আয়না ( পর্ব ১)
আয়না ( পর্ব ১)
রিমি, রাতুল আর রোহিনী তিন বন্ধু। রিমি অর্থাৎ রিমি সেন, রাতুল মানে রাতুল লাহিড়ী আর রোহিনি বিশ্বাস। তারা ছোটবেলা থেকে একসাথেই বড় হয়েছে। রিমির বাবা বীরেন সেন একজন ইঞ্জিনিয়ার আর মা রিয়া সেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। রাতুলের বাবা নয়ন লাহিড়ী একজন ব্যবসায়ী। আর রাতুলের মা নমিতা লাহিড়ী সাম্প্রতিক কিছু মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
রোহিনীর বাবা প্রদীপ বিশ্বাস আর মা মালা বিশ্বাস দুজনেই বিখ্যাত বিজ্ঞানী। তারা বায়োলজিক্যাল বিষয়ে রিসার্চ করেন। রিমি রাতুল আর রোহিণী এক কলেজেই পড়াশোনা করছে। তারা কম্পিউটার সায়েন্স বিটেক করছে। তারা তিনজনেই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী। ছোটবেলা থেকেই তাদের ভৌতিক বিষয়ে খুব আগ্রহ।
তাদের জীবনে একটাই পাওনা কবে তারা নিজের চোখে ভূত দেখবে। পুজো এসে গেছে তাই তাদের কলেজ ও ছুটি থাকবে। তারা ঠিক করেছে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে একদিন বিশ্রাম নিয়ে তারা বাবা-মাকে রাজি করিয়ে তিন বন্ধু মিলে নিতাইপুর যাবে। নিতাইপুরে রোহিণীর মামার বাড়ি। সেখানে খুব বড় করে দুর্গোৎসব পালন করা হয়।
তারা এই বাহানায় পুরো নিতাইপুর ঘুরবে। রোহিনী তার মামা পিনাকী ঘোষের কাছে শুনেছিল নিতাইপুরে অনেক পুরনো ভুতুড়ে বাংলো আছে। যেখানে এখনো মাঝে মাঝে ভূত দেখা যায়। তাই রোহিনীর কথা মত রিমি আর রাতুল সেখানে যেতে রাজি হয়ে যায়। তারা পঞ্চমীর দিন বাড়ি ফিরে আসে।
আর বাবা মার কাছে জেদ ধরে তারা নিতাইপুরে দুর্গোৎসব পালন করতে যাবে। প্রথমে বাবা মা রাজি না হলেও তাদের জেদের কাছে তারা রাজি হয়ে যান। তারা রাজি হলেও বাচ্চাদের বারবার করে সতর্ক করে দেন তারা যেন ওই ভূত বাংলো গুলোতে না যায়। নইলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে।