অন্য বৈশাখ
অন্য বৈশাখ
"হাতের মানতাসাটা দ্যাখ, এইবার নববর্ষে ও দিলো। সুন্দর না?" ঈষৎ গর্বমিশ্রিত সুরে কথাটা বলে মিত্রা।
মিষ্টি হেসে নদী বলে,"খুব সুন্দর। বেশ মানিয়েছে তোকে।"
চিরকাল বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে থাকা নদীরও বেশ নজর কেড়েছে মানতাসাটা। ডিজাইনটা বেশ সুন্দর।
মিষ্টির প্লেটটা নদীর দিকে এগিয়ে দেয় মিত্রা।
"এই এত মিষ্টি খাবো না।" নদী মাথা ঝাকিয়ে বলে।
"আরে খেয়ে নে, কত বছর পর আমার বাড়িতে এলি বলতো?" মিত্রা জোড় করে নদীর মুখে অল্প মিষ্টি কেটে ঢুকিয়ে দেয়।
"সেই কবে বোলপুরে শিফ্ট করে গেলি। কি যে ব্যাবসা বাণিজ্য করে বেড়াস, কলকাতার কথা কি একবারও মনে পড়ে না?" মিত্রা অনুযোগের সুরে কথাটা বলে।
নদী বলে, "মনে পড়ে বলেই তো তোর কাছে এলাম। খুব মিস করছিলাম রে তোকে। তবে কি বলতো, ওখানে থাকতে এখন বেশ ভালো লাগে। কতজন মিলে কাজ করি, সেলটাও ভালোই চলছে।
আসলে বাবা চলে যাওয়ার পর বিজনেসটাই একমাত্র ভরসা ছিল। তখন চাকরির কোচিং নেবো নাকি সংসারটাকে সামলাবো?
যেদিন বইয়ের থেকে মুখ বের করে প্রথম বাস্তবের দিকে তাকালাম সেদিন খুব অসহায় লাগছিল জানিস? কিন্তু ধীরে ধীরে সবটা ঠিক হয়ে গেল।"
"এখন যেন কিসের বিজনেস তোর?" মিত্রা ভ্রু দুটো কুঁচকে জিজ্ঞেস করে।
"টেরাকোটার গয়নার। প্রথম আইডিয়াটা অনুভবই দিয়েছিল রে। ওই তো বললো শান্তিনিকেতনে নাকি এসবের খুব ডিমান্ড। কথাটা সত্যি, সোনাঝুড়ির হাটে পুরো লোক উপচে পড়ে এসব কিনতে। তাছাড়া সারা বছর তো টুরিস্টদের আনাগোনা লেগেই থাকে।"
"ভাবা যায়? আমাদের স্কলার নদী কিনা শেষে হাটে বসে পোড়ামাটির গয়না বেচছে! এর চেয়ে ভাই তুই বিয়ে করলেই পারতি।"
মজার ছলে কথাটা বললেও নদীর কানে কেমন যেন বিদ্রুপের সুর বেজে ওঠে।
আসলে এটা নদীর বেশ দুর্বল একটা জায়গা। পড়াশোনা করে চাকরি করার খুব ইচ্ছে ছিল নদীর। কিন্তু বাবার একটা স্ট্রোক আর সব শেষ!
তখন এই ব্যবসাটাই তো বাঁচিয়েছিল ওকে। দিনে দিনে যেন বিজনেসটার প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে ওর। একটা আলাদা জোড় দেয় এটা ওকে, বারবার মনে করিয়ে দেয় কোনো বিপদ হলে ওর পাশে আর কেউ থাক না থাক বিজনেসটা তো আছে।
কতগুলো মেয়ে এখন ওর বিজনেসের সাথে যুক্ত। বোলপুরেই বেশ কয়েকটা আউটলেট খুলেছে। মেয়েগুলোরও বেশ সাহায্য হয়।
পৌষমেলায় 'নদী দিদির স্টল' তো পুরো বাঁধা।
ওদের এলাকার সবাই এই নামেই দোকানটাকে চেনে। নদী দিদির দোকান।
না, এখন আর চাকরি না পাওয়ার জন্য রিগ্ৰেট করে না নদী।
বিজনেসে একটা আলাদা মজা আছে, অনেকে মিলে পরিবারের মতন মিলেমিশে কাজ করে।
ভাবনার স্রোতে হারিয়েই গিয়েছিল নদী।
হঠাৎ মিত্রা সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলে, "কি রে, কি ভাবছিস?"
"না, কিছু না।" একটু আনমনা লাগে নদীর গলার আওয়াজটা।
মিত্রা আমার বলে, "এবার বিয়েটা করেই ফেল একটা ভালো ছেলে দেখে। দেখবি, এরকম উপহার রোজ পাবি।"
বলেই সোনার মানতাসাটা আরেকবার নদীর চোখের সামনে তুলে ধরে মিত্রা।
নদীর মনে পড়ে যায় গত বছর ধনতেরাসে মাকে নিজের টাকায় একজোড়া কানপাশা গড়িয়ে দিয়েছিল ও।
মায়ের অনেক বছরের শখ ছিল।
আগেরবার বিক্রিটা একটু বেশি হওয়ায় সবার আগে এই ইচ্ছেটা পূরণ করেছিল নদী।
গিফট পায়নি, নিজের টাকায় কিনেছে। সম্পূর্ণ নিজের টাকায়।
মুখে এত কিছু বলেনা নদী।
শুধু অল্প হেসে বলে, "আসলে অনুভবের মায়ের শরীরটা তেমন একটা ভালো যাচ্ছে না। নাহলে এই মাসেই আশীর্বাদটা হয়ে যেত।"
"এই এক সেকেন্ড এক সেকেন্ড।" মিত্রা থামিয়ে দেয় নদীকে।
"অনুভবের সাথে আশীর্বাদ মানেটা কি?"
লাজুক হেসে নদী বলে, "ও তুই জানিস না? আসলে অনুভবের সাথে বেশ কয়েকটা বছর ধরেই একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ছেলেটা খুব ভালো জানিস? আমাকে খুব সম্মান করে, বোঝে।"
"রাখ তো তোর সম্মান। ওই অনুভব মাস গেলে কটা টাকা রোজগার করে? আর ওর মা না ক্যানসারের পেশেন্ট। ওই হাজার দশেক টাকা তো মাইনে, মায়ের চিকিৎসায় বোধহয় তার বেশিই ব্যায় হয়। দেখ গিয়ে কত জায়গায় ধারদেনা করে রেখেছে। এমন একটা পরিবারে বিয়ে করবি তুই?"
"এমন ভাবে বলিস না মিত্রা। ও ধারদেনা কিছুই করেনি। আর মায়ের শরীর খারাপ, খরচা করবে না?"
"সেই, ধারদেনা না করে ওই রোগের চিকিৎসা করাচ্ছে। পারিসও বটে তুই।
এই দাঁড়া দাঁড়া। আচ্ছা, তুই কোনোভাবে ওর মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে বসে নেই তো?"
মিত্রার কথায় মুখটা নামিয়ে নিয়ে নদী বলে, "দায়িত্ব কেন নেবো? তবে যৎসামান্য কিছু দেওয়াটা তো আমার কর্তব্য বল?"
"ওই তো, ওই কারণেই এখন অনুভব তোকে বিয়ে করার ধান্দায় আছে। মায়ের চিকিৎসার খরচাটা বিনামূল্যে হয়ে যাবে।
শোন, বিয়ে করবি এমন একজনকে যে তোর দায়িত্ব নেবে। তুই মেয়ে, তোর এত দায়ভার মাথায় বইবার তো কোনো কারণ দেখি না।
অবশ্য আমি কাকেই বা বোঝাচ্ছি। তুই তো বিয়ের আগে থেকেই দায়িত্ব নিয়ে রেখেছিস।"
এতক্ষণ শান্ত থাকলেও মিত্রার এই কথাটা একটু গায়ে লেগে যায় নদীর।
উত্তর না দিয়ে পারে না ও।
"মিত্রা, দায়িত্ব আমি একা নিইনি। বাবা মারা যাওয়ার পর অনুভবই কিন্তু এই বিজনেসের আইডিয়াটা আমায় দেয়। জানিস, মায়ের শরীর খারাপের সময় ও কি ভীষন ভাবে আমার পাশে ছিল। নাহলে সবকিছু আমি একা হাতে সামলে উঠতেই পারতাম না।
আর দায়িত্ব কেন শুধু ও পালন করবে বলতো? সংসারটা আমরা দুজনে করবো, দুজনের পাশে তো দুজনকে থাকতে হবে। ওর মা আমার মা কি আলাদা?"
"সে তোর বড় বড় কথা। এই আমাকে দেখ। বিয়ে করার সময় একদম দুরবিন দিয়ে খুঁজে বেস্ট লাইফ পার্টনার চুজ করেছি।
গয়নার বিশাল দুটো শোরুম আছে। সোনা হীরের ছড়াছড়ি। টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই।
আর আমাকে তো ঘরে কুটোটি নাড়তে হয়না।"
মিত্রার কথার ফাঁকেই হঠাৎ ওর স্বামী দিব্যেন্দু ঘরে ঢোকে।
ঢুকেই দিব্যেন্দুর চোখ যায় মিত্রার হাতের দিকে।
বেশ কড়া গলায় দিব্যেন্দু বলে ওঠে, "একই মিত্রা, হাতে এই মানতাসাটা পড়ে আছো যে? তোমাকে তো এটা পয়লা বৈশাখে হালখাতার অনুষ্ঠানে পড়তে দিয়েছিলাম। কত লোকজন দেখবে আর এটা তুমি এখন পড়ে নোংরা করছো?"
প্রথমে একটু থতমত খেয়ে যায় মিত্রা। তারপর একটু হেসে বলে, "রাগ করছো কেন? আসলে পুরোনো বন্ধু এসেছে, তাই ওকে একটু দেখাচ্ছিলাম আমার বর আমায় কত সুন্দর উপহার দিয়েছে।"
"উপহার! হোয়াট উপহার?" দিব্যেন্দু আকাশ থেকে পড়ে।
"মিত্রা এটা তোমায় দিয়েছিলাম যাতে নববর্ষে আমাদের নতুন শোরুম উদ্বোধনে তুমি এটা পড়ে আমাদের নতুন জুয়েলারী কালেকশানটার প্রোমোশন করতে পারো। এটা বিক্রির জন্য, তোমায় পারমানেন্টলি দিয়ে দিইনি আমি।"
"এটা আমার জন্য নয়?" মিত্রা ফ্যালফ্যালে ভাবে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে।
"না। কি ভাবোটা কি তুমি? প্রতিটা অকেশনে তোমায় সোনায় ভরিয়ে দেবো? আসলে নিজে তো রোজগার করোনা এক পয়সাও তাই বুঝবে না হার্ড আর্নড মানি কাকে বলে।"
কথাগুলো ছুড়ে দিয়ে গটগট করে বেড়িয়ে যায় দিব্যেন্দু।
একবারও খেয়াল করেনা তার সহধর্মিনী লজ্জায় অপমানে মাটিতে মিশে গেছে।
নদী মিত্রাকে কি বলবে খুঁজে পাচ্ছে না।
মিত্রাও যেন নদীর দিকে তাকাতে পারছেনা।
কিছুক্ষণ পর মিত্রাই প্রথম মুখ খোলে।
"তুই সত্যিই খুব ভালো আছিস রে নদী।"
মিত্রার হাতে হাত রেখে নদী বলে, "তুইও এবার একটু ভালো থাকার হদিশ কর।"
কথাটা শেষ হতে না হতেই নদীর ফোনটা বেজে ওঠে।
ফোনটা ধরেই নদী চমকে ওঠে।
"কিঃ।"
"দাঁড়াও আমি এক্ষনি আসছি।"
ফোনটা রেখে উঠে দাঁড়ায় নদী।
"আমাকে যেতে হবে রে মিত্রা। মনি, মানে অনুভবের মায়ের শরীরটা খুব খারাপ হয়েছে। হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছে, আমি বেড়োলাম বুঝলি।"
"সাবধানে যাস।" মিত্রা মন খারাপের সুরে বলে।
আসলে অনেকগুলো বছর পর দেখা হয়েছিল পুরোনো বন্ধুর সাথে, ছাড়তে মন চাইছে না।
নদী চলে গেছে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা হয়ে গেল।
দিব্যেন্দুকে খাবার বেড়ে দিতে দিতে আনমনেই মিত্রা জিজ্ঞেস করে, "আমার মান সম্মান তোমার কাছে ম্যাটারই করেনা তাই না? আমার বন্ধুর সামনে আমাকে এতটা ছোটো করতে পারলে তুমি?"
খাওয়া থামিয়ে দিব্যেন্দু রক্তচক্ষু করে তাকিয়ে বলে, "সারাদিন আমার যথেষ্ট পরিশ্রম যায় মিত্রা। এখন ন্যাকামি করে মেজাজটা একদম বিগড়ে দেবে না।"
চুপ করে যায় মিত্রা।
নদী সত্যিই খুব ভালো আছে।
রাতের সব কাজ মিটিয়ে নদীকে একটা ফোন করে মিত্রা।
"হ্যালো নদী, ওদিকের কি খবর রে?"
"ডাক্তাররা দেখছে। অনুভব খুব কান্নাকাটি করছে রে, আমাকে সবদিক সামলাতে হচ্ছে তো। আমি তোকে একটু পরে ফোন করি?"
বলেই ফোনটা রেখে দেয় নদী।
একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস মিত্রার বুক ঠেলে বেড়িয়ে আসে।
আজ মিত্রা ভেবে পাচ্ছে না ওর সারাজীবনে প্রাপ্যটা কি।
নদী একার রোজগারে নিজের পরিবারটা চালাচ্ছে, কতগুলো মেয়েকে ও কাজ দিয়েছে। অনুভবের মতন একটা লাইফ পার্টনারও পেলো।
দুজনে নিজেদের ছোটোখাটো প্রবলেমগুলোও কি সুন্দর ভাগ করে নেয়।
আজ অনুভব কি অবলীলায় নদীকে ফোন করে নিজের সমস্যার কথা বলে দিল।
আর ও? ওকে তো দিব্যেন্দু ভরসাই করেনা। বলে ওর নাকি শুধু চাহিদা আর চাহিদা।
অথচ অন্দরমহলের যাবতীয় খুঁটিনাটি সামলে রাখে এই মিত্রাই।
তবুও দিনশেষে মিত্রা দিব্যেন্দুর কাছে একটা শোপিস ছাড়া আর কিছুই না।
ওকে সাজিয়ে গুছিয়ে সোনায় মুড়িয়ে লোকের সামনে নিয়ে গিয়ে ও নিজের বিক্রি বাড়ায়।
আজকাল ওর সাথে কথা বলতে গেলেও কেমন যেন ঝাঁঝিয়ে ওঠে।
আজ খুব মনে হচ্ছে ঠোঁটর কোণে এই লোক দেখানো হাসিটা সরিয়ে একটাবার প্রাণ খুলে হাসতে পারলে খুব ভালো হত।
ঠিক যেমন নদী হাসে।
আচ্ছা, নদী তো অনেক মেয়েকেই কাজ দেয় বলে শুনেছে মিত্রা। ওদের গয়না বানানোর হাবটায় তো প্রতি মাসেই নতুন নতুন মেয়েরা আসে কাজ করতে।
ও গেলে কি ওকে ফিরিয়ে দেবে নদী?
কথাটা মাথায় আসতেই মিত্রার মনে একটা নতুন স্বপ্ন উঁকিঝুঁকি মারছে।
একটা নতুন কিছু করতে ইচ্ছে করছে।
আর কিছু না থাক, নিজের একটা পরিচয় তো থাকবে নদীর মতন।
ভাবতে ভাবতে চোখদুটো লেগে এসেছিল মিত্রার।
হঠাৎ ফোন বাজার শব্দে ঘুমটা ভেঙে যায়।
নদী ফোন করেছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ভোর প্রায় সাড়ে চারটে বাজে।
ফোনটা রিসিভ করতেই নদী বলে ওঠে, "অড টাইমে ফোন করলাম তাই না?"
"না না, একদম না। বল, অনুভবের মায়ের শরীর কেমন আছে এখন?"
"এখন আউট অফ ডেঞ্জার। অনুভবকে অনেক কষ্টে ঘুম পাড়িয়ে ফোন করলাম। আসলে ওভাবে চলে আসতে হল, মনটা খারাপ লাগছিল।"
"আমারো রে, আজ খুব ভালো লাগছিল তোর সাথে কথা বলে।"
মিত্রার গলার উদাস ভাবটা নদীর কান এড়ায় না।
তবে নদী কিছু বলার আগেই মিত্রা বলে ওঠে, "তোর একটা সাহায্য চাই নদী। জানি এখন ঠিক সময় নয় তবুও..."
"আরে এত হেজিটেট করছিস কেন? বল না কি লাগবে?"
ঠোঁট কামড়ে মিত্রা বলে, "আমাকে তোর দোকানে একটা কাজ দিবি?"
"মানে?"
"আজ তো কিছুটা দেখলি। অনেকদিন ঠুংকো ভালো থাকার ভেক ধরে ওর দোকানের সবচেয়ে কম দামী গয়না হয়ে বসে আছি। এবার একটু প্রাণ খুলে বাঁচতে চাই, ঠিক তোর মতন।
পরশ্রীকাতরতা খারাপ, কথাটা জানি। কিন্তু তোর শ্রীয়ের উপর নজর না দিয়ে পারলাম না রে।
একটা ছোটোখাটো কাজ হলেও চলবে। দিবি?"
অনেকক্ষণ চুপ থাকে নদী।
তারপর বলে, "তোকে বলা হয়নি, এই পয়লা বৈশাখে কলকাতায় আমার প্রথম শোরুম উদ্বোধন হবে। ওখানে হ্যান্ডমেড জুয়েলারি থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর সব জিনিসপত্র থাকবে। আমার তো পুরো সেট আপ বোলপুরে। তুই যদি কলকাতার শোরুমটায় একটু ম্যানেজারের কাজটা করে দিতি তাহলে আমার চাপ কমতো। করবি?"
ভেজা চোখে হাসতে হাসতে মিত্রা বলে, "এবার আর সোনার গয়নায় ঢেকে পয়লা বৈশাখটা কাটানো হবে না বুঝলি?"
"খুব বুঝেছি।"
"কি বুঝলি?"
"এই যে, এবার পাখি খাঁচা ছেড়ে উড়বে।"
"উড়বোই তো। অনেক উঁচু আকাশে উড়বো।"
বলতে বলতে বাইরের দিকে তাকায় মিত্রা।
ভোরের আলো তখন সবে সবে ফুটছে। পাখিগুলো অনেক দুরের আকাশে উড়ে যাচ্ছে। আর ঘরের ভিতর একটা পাখি তান ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
-সমাপ্ত-
কলমে-আশালতা