Piyali Chatterjee

Romance

4.0  

Piyali Chatterjee

Romance

কথা দিলাম ২

কথা দিলাম ২

10 mins
896


কলেজের গেট দিয়ে বেড়িয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ীতে উঠে পড়লো পূজা । তার বাবা রোজই মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ী পাঠায় । ড্রাইভার চালাতে শুরু করলে পূজা রেডিও টা অন করে দিলো। তার সবচেয়ে প্রিয় গান টা হচ্ছে । এই গান টা শুনলে সে সব কিছু ভুলে নিজের মনের এক আলাদা শান্তি খুঁজে পায়, মিসেস সেন ছবির ঘর আজা গান টি যে এত কেনো প্রিয় সে নিজেও জানেনা । পূজা গুনগুন করে গাইছে, বাইরে মুষল ধারে বৃষ্টি নেমেছে। হঠাৎ মোড় ঘুরতেই বিশাল জ্যাম ।

এই রাস্তা টায় বরাবর এরকম জ্যাম থাকে এই সময় টা । পূজা কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী । গত দুই বছরে সে এই জ্যাম টার সাথে পরিচিত হয়ে গেছে তাই আর গা করে না এই ব্যাপারে । গান গাইতে গাইতেই বাইরের দিকে তাকালো সে তার গাড়ির পাশেই বাইকে তারই কলেজের বি.কম এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবির । এত জোরে বৃষ্টির কারণে এক্কেবারে ভিজে গেছে সে । আবির যদিও তাকে দেখতে পায়নি । জ্যাম খালি হতে শুরু হতেই সে জোরে বাইক চালিয়ে চলে গেল। পূজার বাড়ি ও চলে এলো কিছুক্ষন এর মধ্যে ।

পূজার বাবার নির্মাণ এর ব্যবসা । পূজার মা একটি প্রাইভেট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা । ড্রাইভার কাকু এবার গিয়ে তার মা কে নিয়ে আসবে স্কুল থেকে । অন্য সময় পূজার ছুটির পর তার মা একসাথেই বাড়ি আসে তবে আজ কি একটা মিটিং থাকায় তার মায়ের একটু দেরি হবে ফিরতে ।

পূজা রান্নাঘরে গিয়ে এক কাপ কফি বানিয়ে ড্রইংরুমে সোফায় গিয়ে বসল । হঠাৎ জানালার বাইরে চোখ যেতেই আবিরের কথা মনে পড়ে গেল তার । উঠে জানালার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো । বৃষ্টির ফোঁটা তার মুখে ছিটে আসছে । এরকম অনুভূতি তার আগে কখনো হয়নি । মোবাইল টা নিয়ে ফ্রেন্ড্সবুক নামক এপ্লিকেশন টা খুললো সে, কিন্তু আজ তার এগুলো কিছুই ভালো লাগছে না । শুধু একটাই চিন্তা হচ্ছে যে আবির ঠিক মতো বাড়ি পৌছালো কিনা । এক্কেবারে ভিজে গেছিলো আজ আবির । আবিরের ফোন নম্বর যদিও আছে তার কাছে কিন্তু এই ভাবে ফোন করার মতো বন্ধুত্ব তাদের মাঝে হয়ে ওঠেনি এখনো পর্যন্ত । মনে পড়লো হোয়াটস্নাও তে তাদের কলেজের তৃতীয় বর্ষের বন্ধুদের নিয়ে একটি গ্রুপ আছে, আবির ও সেই গ্রুপে আছে।

পূজা ফোন টা নিয়ে গ্রুপে মেসেজ পাঠালো

" সবাই ঠিকঠাক বাড়ি পৌঁছিয়েছিস? "

প্রায় সবাই জবাব দিলো তার মেসেজ টার কিন্তু যার জন্য এই মেসেজ তার ই কোনো উত্তর এলো না । এবার একটু অস্থির হলো সে । ফোন করবে? কিন্তু ফোন করলে কি ভাববে সে ? হঠাৎ গায়ে পরে আলাপ করতে এসেছে এমন টাও তো ভাবতে পারে। না থাক, কাল কলেজে তো দেখা হবেই ।

আবির খুবই পরোপকারী ও সভ্য একটি ছেলে, বিপদে যে কারুর সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় । পূজা কেও দু একবার সাহায্য করেছে । তখন প্রথম বছর, একবার কলেজ ক্যান্টিনে দু'চারটে ছেলে পূজা কে খুব বিরক্ত করছিল । আবির সেই সময় ক্যান্টিনে তার বন্ধু দের সঙ্গে গল্প করছিল । পূজা কে ঐরকম বিরক্ত করা দেখে সে উঠে গিয়ে কড়া গলায় ধমকে উঠলো । প্রিন্সিপালের কাছে নালিশ দেওয়ার ভয়ে দেখাতে তারা পূজা কে সরি বলে বেড়িয়ে গেল । এরপর আর একবার কলেজ ফেস্ট এর সময়, অনুষ্ঠান শেষ হতে অনেক রাত হয়েছে প্রায় অনেকে চলেও গেছে বাড়িতে । এদিকে পূজার বাবা নির্মাণের কাজ করার জন্য স্থান পরিদর্শন করতে গেছেন তাই গাড়ি টাও নেই, এদিকে একা একটা মেয়ে ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরবে সেটাও মন চাইছে না । পূজার আরো দুটো বন্ধু সাথে ছিল কিন্তু তাদের বাড়ি অন্য পথে । সেই বারেও আবির পূজা কে বাইকে করে ছেড়ে আসলো তার বাড়ির সামনে । তারপর থেকে মাঝেমধ্যে দেখা হলে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে হাসে এই পর্যন্তই ।

তার পরের দিন কলেজে গিয়ে পূজা আবির কে দেখতে পেলো না । ক্লাস শেষ হওয়ার পর সে আবিরের ক্লাসের একটি বন্ধুকে জিজ্ঞেস করতে সে বললো, "আবির? ওর তো খুব জ্বর । কোনো দরকার ছিল?"

পূজা : " আরে না না, কোনো দরকার না । তোমায় ওকে কিছু বলতে হবে না । "

মনে মনে ভাবছিলো যে তার সন্দেহ টাই ঠিক হলো । হয়তো এই কারণেই তার আবিরের জন্য এত চিন্তা হচ্ছিল । কিন্তু কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না যে আবিরের জন্য তার এই চিন্তার কারণ টা কি ।

বাড়ি ফিরে ফ্রেন্ড্সবুকে আবিরের প্রোফাইলে ঢুকলো পূজা । অনলাইন দেখাচ্ছে । ভাবছে মেসেজ করবে কিনা এমনসময় অপর দিক দিয়ে আবিরের মেসেজ । পূজার মনে খুশি ও ভয় একসাথে বাসা বাঁধলো ।

মেসেজ টা খুললো :

আবির : হ্যালো পূজা । শুনলাম তুমি আমার ব্যাপারে জিগ্যেস করছিলে?

পূজা (একটু অপ্রস্তুত হয়ে) : হুমম ।।

আবির : কোনো দরকার ছিল? কেউ বিরক্ত করছিল নাকি আবার?

পূজা : না ।

আবির : কিছু হয়েছে কি?

পূজা : আসলে কাল বাড়ি ফেরার সময় দেখলাম তুমি বৃষ্টি তে পুরো ভিজে গিয়েছিলে । তাই....

আবির : হ্যাঁ? সে কি? তুমি আমাকে নিয়ে এত ভাব জানতাম না তো ।।

পূজা কি বলবে বুঝে উঠতে পারছিল না এরইমধ্যে আবিরের আর একটা মেসেজ আসলো

আবির : আরে মজা করছিলাম । বলছি একটা কথা বলবো ?

পূজা : হ্যাঁ বলো ।

আবির : এটা আমাদের কলেজের লাস্ট ইয়ার তাই আমরা ঠিক করেছি সবাই মিলে একটা ট্যুর করবো । অনেক ভেবে জায়গা ঠিক হয়েছে দিঘা । বেশি দূর ও না । তুমি যাবে তো?

পূজা : আমি বাড়ির বাইরে কখনো থাকিনি মা, বাবা কে ছেড়ে । ওরা অনুমতি ও দেবে না আমাকে । সরি আমার বোধহয় হবে না । তোমরা ঘুরে এসো ।

আবির : ঠিক আছে জোড় করবো না তবে একটু চেষ্টা করে দেখো এটাই বলবো । এরপর আর সবার সাথে দেখা হবে কিনা সেটা তো জানিনা । তাই..

শেষের লাইনটা পড়ে বুকের ভেতর টা কেমন শিউরে উঠলো ! কি বললো আবির এটা? আর দেখা হবেনা । সত্যিই তো এটা আমাদের লাস্ট ইয়ার । এরপর কে কোথায় চলে যাবে হয়তো ।আর কিছু না ভেবেই পূজা লিখে ফেললো,

পূজা : আচ্ছা, আমি নিশ্চই যাবো ।

পাঠিয়েও দিলো । কিন্তু বাবা মা কে কি বলবে? মা যাও বা বুঝলো, বাবা তো শুনেই তেড়ে উঠলো । অনেক বোঝানোর পর রাজি হল কিন্তু শর্ত হলো দিনে দু'বেলা ফোন করে নিশ্চিত করতে হবে যে সে ঠিক আছে । পূজা রাজি হয়ে গেল ।

কলেজের সামনে থেকেই বাস ছাড়বে । সব ঠিক করা হয়ে গেছে । পূজার আসতে একটু দেরি হয়ে গেল বাসে উঠতে দেখে একটাই বসার সিট খালি আছে আবিরের পাশে । মনে মনে খুশি হলেও মুখে সে ভাব প্রকাশ করল না পূজা । আবির জানালার ধারের সিট টায় পূজা কে বসতে দিলো । পৌঁছাতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে । বাস ছাড়ার কিছুক্ষন পরেই শুরু হলো তুমূল ঝড় বৃষ্টি । শ্রাবন মাস বলে কথা, বৃষ্টি না হয়ে পারে ।। গাড়ি দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে । আবির ই প্রথমে নিস্তব্ধতা ভাঙলো,

আবির : থ্যাংক ইউ, আমার অনুরোধ টা রাখার জন্য ।

পূজা : কোন অনুরোধ টা?

আবির : এই যে তুমি আমাদের সাথে যাচ্ছো ।

পূজা : এতে থ্যাংক ইউ বলার কি আছে এই ট্রিপ টাই হয়তো জীবনের সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে ।

দু 'ঘন্টা পেরিয়ে গেছে । পূজার কানে হেডফোনে রিপিট মোডে চলছে তার সবচেয়ে প্রিয় গান টি । অথচ সে আবিরের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমে মগ্ন । আবির এক পলকে চেয়ে আছে পূজার নিষ্পাপ মুখে । মনে পড়ছে সেই দিনের কথা যেদিন পূজা কে প্রথম বার দেখেছিল । আবিরের ক্লাসরুমের ঠিক সামনের ক্লাসরুম টাই ছিল পূজার । যদিও পূজা কখনো তাকে লক্ষই করেনি । পূজা কে দেখার জন্য আবির প্রতিদিন দরজার সামনের বেঞ্চে বসতো । সেসব কথা পূজা জানেনা । যেদিন ক্যান্টিনে পূজা কে  অভিক রা বিরক্ত করছিল সেই দিন ওর সাথে আলাপ । তারপর যেদিন ফেস্টের দিন রাতে ওকে বাড়ি পৌঁছাতে গেল সেদিন ই বুঝতে পেরেছিল যে আবিরের জন্য পূজা অনেক স্পেশাল । কিন্তু বলে উঠতে পারেনি । কলেজ শেষ হতে আর কয়েক মাস বাকি তাই আবির নিজেই সবাই কে রাজি করিয়েছে যাতে পূজার সাথে এই কয়েকটা দিন সে কাটাতে পারে । হয়তো আর কখনো দেখা হবে না তাদের । আবিরের বাবা বিদেশে থাকেন । মা কে নিয়ে সে একাই থাকে এখানে । নিজের বলতে তেমন কেউ নেই ।

বাস যখন গন্তব্যস্থানে পৌছালো তখন প্রায় সন্ধ্যে নামছে । বাস থেকে নেমে যে যার রুমের চাবি নিয়ে চলে গেল । হাত মুখ ধুয়ে পনেরো মিনিটে সবাই নীচে দেখা করলো, ঠিক হলো সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে বসবে । 

পূজার খুব আনন্দ হচ্ছিলো । হয়তো আবির আছে সেই কারণে । পূজা মনে মনে ভাবলো আবির যে তার একজন বিশেষ বন্ধু সেটা আবির কে জানানো উচিত । হোটেলে ফেরার পথে পূজা ইচ্ছা করেই আস্তে আস্তে হাটতে থাকলো যাতে বাকি সবাই এগিয়ে যায় আর পূজা আবির কে তার মনের কথা বলতে পারে । আবির তার কাছে আসতেই সে আবির কে বলতে চাইলো কিন্তু বলতে পারলো না । হঠাৎই পূজার মোবাইল ফোন টা বেজে উঠলো । তাকিয়ে দেখল পূজার মা ফোন করছেন । তাড়াহুড়োর মধ্যে পৌঁছানোর খবর টা দিতেই ভুলে গেছে সে । কথা বলা শেষ হলে তাকিয়ে দেখলো আবির বাকি বন্ধুদের সঙ্গে এগিয়ে গেছে ।

রাতে খাবার খাওয়া হয়েগেলে পূজা নিজের রুমে চলে গেল । সেই রুমে পূজার সাথে তার প্রিয় বান্ধবী শর্মি থাকবে ।

শর্মি স্কুলের সময় থেকেই তার বন্ধু । পূজার ব্যাপারে তার সব জানা কিন্তু গত কয়েকদিন সে ভাবে কথাবার্তা ও হয়নি তাদের ।

হঠাৎ শর্মি পূজা কে জিগ্যেস করে বসলো,

"আচ্ছা তোর ব্যাপারটা কি বলতো পূজা ?"

পূজা ফোনে কি একটা করছিল সেটা থামিয়ে বলে উঠলো, "কি আবার ব্যাপার?"

শর্মি:- আবিরের সাথে তোর কি চলছে ?"

পূজা কিছুটা অবাক হলো, হঠাৎ শর্মি এরকম বলছে কোনো!!

পূজা:- আমার আর আবিরের কিছু চলছে মানে?

শর্মি:- তুই তো এই ট্রিপ টায় আসার জন্য ওর কথাতেই রাজি হয়েছিস । আমাকেও আসতে বললি । সেটা কি এমনিই?

পূজা:- না রে শর্মি । আসলে সত্যি বলতে আমি নিজেই বুঝতে পারছিনা । প্রতিটা মুহূর্ত শুধু আবিরের কথাই মনে পড়ছে । ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে । মনেহচ্ছে কলেজ টা শেষ হবার পর হয়তো আর ওকে দেখতে পাবো না । আমাদের বন্ধুত্ব টা হারিয়ে যাবে ।

শর্মি:- হুমম, ও জানে তোর এই কথা গুলো?

পূজা:- না ।

শর্মি:- সেকি । ওকে বল । তুই তোর নিজের অজান্তেই আবির কে ভালোবেসে ফেলেছিস । কাউকে হারানোর ভয় একজন তখনই পায় যখন সে মানুষটাকে ভালোবাসে । আমার মনেহয় তোর ওকে জানানো উচিত ।

যে কথাটা হয়তো পূজা নিজেও জানতো কিন্তু মানতে রাজি ছিল না সেটা আজ তার বন্ধুর কাছে শুনে অনুভব করতে পারছে ।

সত্যিই তো । কখন যে আবির তার মনের এতটা কাছে এসেছে সে নিজেও জানেনা ।

শর্মি পূজার ফোন থেকে আবির কে মেসেজ করে তাদের রুমে ডাকলো । আবির আসার আগে সে তার বান্ধবী কে শুভ কামনা জানিয়ে মেয়েদের আর একটা রুমে চলে গেল যাতে কিছুটা সময় তারা একসাথে কাটাতে পারে ।

পূজার বেড়ানোর ঠিক পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যে রুমের কলিং বেলের আওয়াজ । পূজার বুঝতে দেরি হয়নি কে এসেছে । ছুটে দরজা খুলতেই দেখে তাদেরই কলেজের বি.এস.সি এর এক ছাত্র প্রতিম । তার সাথে মোটামুটি আলাপ ছিল পূজার । আবির যে কোনো সময় এসে যাবে এইভাবে ওদের দুজনকে একা দেখলে কি ভাববে সেসব ভাবছিল এমন সময় পূজা কে রুমের ভেতর ঠেলে দিলো প্রতিম । প্রতিম যে মদ্যপ অবস্থায় আছে সেটা পূজা ঠিকই বুঝতে পারলো কিন্তু ও কি জন্য এসেছে সেটাই ঠাহর করতে পারলোনা । এবার প্রতিম পূজা কে টেনে বিছানায় ফেলে দিলো ও নিজে তার উপরে ওঠার চেষ্টা করতে লাগলো । পূজা ও গায়ের সব শক্তি একত্রিত করে প্রতিম কে ঠেলতে শুরু করলো কিন্তু কাজ হলো না । প্রতিম বলতে লাগলো, "বুঝতে পারিস না তোকে আমি কত ভালোবাসি । তুই বাসে আবিরের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাছিলি কোনো বল । "

পূজার কিছু বলার শক্তি নেই শুধু কি ভাবে এই দানব টার হাত থেকে মুক্ত হবে সেটাই ভাবছে । হঠাৎ আবির রুমে ঢুকতে গিয়েই দেখে পূজার সাথে প্রতিমের এই আচরণ । পূজার দু চোখ বেয়ে জল পড়ছে । কিছু বলতে পারছে না পূজা । আবির প্রতিমের কলার ধরে টেনে মারতে মারতে পাশের রুমে নিয়ে গেল । প্রিন্সিপাল কে ফোন করে সব জানালো হলো । কাল সকালেই প্রতিমকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ও কলেজ থেকে সাসপেন্ড করা হবে তাকে ।

পূজা নিজের রুমে বসে ছিল ও শর্মি তার পাশে বসে তাকে শান্ত করছিল হঠাৎ আবির ঢুকতে শর্মি রুমের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো । বান্ধবী কে আর একা রেখে যাওয়ার সাহস নেই তার ।

আবির কে দেখে পূজা কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো । আবির ও পূজা কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো ।

পূজা:- (চোখ মুছতে মুছতে বললো) কি বলেছিলে? আর কখনো দেখা হবেনা ? তুমি না থাকলে আমাকে এমন বিপদ থেকে বাঁচাবে কে ?

আবির:- কেঁদো না। শান্ত হও।

পূজা:- শান্ত হতে বলছো? আজ তুমি না থাকলে আমার কি হতো বলো তো।

পূজার এই চোখের জল আর সহ্য হচ্ছে না আবিরের। মনে হচ্ছে সব দুঃখ কষ্ট আবির নিজের করে নিক

আবির:- আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি পূজা । চিরকাল থাকবে আমার সাথে? আমি তোমাকে জোড় করবো না । তবে আমি চেষ্টা করবো সবসময় তোমায় খুশি রাখতে । অনেকদিন থেকেই ভালোবাসি কিন্তু বলে উঠতে পারিনি । আজ তোমাকে এই অবস্থায় দেখে খুব ভয় করছিল ।

পূজা যে কি বলবে বুঝতে পারছেনা ।মনেহচ্ছে সারা বিশ্বের খুশি কে ওর কাছে এনে দিয়েছে কেউ ।

পূজা আবিরের হাথ টা ধরলো,

পূজা:- আমিও তোমায় অনেক ভালোবাসি আবির । তোমাকে এই কথাগুলো বলবো বলেই ডেকেছিলাম কিন্তু তার মধ্যেই এইসব হয়েগেল ।

তোমাকে যে কখন ভালোবেসে ফেলেছি নিজেই জানিনা । তোমাকে আমি কখনো হারাতে চাইনা আবির । কথা দাও আমাকে ছেড়ে কখনো যাবে না ।

আবির:- কথা দিলাম ।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance