ত্রিভুজ ( পর্ব -৪ )
ত্রিভুজ ( পর্ব -৪ )
একটা দোটানা এসে হাজির হলো নুপুরের মনে একদিকে তার সংসার অপদিকে সব কিছু ভুলে যাওয়া তার বয়ফ্রেন্ড বিশাল। আজ না হয় বিশাল তার অতীতকে ভুলেছে কিন্তু কালযে তার সব কিছু মনে পড়েযাবেনা সেটাতো বলা যায়না। প্রদ্যুত তার শেষ টুকু দিয়ে চেষ্টা করবে বিশালকে সুস্থ করে তুলতে। নানান কথা তখন নুপুরের মাথায় ঘুরছে। প্রদ্যুত এতক্ষন বিশালের রুমে ছিল। তাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। কি ম্যাডাম কি ভাবছেন? চমক ভাঙে নুপুরের বলে না কিছু না, একটা তাজা মানুষ অথচ তার আগামী বলে তার কাছে কিছুই নেই পেপার । প্রদ্যুত বলে আরো কত রকমের মানুষ আমাদের ডিলিংস করতে হয়। নুপুর সবকিছু জেনেও প্রদ্যুতকে প্রশ্ন করে আপনারা ওনার বাড়ির লোককে খবর দাওনি। কাকে খবর দেব? নিউজ পেপার থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এমন কি প্রতিটি পুলিশ থানায় ওর ছবি দেওয়া রয়েছে কেউ এলেন না ওর আপনজন হিসাবে। আর যদি ওর কথা বলো তাহলে যে নিজের নামটাই বলতে পারেনা সে তার পরিবারের খবর কিভাবে দেবে তবে একটা মজার বিষয় কি জানো ও ওর পড়াশুনাটা কিন্তু ভুলে যায়নি, ও দারুণ কবিতা পাঠ করে।
ঘড়িতে তখন নয়টা বাজে বাড়ির সকলে ফিরে আসে। নুপুর শশুর শাশুড়ির সাথে একদম মেয়ের মতো। তাই তাদের শব্দ পেয়ে ছুটে যেতে যায়, এমন সময় প্রদ্যুত তার হাতটা চেপে ধরে বলে এত তারা কিসের? নুপুর বলে আরে দরজাটা খুলতেতো হবে। প্রদ্যুত বলে নিচে ভুইদাতো রয়েছে ও দরজাটা খুলে দেবে। নুপুর প্রদ্যুতের হাতটা ছাড়িয়ে বলে দুষ্টুমির একটা লিমিট আছে আমি বাড়িতে থাকতে বাবা - মাকে দরজা খুলে দেবে ভুইদা প্রদ্যুতের নাকটা চেপে ধরে বলে সারা রাত রয়েছে আপনার জন্য। এখন আমি আসি এই বলে নুপুর চলে যায়। প্রদ্যুত একটু হেসে বলে একদম ছেলে মানুষ............।