সাইলেন্ট কল
সাইলেন্ট কল
শুকনো হাড়ের ভিতর গান ভরে নিতে ভবিষ্যৎ থেকে ছুটি নিয়েছেন লালন সাঁই।
আখরোট এর ভিতরে অসীমের সাথে আমিও থাকব - গাছেরা সিকোয়েন্স থেকে কেন্দ্র খসিয়ে নিয়ে বৃত্ত আঁকার ছলে উপন্যাসের শেষ লাইনে নৌকাডুবির অজস্র কারণ লিখে গেছে।
সমুদ্রের বীচে বালি আর লালকাঁকড়ার লুকোচুরি নিয়ে কয়েকবার গোলটেবিল, মৌচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
যতবার তোমার স্নান দেখতে গেছি, ততবারই নক্ষত্রেরা অন্দ হয়েছে। আমাকে বাঁচিয়ে নিতে নিতে জেনেছি বন্ধুদের এখন ভিডিও কলে শৈশবে ফিরতে হয়।
নৌকা ডুববে, পাখির ডানায় ফাটল আর হরিণীর খোঁপায় খামচে ধরার জন্য নকল ঠোঁট-
কতভাবে আমরা ভেবেছি-আত্মহত্যা মহাপাপ-অথচ প্রতিটি মিররে রোজ রাতে কঙ্কালের স্তন থেকে দুইয়ে আনি বিয়োনো ধানের বলিরেখা।
গান গেয়ে গেয়ে জীবন্মৃত তক্তপোষে ঢেকে রাখি প্রেমের পাসপোর্ট।
এইসব পঙক্তিমালা থেকে স্মার্ট এটিটিউড সরিয়ে নিলে তোমার ছোটবেলার হিরো হিরালাল বন্ধুর হাতে একের পর এক বিবাহ বিচ্ছেদের ফর্মুলা এক্সিকিউটেড হয়।
তার জন্য কোথাও একটি বাঁশি রাখতে হবে-তাই এই সাইলেন্ট কল।