Rima Goswami

Horror Fantasy Thriller

3  

Rima Goswami

Horror Fantasy Thriller

পিশাচপুরের আতঙ্ক

পিশাচপুরের আতঙ্ক

9 mins
288


প্রবাদ আছে ' নাম দিয়ে যায় চেনা ' আর ' যা রটে তার কিছুটা তো বটে ' । দুই প্রবাদ যে অনন্যার জীবনে তুফান হয়ে আসতে চলেছে সেটা অনন্যার বুঝতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল । অনন্যা ঘোষ বীরভূম জেলার লাভপুরের নিবাসী । পড়া শেষ করে ভাগ্যক্রমে চাকরি পেয়ে যায় এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট এ । তো দশটা পাঁচটা অফিস নিয়ে তো কোন সমস্যা নেই , যদিও যেতে হয় নিত্যদিন অনেকটা রাস্তা । অনন্যার অফিস দুবরাজপুরে । মা বাবা এবার মেয়েকে পাত্রস্থ করতে চান তবে অনন্যার ইচ্ছা প্রমোশন পেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার । এই নিয়ে বেশ চলছিল আর ভাগ্যের জোরে আর পরিশ্রমের ফলে সে মাত্র দুই বছর পর প্রমোশন পেয়েও যায় । প্রমোশন হয় মাইনে ও পদোন্নতি বৃদ্ধি পায় কিন্তু সমস্যা একটাই এবার ওকে নানা জায়গাতে ভিজিট করতে যেতে হবে ।


ইন্সপেক্ষণ করাটা অনন্যার অন্যতম একটা কাজ । সেই সূত্রে বিনা নোটিসে পুরুলিয়ার জয়চন্ডী যেতে হবে ওকে । ছোট একটা ব্যাকপ্যাক নিয়ে ও ট্রেনে রওনা দেয় । এর আগে এভাবে একা অজানা জায়গাতে কোনদিন রওনা দেয়নি অনন্যা , সবসময় কেউ না কেউ ছিল সঙ্গে । ট্রেনে যেতে যেতে ভাবে এবার বিয়েটা করেই নেবে তা হলে স্বামীকে নিয়ে এই সব ভিসিট গুলো করতে যেতে পারবে । একা একা যেতে হবে না , বাবা বয়স্ক তাই বাবাকে নিয়ে যাবার তো প্রশ্নই ওঠে না । ট্রেন থেকে জয়চন্ডী স্টেশনে যখন নামলো অনন্যা তখন বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হবে হবে । ওকে রিসিভ করতে এসেছেন ওখানকার এগ্রিকালচার অফিসের এক জুনিয়র অফিসার । ছেলেটির নাম আকাশ পাল , এই এলাকার ছেলে । নিজের বুলেট গাড়িতে তুলে নিল সে অনন্যাকে আর যেতে যেতে নানান কথাবার্তা হতে লাগলো ওদের মধ্যে। এলাকাটা একটু রুক্ষ আর শুনশান , আকাশ বললো অনন্যার কাজ হলো এই জয়চন্ডি পাহাড়ের ওপারে পিশাচপুর গ্রামে ।


ওর থাকার ব্যবস্থা ও ওখানেই করা হয়েছে । অনন্যা আকাশকে বললো তা হলে আকাশ ওকে পিশাচপুর গেস্টহাউসে নামিয়ে দিক । পরেরদিন সকালে না হয় আকাশ আর অনন্যা ভিসিট করে আসবে । আকাশ কথাটা শুনে রাস্তার পাশে গাড়িটা দাঁড় করলো । অনন্যা ওকে জানতে চাইলো আকাশ এই শুনশান এলাকাতে আচমকা দাঁড়িয়ে গেল কেন ? রাত হয়ে যাবার আগে ওকে পৌঁছাতে হবে গেস্টহাউসে । আকাশ একটু ইতস্তত করে বললো , ' ম্যাডাম কিছু মনে না করলে একটা কথা বলতে পারি ? 'অনন্যা বললো কোন দ্বিধা না রেখে আকাশ তার যা বলার বলতে পারে । আকাশ বললো , ' পিশাচপুর রাতে সুরক্ষিত নয় , আপনার আপত্তি না থাকলে আমার বাড়িতে গিয়ে রাত টুকু কাটিয়ে দেন । ওই জায়গাতে ওই গেস্টহাউস আর একটা পচা পরিত্যক্ত কুয়ো ছাড়া কিচ্ছু নেই । 'অনন্যা এই মাঝ সন্ধ্যায় আকাশের মুখে বোকা বোকা কথা শুনে রেগে গেল ।


অনন্যা কৌতুক করে বলে উঠলো , ' নাম পিশাচপুর বলে আবার বলো না যেন ওখানে পিশাচ আছে । আমাকে অফিস ওখানে গেস্টহাউস এলর্ট করছে যখন নিশ্চই জায়গাটা সুরক্ষিত । তাছাড়া আমি তোমাকে চিনি না , জানি না , তোমার বাড়িতে গিয়ে কেন থাকবো ? 'আকাশ আর কথা বাড়ালো না , সে পুরুষ তারপরে বাড়িতে একা থাকে তাই ম্যাডাম ওকে বিশ্বাস করে ওর সাথে থাকবে না । এছাড়া ও পদমর্যাদাতেও কম অনন্যার থেকে । আকাশ ভাবলো সে পুরুষ বলে তার সঙ্গে থাকতে যখন ম্যাডাম চাইছেন না তা হলে না হয় পিশাচপুরে পিশাচদের সঙ্গেই থাকুক । আকাশ যখন অনন্যাকে ওই গেস্টহাউসের সামনে নামিয়ে দিল তখন ওই শান্ত নিঝুম পিশাচপুরে রাতপাখি আর ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দ ছাড়া কোন ধরনের শব্দর উপস্থিত ছিল না । আকাশ ওকে নামিয়েই গাড়িতে স্টার্ট দিয়ে চলে গেল ওখান থেকে ।


অনন্যার বুকটা কেঁপে গেল এই নিস্তব্ধতায় । একবার ভাবলো আকাশকে এত কথা বলে ও ভুল করলো । ওর কথা শুনে এখানে না এসে ওদের বাড়ি চলে গেলেই ভালো হত । মোবাইল নাম্বার ও নেওয়া হয়নি তাই এখন আর ওকে ডেকে পাঠানোর উপায় ও নেই । একরাশ চিন্তা নিয়ে গেস্টহাউসের দরজায় নক করবে অনন্যা তার আগেই ক্যাচ করে শব্দ করে দরজাটা খুলে গেল । লণ্ঠন হাতে মাঙ্কি টুপি পরে একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে । পূর্ণিমার রাত্রি তাই এলাকাটা চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে কিন্তু গেস্টহাউসে যেন নিঝুম অন্ধকার বিরাজ করছে । লোকটা খনা সুরে জানালো ওর নাম বনওয়ারী , ও এই গেস্টহাউসের কেয়ারটেকার । ভিতরে ঢুকে গেল অনন্যা , বনওয়ারী ওকে ঘর দেখিয়ে দিল । বনওয়ারী বললো কারেন্ট চলে গেছে তাই সে গ্যাসে জল গরম করে দিচ্ছে ফ্রেশ হবার জন্য । অনন্যা বললো সে ঠিক আছে কিন্তু এখন তার এককাপ কড়া করে কফি চাই । বনওয়ারী মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে চলে গেল । জানলা দিয়ে অনন্যা চারপাশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে লাগলো । একটু দূরেই চন্ডী পাহাড় , কুয়াশা ঢেকে দিয়েছে পাহাড়ের চূড়া গুলো । চারদিকে জঙ্গল ঘেরা , শুনশান । বেশ ভালো জায়গায় এই গেস্টহাউস বানিয়েছে সরকার । মা বাবাকে ফোন করতে ভুলে গেছিলো সে , মনে পড়তেই তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর খবর দিতে ফোন করতে গিয়ে অনন্যা আবিষ্কার করে মোবাইলে কোন নেটওয়ার্ক নেই ।


বনওয়ারী এরই মধ্যে একহাতে এককাপ কফি আর একহাতে একটা বালতি নিয়ে হাজির । কফিটা অনন্যার হাতে তুলে দিয়ে বালতিটা রুমের সঙ্গে থাকা বাথরুমে রেখে আসে সে । অনন্যা জিজ্ঞাসা করে ফোনে নেটওয়ার্ক নেই কেন ? বনওয়ারী বলে এখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না তবে ল্যান্ডলাইন আছে । অনন্যা বলে তবে সে ল্যান্ডলাইন থেকে একটা কল করবে , বনওয়ারী জানায় ল্যান্ডলাইন ডেড হয়ে আছে কয়েকদিন ধরে । অনন্যা বিরক্ত হয় কিন্তু কিছু বলে না । লোকটা কফি ভালোই বানিয়েছে , অনন্যা জানতে চায় রাতের খাবার কে বানাবে ? রান্নার লোক কই ?বনওয়ারী বলে এই গেস্টহাউসে বনওয়ারী কুক , ওই মেড , ওই কেয়ারটেকার । শুধুমাত্র গেস্টহাউসে কেন এই পিশাচপুরে একমাত্র একা বনওয়ারীই থাকে , অবশ্য এই মুহুর্তে অনন্যা ও আছে । কথাটা শুনে অনন্যা ভয়ে শুকিয়ে যায় কিন্তু সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটে না । রাতের খাবার কি হবে সেটা বনওয়ারী জানতে চাইলে অনন্যা বলে কসা মাংস আর তন্দুরি রুটি , ছানার পায়েস । ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি জানিয়ে লোকটা চলে যায় ।


ইচ্ছা করে যা ইচ্ছা একটা বলে দিয়েছিল অনন্যা কিন্তু ভাবতেই পারেনি যে তাতে লোকটা রাজি হয়ে যাবে । এত ঝামেলা এখন এই নিঝুমপুরীতে কি করে করবে ? গরম জলে ফ্রেস হয়ে আজেবাজে চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিলো সে । ফাইল গুলো কুপির আলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে বসলো । ঘড়িতে ঢং ঢং করে সাড়ে নয়টা বাজলো , বারবার ঘুরে ঘুরে অনন্যার একটা কথাই মনে পড়তে লাগলো এই পিশাচপুরে সে আর ওই বনওয়ারী ছাড়া কেউ নেই । মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে লোকটা খাবার নিয়ে হাজির হলো । সামনে লোভনীয় লাল মাস , তন্দুরি রোটি আর ছানার পায়েস ! গন্ধে সব ভুলে খেতে বসে গেল অনন্যা , একটু একটু করে খেয়ে অবাক সে ! এত স্বাদ ! আবার বনওয়ারীকে ইচ্ছা করে ডাকলো সে । লোকটা এলেই অনন্যা তাকে বললো , ' তুমি তো জাদু জানো দেখছি ! এত কম সময়ে এত স্বাদ রান্নাতে ! প্লিস আমার জন্য একটু হালিম বানিয়ে দেবে ? 'লোকটা আবার মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে চলে গেল । অনন্যার বুক শুকিয়ে গেছে , কারণ হালিম বানাতে অনেক সময় লাগে । চুপি চুপি পা টিপে টিপে অনন্যা রান্নাঘরের দিকে যায় ।


লুকিয়ে লুকিয়ে সে দেখে ওখানে একটা জিনিস ও এমন নেই যা দিয়ে এত রান্না করা যায় । বনওয়ারী নামের ওই লোকটা একটা মালসা জাতীয় কিছুতে কিসব বিড় বিড় করে বললো আর ম্যাজিকের মত একবাটি হালিম এসে হাজির । না ! অনন্যা সব দেখে ফেলেছে এটা একে বুঝতে দেয়া যাবে না । অনন্যা চুপচাপ আবার নিজের স্থানে ফিরে এসে চুপচাপ বসে যায় তবে খাবার গুলো কি ভাবে উৎপন্ন হয়েছে জেনে আর খেতেও ইচ্ছা হয়না । খাবার গুলো নাড়াচাড়া করতে করতেই বনওয়ারী হালিম এনে টেবিলে রাখে । বনওয়ারী ঘর থেকে বেরিয়ে যেতেই সব খাবার থেকে অল্প করে জানালা দিয়ে ফেলে দেয় অনন্যা যাতে লোকটা এসে দেখে অনন্যা সব খেয়েছে । ভয়ে এই ঠান্ডাতেও ভিজে একাকার অনন্যা মনে মনে ভাবে যা রটে তার কিছুটা হয়ত বটে , আর নাম দিয়ে স্থানের পরিচয় হয়ত পাওয়া যায় তাই আকাশের কথা না শুনে সে এই মরণফাঁদে এসে হাজির হয়েছে । বনওয়ারী খাবারের থালা তুলে নিয়ে যায় আর বলে দরকার হলে যেন তাকে ম্যাডাম ডেকে নেয় । সে পাশের ঘরেই থাকবে । অনন্যা শুয়ে পড়ে চুপচাপ , রান্নাঘরে যা সে দেখেছে তাতে এই লোকটা স্বাভাবিক নয় সেটা স্পষ্ট । এখন ওকে পালাতে হবে তবে তারজন্য উপায় ? একটু মটকা মেরে পরে থেকে অনন্যা অপেক্ষা করতে থাকে কখন বনওয়ারী নিজের ঘরে যাবে । চারদিক যখন চুপচাপ হয়ে ওঠে ঘড়িতে রাত সাড়ে এগারোটা অনন্যা দেখে তার জানলার কাছে কে যেন একটা ঘুরঘুর করছে । ভয়ে একটা ফুলদানি নিয়ে অনন্যা সেদিকে এগিয়ে গিয়ে এক বাড়ি দেবে তখনই ফিসফিস করে জানলার ওপারে থেকে কেউ ।


আমি আকাশ ম্যাডাম , এই জানলা দিয়ে নেমে পালিয়ে আসুন । ভালো করে লক্ষ্য করে অনন্যা দেখে ঠিক ! আকাশ দাঁড়িয়ে আছে জানলার ওপারে । আকাশ বলে সে এখানে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর লুকিয়ে সব দেখেছে । রাত বারোটা বাজলেই পিশাচ নিজের রূপ ধারণ করবে তাই এখনই এই পিশাচপুর ছেড়ে ওদের পালাতে হবে । অনন্যা নিজের ব্যাকপ্যাকটা তুলে নেয় খাট থেকে আর জানলা দিয়ে ঝাঁপ মারে । আকাশ বলে সে তখন যায়নি এখান থেকে আর গাড়িটা একটু দূরে লুকিয়ে রেখেছে । অনন্যা ক্ষমা প্রার্থনা করে আকাশের কাছে নিজের আচরণের জন্য । ওরা দুজন মিলে ছুট লাগায় গাড়িটা যেখানে পার্ক করা আছে সেদিকে । ততক্ষণে রাত বারোটা বেজে গেছে আর মানুষ সেজে থাকা পিশাচ বনওয়ারী তার শিকারকে খুঁজে না পেয়ে গেস্টহাউসের বাইরে বেরিয়ে আসে ।


চাঁদের আলোয় বনওয়ারী পরিবর্তিত হয় পিশাচে । যার বিশাল কালো ভাল্লুকের মত আকার , দুটি শদন্ত চকচকে , হাতে ধারালো নখ । ছুটতে থাকে সে শিকারের গন্ধ শুকতে শুকতে । তারপরে নিমেষে পৌঁছে যায় আকাশ আর অনন্যার কাছে । ওরা ততক্ষণে পৌঁছে গেছে গাড়ির কাছে । গাড়িটা স্টার্ট দেবে তার আগেই পিশাচ পৌঁছে গাড়িটা খেলনার মত তুলে আছড়ে ফেলে । সামনেই ওই পরিত্যক্ত কুয়োটা । গর্জন করতে করতে পিশাচ এগিয়ে যায় আকাশের দিকে । অনন্যা ভেবে পায়না এই বিশাল আকারের হিংস্র পিশাচের সাথে লড়াই করবে কি করে ? আকাশ ওকে বাঁচাতে এখানে এসে এই পিশাচের হাতে কিছুতেই মরতে পারে না । কি মনে হতে নিজের ব্যাকপ্যাক থেকে অনন্যা হনুমানজীর লকেটটা বের করে আর পিশাচের সামনে দাঁড়িয়ে যায় । মুহূর্তে ছিটকে সরে যায় পিশাচ , অনন্যা এগিয়ে যায় পিশাচের দিকে আর পিশাচ পিছতে থাকে । একসময় পিশাচ ওই কুয়োর মধ্যে গিয়ে পড়ে , অনন্যা ঠাকুরের লকেটটা ওই কুয়োতে ছুঁড়ে দেয় । বিশাল একটা বিস্ফোট হয় আর কুয়োটা ধসে পড়ে হুড়মুড়িয়ে । আকাশের হাতটা ধরে অনন্যা ছুট লাগায় । একসময় যখন ওরা চন্ডী পাহাড়ের মা চন্ডির মন্দির পর্যন্ত পৌঁছায় ভোরের আলো ফুটে উঠেছে তখন পৃথিবীতে । ওরা মন্দিরে বসে একটু জিরিয়ে নেয় । আকাশ অনন্যাকে জিজ্ঞাসা করে তার মাথায় এই বুদ্ধিটা এলো কি করে ? অনন্যা বলে সিম্পল , যেখানে শয়তানের অস্তিত্ব আছে সেখানে ভগবানের অস্তিত্ব বৃহৎ । কুয়ো আর পিশাচ দুই শেষ । কিন্তু এরকম জায়গাতে সরকার গেস্ট হাউস বানিয়েছে কেন আর গেস্ট এলর্টই বা করে কেন ? আকাশ বলে সরকার ও অনন্যার মত ভূতে বিশ্বাস করে না তাই । তবে বনওয়ারী এককালে মানুষ ছিল তার এই অবস্থা হয় পিশাচের থেকে আঘাত পেয়ে কারণ পিশাচ শেষ হয়ে গেলেও অভিশাপ রেখেই যায় । অনন্যা বলে ভালোই হলো এবার আর অভিশাপ রইলো না । তারপর ওরা সব কাজ শেষ করে নেয় আর অনন্যা পরেরদিন লাভপুর রওনা দেয় । ও লক্ষ করে না আকাশের হাতে পিশাচের নখের আঁচড়ের ঘা জ্বল জ্বল করছে । ওই ঘা লাগার পর পরের পূর্ণিমাতে চাঁদের আলো আকাশের উপরে পড়তেই আকাশ ও হয়ে যাবে পিশাচ । যে পিশাচপুর শাসন করবে ।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror