দে দোল__
দে দোল__
এই তো কয়েক দিন আগে।দিন কয়েকের ছুটি পেয়ে গেলাম অফিসে।কোথায় যাই,কোথায় যাই ভাবছি।শেষমেস এক বন্ধুর বাড়ী গেলাম।কাছেই এক গাঁয়েই।মাঝে মাঝে যাই।বেড়াতে টেড়াতে।শহর থেকে,শহরের ব্যস্ততা থেকে,শহরের দূষণ থেকে বেশ কিছুটা দূরেই।প্রত্যন্ত গাঁ।গাঁয়ে একটি মাত্র পাকা পথ।বাকি সব রাঙা মাটির পথ।গাঁয়ে বাড়ী গোটা পঞ্চাশ মতো।বেশির ভাগ বাড়ীই মাটির।মাটির দোতলা বাড়ীও কয়েকটা আছে।আমার বন্ধুর বাড়ীটা দোতলা মাটির।আর বাকি সব ক্ষেত,জলা জঙ্গল,গাছ পালা এইসব।আর গাঁয়ের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে কূল-কূল- করে বয়ে চলেছে একটি নদী।ছোট্ট নদী।ব্রাহ্মণী।
তো সেদিন ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে পড়লাম।উঠে হাঁটতে বেড়ালাম।অরূপ এখনো ঘুমে কাদা।তাই একা একাই বেড়িয়েছি।চেনা গাঁ। ঘুম ভেঙে উঠে সবে আড়মোড়া ভাঙছে।হাই তুলছে।পদ্মকলির পাঁপড়ি মেলার মতো। কিঁচিমিঁচি- কিঁচিমিঁচি- করে নানা জানা অজানা পাখির ডাক চারপাশ মুখরিত।ট্যা-ট্যা-করতে করতে এক ঝাঁক টিয়া উড়ে গেল ঐ ।জোড়সে।খুব নীচ দিয়ে।
মৃদু মৃদু মন কেমন করা বাতাস বয়ছে একটা। এদিকটায় নানা রকম ছোটো ,মাঝারি, বড় গাছ গাছালি।তাতে সব কচি কচি পাতা গজিয়েছে।হাঁটতে হাঁটতে নদীর ধারে চলে এসেছি।একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে বসলাম।দু'দণ্ড।গাছটি লাল লাল ফুলে ভরে উঠেছে।সামনে তির- তির-করে বয়ে চলেছে ছোট্টো নদী। কয়েকটা বুক সাদা মাছরাঙা আশেপাশের গাছ থেকে ঝুপ্ ঝুপ করে নদীর জলে গিয়ে পড়ছে।জল ছুঁয়ে উড়ে গিয়ে আবার গাছের ডালে এসে বসছে।কয়েকটা চুকচুকে কালো পানকৌড়ি ভুস ভুস করে জলে ডুবছে। আবার কিছুক্ষণ পর ভেসে উঠছে।কুউ-কুউ-করে কোকিল ডাকছে।আশেপাশের কোনো গাছের আড়ালে।আকাশে লেগেছে রাঙা রঙের ছোঁয়া।প্রকৃতিতে লেগেছে রাঙা রঙের ছোঁয়া।বসন্ত এসে গেছে যে !