লাল রেলগাড়ি
লাল রেলগাড়ি
কুঁ ঝিকঝিক, ঝকর ঝকর রেলগাড়ির দিন শেষ,
রেলগাড়ি চড়ে জানলা দিয়ে দেখতে লাগতো বেশ।
খোলা জানলা দিয়ে প্রকৃতির সেই মনোরম হাওয়া,
এ.সি.কোচের কাচের জানালায় যায় কি তা পাওয়া!
এখন যে চাই দুরন্ত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া,
রেলগাড়ি চড়ে আনন্দ উপভোগ নাইবা হলো পাওয়া।
মেট্রো রেল আরো বিষম! মাটির নীচ দিয়ে যাওয়া,
কি করা যায়, সময় কোথায়! সময় যে বেঁধে দেওয়া।
বাইরের প্রচুর ট্রাফিক জ্যাম! যায় এড়িয়ে যাওয়া!
কিন্তু আমি মাঝে মাঝে একটি কথা প্রায়ই ভাবি,
রেল লাইনের ওপর দিয়েই ট্রেন কেন যে চলে সবই।
বিজ্ঞানীরা বোঝান জানি, লোহা ও চৌম্বক আকর্ষণ,
কিন্তু এসব কথায় ভরেনা ভাই মোটেও আমার মন।
লাল রঙের রেলগাড়ির মতো কেন্নো অনেক দেখেছি,
এক একখানা রিং, রেলের এক এক কামরা হেন,
গুটি গুটি পায়ে ভালোই স্পিডে এগিয়ে চলে যেন।
কোনও দিনও দেখিনি একটা পিঁপড়েকে দিতে চাঁপা,
সারি সারি লিকলিকে কতগুলো যে ওদের পা!
কখন যে কোন পা টা ফেলে, তা তো জানিনা,
এ্যাডজাস্ট করে চলে কি করে , তাও বুঝিনা।
কোনো পায়ের সাথে কোনো পায়ের ধাক্কা লাগেনা!
উচু নিচু যেমনই হোক রাস্তা, চলে যায় কোনোমতে।
যখন যেদিকে খুশী রাস্তাটা খুঁজে নেয় স্বাধীন ভাবেই,
বিপদ বুঝলে এ্যাকসিডেন্ট হবার আগেই,
কি করে যেন আভাস পেয়ে, নিজেকে বাঁচাতেই,
নেয় সে যে শরীরটাকে, পুরোপুরি কেমন গুটিয়েই !
চুপটি করে বেশ থাকে পড়ে কিছুক্ষণ নিরিবিলিতেই।
বিপদটা যে কেটে গেছে একথা বুঝলে পরে,
আবার নতুন করে জীবন যুদ্ধের দৌড় শুরু করে।
রেলগাড়িও ঠিক এরকম হলে,মানুষ চাঁপা না দিলে,
আর প্রতি কামরায় অনেক জানালা থাকলে,
খুশী হতাম নিশ্চয় অনেক এমন রেলগাড়িতে চড়লে।