-মাকে জানতে দেয়নি তাঁরা কষ্ট পাবেন বলে। তাই মনে মনে তার স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করবে বড় হয়ে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে। নিজের চাহিদা সে নিজেই পূর্ণ করবে। দেখেছে মাকে, পুজোর সময় জামাকাপড় কিনতে গিয়ে সবার জন্য কেনাকাটা করে নিজের জন্য কমদামী একটা শাড়ী কিনে পছন্দের দামী শাড়ীটা দেখে, হাত বুলিয়ে রেখে দিয়ে বাড়ী ফিরতে। দেখেছে বাবাকে, একটা স্কুটার থাকা সত্ত্বেও বাবা সাইকেলে করে স্টেশনে যেতেন, বাজারে যেতেন, কেবল তাকে বা মাকে নিয়ে বেরতে হলেই স্কুটার বার করতেন। অরুণিমার একদম ভাল লাগতো না। তার অনেক বন্ধুদের মত আরো সচ্ছলভাবে থাকতে মন চাইত যদিও বুঝত বাবার পক্ষে তা সম্ভব নয়। মনের ইচ্ছে মনেই চাপতে শিখে গেছে ও ছোট থেকেই, আর তখন থেকেই ও মনে মনে স্থির করে রেখেছে বড় হয়ে টাকা রোজগার করবেই ও। তাই বাংলা অনার্স পাশ করে, বি.এড করে নেয় স্কুলে চাকরী করবে বলে। স্কুলে চাকরী পাওয়াও তো আর মুখের কথা নয় কিন্তু ওর অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে সবটাই সহজ হয়ে গেছে। টেট কোয়ালিফাই করে অরুণিমা স্কুলে চাকরী পেল যদিও বীরঝরা অঞ্চলে প্রত্যন্ত গ্রামে। ও তাতেই খুশি। আটদিন বাদে ওকে জয়েন করতে হবে। ও তাই চলল দেখতে জায়গাটা কেমন, কোথায় থাকা যায় ইত্যাদি। কাউকে আর বিরক্ত করেনি। একাই চলল বাসে চেপে।

   বাস থেকে নেমেই অরুণিমা দেখে মেঘ করেছে বেজায় কালো করে। গ্রামে চারিদিক ফাঁকা, আকাশের এমন কৃষ্ণরূপ শহরে কখনও পড়েনি চোখে এমনভাবে। অরুণিমার খুব ভাল লাগছে। সে এই রূপের রস আহরণ করছে যতটা পারা যায়। চারিদিকে সবুজের সমারোহ আর আকাশ জুড়ে কালো মেঘের খেলা,দিনকে করেছে রাতের আঁধারে আচ্ছন্ন। দেখতে দেখতে হারিয়ে যায় অরুণিমা আপন মনে। কোনোদিকে তার খেয়াল নেই। সম্বিত ফেরে যখন একফোঁটা একফোঁটা বৃষ্টি এসে গায়ে ছুঁয়ে দেয়। ও তাড়াতাড়ি পা চালায়। কিন্তু সামনে যে একেবারে ফাঁকা, ধূ ধূ প্রান্তর। বৃষ্টি বুঝি এবার এলো জোরে। এরপর অঝোরে। দূর থেকে বৃষ্টির জলে ঝাপসা দেখা যায় যেন একটা ছোট্ট বাড়ী, কিন্তু সেই অবধি পৌঁছাতে অরুণিমা ভিজে হাপুসুটি। তবুও সেই বাড়ীর খোলা বারান্দায় উঠে দাঁড়ায়, বাইরে অঝোরে বৃষ্টি, এলোমেলো হাওয়া,ছাঁট আসছে, তাতে আরো ভিজে যাচ্ছে ও। ভিজে কাপড়ে,হাওয়ায় অরুণিমার শীত শীত করছে। নাক সুড়সুড় করে ক'টা হাঁচি, তারপরই ঘরের দরজা খুলে যায়।

  এক ভদ্রলোক দরজা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করেন, "কে আপনি?" তারপর একনজর দেখেই বলেন, "ইস একদম ভিজে গেছেন, ভিতরে আসুন"। অরুণিমা ইতস্ততঃ করে এভাবে ভেজা কাপড়ে ঘরের ভিতর যেতে। বলে, "না না ঠিক আছে। বৃষ্টি থামলেই আমি বেরিয়ে যাবো" যদিও বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণই নেই। তখন যদি অরুণিমা জানত যে ওর আর কোনোদিনই এখান থেকে বেরনো হবে না! ভদ্রলোক বলেন, "দেখুন যদিও আমি একা থাকি এখানে তবে আমার কাছে কিছু শাড়ী জামা আছে যদি চেঞ্জ করতে আপত্তি না থাকে তাহলে ভিতরে এসে চেঞ্জ করে অপেক্ষা করুন বৃষ্টি থামা অবধি। আমার দিক থেকে কোনো অসুবিধা নেই, ভয়েরও কোনো কারণ নেই। আপনি আমাকে প্রকৃত মানুষ ভাবতে পারেন।" অরুণিমার মাঝেমাঝেই হাঁচি হচ্ছে, চুল দিয়ে শাড়ী দিয়ে টপটপ করে জল পড়েই যাচ্ছে, এতটাই ভিজে গেছে। অগত্যা উপায় নেই, বাধ্য হয়েই ভিতরে আসে। ভদ্রলোক আলমারি থেকে শাড়ী জামা বার করে দেবার সময় অরুণিমা দেখে আলমারি ভর্তি শাড়ী। ভাবে ওনার স্ত্রী বোধহয় কোথাও গেছেন। যাই হোক, কোনো প্রশ্ন না করে শাড়ী নিয়ে বাথরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে ঘরে আসে।ভদ্রলোকের এগিয়ে দেওয়া তোয়ালেতে মাথা মুছে, চুল খুলে চেয়ারে এসে বসে।


দু'জনে মুখোমুখি চুপচাপ। ভদ্রলোক মানে সুজয়বাবুই প্রথম নীরবতা ভঙ্গ করেন। অরুণিমার কাছে জানতে চান তার পরিচয়, ওখানে যাবার কারণ ইত্যাদি। এইভাবে আস্তে আস্তে আলাপ জমে উঠছে যখন অরুণিমা আবার হাঁচতে শুরু করে। সুজয় 'আসছি' বলে কিচেনে গিয়ে আদা দিয়ে দু'কাপ চা করে আনে। বাইরে অঝোর ধারে ঝরছে বারিধার, থামার লক্ষণ তো নেইই, উত্তরোত্তর বাড়ছে, আর তার সঙ্গে ঝড়। বিদ্যুতের আলোয় দেখা যাচ্ছে গাছগুলো যেন মাটিতে শুয়ে পড়তে চাইছে। ও চিন্তায় পড়ে যায়, কী করে ওখান থেকে বেরবে। যে কাজে এসেছিল, সে কাজ তো হবেই না, উপরন্তু একা একজন ভদ্রলোক বাড়ীতে, দ্বিতীয় কেউ নেই, সন্ধ্যে হয়ে গেছে, কিভাবে কী করবে, অরুণিমা রীতিমতো অস্বস্তিতে। সুজয় অবশ্য বারেবারে আশ্বাস দিয়ে বলছিল চিন্তা না করতে। কিন্তু চিন্তা তো আরো বাড়ীর জন্য, মোবাইলে টাওয়ার নেই, কোনভাবেই বাড়ীতে যোগাযোগ করতে পারছে না। বাবা-মা অস্থির হয়ে জেগেই রাতটা কাটাবে হয়তো। সুজয় নিজের মোবাইল দিয়ে চেষ্টা করতে বলে কিন্তু তাতেও যোগাযোগ করা গেলো না। অতঃপর ফোনের আশা ছেড়ে দু'জনেই মোবাইল সুইচ অফ করে দিল। বাইরে প্রচুর বাজ, বিদ্যুতের ঝলকানি, মোবাইল অন রাখা রিস্কি। আলাপচারীতায় মন দিল অরুণিমা।


    সুজয় ওখানেরই বয়েজ স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক। "আগে স্কুলের কাছে একটা বাড়ীতে ভাড়া থাকতাম। পরে এই জমিটুকু কিনে এক কামরার এই বাড়ীটা বানিয়েছিলাম। লোকালিটি থেকে একটু দূরে থাকতে চেয়েছিল আমার স্ত্রী, গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করবে বলে", বলল সে। আসার সময় আশপাশে কোনো বাড়ীও তাই চোখে পড়েনি অরুণিমার। "স্কুলে চাকরীর জন্যই বাড়ীটা করা, নাহলে কলকাতায় আমার বড় বাড়ী আছে। সেখানে বাবা-মা, দাদা-বৌদি থাকেন।"


    কথায় কথায় রাত বাড়ছে। সুজয় বলে, "আজ আর ফেরার আশা ছেড়ে দিন। এখানেই থাকতে হবে মনে হচ্ছে।" যদিও এই গ্রামে আলো আছে, এই বিপর্যয়ে তাও গেছে, রাতের মধ্যে আসবে বলে তো মনে হয় না। হ্যারিকেন সম্বল। আর হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না,খাবার ব্যবস্থা করতে হবে", বলে সুজয়। এইরকম এক দুর্যোগে দুটো অচেনা মানুষ কত সহজে তাড়াতাড়ি কাছে এসে যায় তা অরুণিমা ও সুজয়ের কথাবার্তাতেই বোঝা যায়। কিছু সময় কাটাবার পর দু'জনেরই মনে হয় যেন কতদিনের চেনা।


ওদের কথাবার্তা হচ্ছিল মূলত স্কুল নিয়ে। সিলেবাসের কথা, স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড, ছাত্রদের কথা সুজয় বলেই চলেছে। অরুণিমার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। সবে তো জয়েন করবে বলেই এসেছে ব্যবস্থা করতে। ভাবে, ভালই হল একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়ে।


   সুজয় কিচেনে যায়, পিছন পিছন অরুণিমাও। যদিও সুজয় ওকে বারবার বারণ করেছিল,"আপনি ঘরে বসুন, আমার অভ্যেস আছে রান্না করার", কিন্তু একটা মেয়ের পক্ষে কি হাত গুটিয়ে বসে থাকা সম্ভব? বরং বলে,"আপনি আমায় দেখিয়ে দিন কোথায় কী আছে, রান্নাটা আমিই করে ফেলি। একটু আধটু পারি।" সুজয় বলে,"ঠিক আছে, মিলিজুলি, দু'জনে মিলেই হয়ে যাক তবে খিচুড়ী আর ডিমভাজা।" অরুণিমার বেশ লাগে, মনে হয় এ যেন পিকনিক। মন্দ লাগছে না। পিঁয়াজ কাটতে কাটতে কান্নাকাটি, চোখ মুছতে গিয়ে তাকাতেই ওর চোখ পড়ে সুজয়ের দিকে, একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে। চোখ পড়তেই তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে সুজয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে চাল ডাল বার করতে।


   এভাবেই দু'জনে মিলে রান্নার পর্ব শেষ হল।অরুণিমার কিন্তু বেশ ক'বার চোখে পড়ল সুজয় ওর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে। বুকের ভেতরটা শিরশির করে উঠল, যদিও সুজয়কে খুবই ভদ্র সভ্য বলে মনে হচ্ছে তবু 'পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস নেই', ভাবে অরুণিমা। এরপর খাওয়ার পর্ব। হ্যারিকেনের আলোয় হাসি-গল্পে খাওয়াও সমাধা হল। আর বউয়ের শাড়ী পরণে অরুণিমাকে দেখে সুজয়ের বারবার রত্নার কথা মনে পড়ছে। একবছর পার হয়েছে সবে, হঠাৎই তিনদিনের জ্বরে রত্না ওকে ছেড়ে চলে যায় কিছু বুঝে ওঠার আগেই। অবশ্য অরুণিমাকে সুজয় এসব কথার কিছুই বলেনি।


    রাত বাড়ছে। এবার শোবার পালা। ঘুমও এসেছে। অরুণিমাও লম্বা লম্বা হাই তুলছে। সুজয় অরুণিমাকে ঘরে খাটে শুয়ে পড়তে বলে আর ও ডাইনিংএ বিছানা পেতে শুয়ে পড়বে। একা ঘরে অন্ধকার দুর্যোগের রাতে অরুণিমার ভয়ভয়ও করছে। অবশেষে ঠিক হয় অরুণিমা খাটে ও সুজয় মাটিতে শুয়ে পড়বে। শোবার সঙ্গে সঙ্গেই দু'জনে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ঘুম ভাঙ্গল যখন অনেক বেলা হয়ে গেছে। বাইরে রোদ ঝলমল। ঘুম ভাঙ্গল দুধওয়ালার দরজা ধাক্কানোয়। সুজয় দরজা খুলতেই ঘরে অরুণিমাকে দেখতে পায় দুধওয়ালা। অবাক চোখে দেখে। দুধ দিয়ে বেরবার সময় বারে বারে পিছন ফিরে তাকাতে তাকাতে যায়।


   কিছু পরেই গ্রামের একগাদা মানুষজন নিয়ে দুধওয়ালা হাজির। সবাই খুব উত্তেজিত। ওরা হতবাক। ভিড়ের মধ্যে থেকে টুকরো টুকরো ভেসে আসা কথায় সুজয় বুঝতে পারে, রাতে অরুণিমা আর সুজয়ের একঘরে কাটানোয় গ্রামের মানুষ এত উত্তেজিত। তারা কোনো কথা বুঝতেই চায় না, শুনতেই চায় না। প্রত্যন্ত গ্রাম, অশিক্ষার অন্ধকারে মানুষ গোঁড়ামিতে৷ সুজয়কে মাষ্টার মশাই বলে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে কিন্তু এ ব্যাপারে তারা সবাই একমত যে সুজয়কে তারা একঘরে করবে। অরুণিমাও ওখানে থেকে চাকরী করতে গেলে তারও একই অবস্থা হবে। অনেক খেটেখুটে, কষ্ট করে এই চাকরীটা পেয়েছে অরুণিমা। ওর কান্না পেয়ে যায়।


    গ্রামের মানুষ, গ্রামের কিছু গণ্যমান্য মানুষকে নিয়ে এলে তারা বিধান দেন দু'জনের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হোক। সুজয়েরও স্ত্রী নেই আর অরুণিমাও অবিবাহিতা। আপত্তিই বা কিসের। ওদিকে বাড়ীতেও কোনোভাবেই যোগাযোগ করা গেল না। নতমস্তকে দু'জনকে মেনে নিতে হল। এছাড়া গত্যন্তর নেই।


  অবশ্য দু'জনকে মানিয়েছেও বেশ। দিনের বেলাতেই স্থানীয় কালীবাড়ীতে নিয়ে গিয়ে সিঁদুর পড়িয়ে ওখানকার পুরোহিত বিয়ের মন্ত্র পড়ে চারহাত এক করে দিলেন। অরুণিমা যে কাজে এসেছিল, এবার সেটার খোঁজখবর নিতে গেল, সঙ্গে সুজয়ও। অরুণিমা অবশ্য থাকার জায়গা দেখতে এসেছিল যার আর কোনো প্রয়োজন নেই। কেবল স্কুলে গিয়ে একবার দেখা করে এলো। 


    এবার অরুণিমাকে বাড়ী ফিরতে হয়,সঙ্গে সুজয়। বাবা-মা প্রথমে ওদের দেখে হাঁ হয়ে গেলেন। মা তো কোনো কথা না শুনেই ঘরে গিয়ে কাঁদতে বসলেন। মেয়ে তাঁকে এভাবে ঠকালো? মিথ্যে বলে বাড়ী থেকে গেলো? কারো কোনো কথা শুনতেই চান না। একমাত্র মেয়ে, কত সাধ ছিল তাঁদের। বাবা তাঁকে শান্ত করলেন। অরুণিমাও মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো, "তোমায় ঠকাইনি মা, আমি তোমাদের তেমন মেয়ে না"। এবার মা একটু শান্ত হলেন তারপর দু'জনে সব শুনলেন, জানলেন। সুজয়কে ভাল করে দেখলেন মা এতক্ষণে। সুজয়কে তাঁদের পছন্দও হল। কিন্তু মেয়ের বিয়েতে কোনো অনুষ্ঠান হবে না, তাই কি হয়? ওনারা তড়িঘড়ি সব ব্যবস্থা করতে লাগলেন। তার ফাঁকে সুজয় অরুণিমার বাবা-মার অনুমতি নিয়ে ওকে নিয়ে কলকাতায় তার বাড়ী এল। বাবা-মা মহাখুশি, সুজয় যে আবার বিয়ে করেছে তাতেই তাঁরা খুশি। সুজয়ের একাকীত্ব তার বাবা-মাকে বড় পীড়া দিত। দ্বিতীয়বার বিয়ে বলে সুজয় বাবা-মার কথায় কোনো অনুষ্ঠানে রাজী হয়নি।

    অরুণিমার বাবা-মা ফোনেই সুজয়ের বাবা-মাকে আন্তরিক ভাবে নিমন্ত্রণ জানান। দুই বাড়ীর আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে ঘটা করে উৎসব হল। অরুণিমা -সুজয় কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে আনন্দের সঙ্গে সংসার শুরু করল। পাশাপাশি দু'জনের স্কুল। একই সঙ্গে স্কুলে যাওয়া-আসা। সুজয় নতুন করে জীবনকে আবিষ্কার করল আর অরুণিমার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হল।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance