আয়না/পর্ব ৩
আয়না/পর্ব ৩
রাতুল দাঁড়িয়ে যেতে সবাই দাঁড়িয়ে গেল।
পিনাকী বাবু:" রাতুল! কি হয়েছে দাঁড়িয়ে গেলে কেন?"
রাতুল: " আমার পায়ের তলায় শক্ত মতো কিছু একটা আটকালো।"
টর্চের আলোর নিচে ফেলতেই সবাই দেখলো তার পায়ের কাছে একটি মানুষের মাথার খুলি পড়ে আছে। হঠাৎ সকলে একটা ঠান্ডা বাতাস অনুভব করল।। সকলের গা ছমছম করতে লাগলো।
পিনাকী বাবু : "এখান থেকে ভুতুড়ে এলাকা শুরু। সকলের সজাগ থেকো। ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ ভয় পেলে ভূতরা আরও ভয় দেখাবে।"
রাতুলরা যতই এগোতে লাগল তারা চারিদিক দিয়ে না না রকমের আওয়াজ শুনতে পেল। তাদের চারপাশে অতৃপ্ত আত্মারা ঘোরা ফেরা করতে লাগলো।
পিনাকি বাবু :" যদি কারোর ভয় লাগে এখনো বলো। আমরা ফিরে যাব।
কিন্তু ভূতেদের এলাকায় পুরোপুরি প্রবেশ করলে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন হবে।" রোহিনী : " ভয় লাগবে কেন ? জীবনের এই শ্রেষ্ঠ মুহূর্তে পৌঁছে স্বপ্ন অপূর্ণ করে ফিরে যাব! কখনোই না।
রিমি আর রাতুল রোহিণীর কথায় সায় দিল।
পিনাকী বাবু : " ঠিক আছে। তাহলে চলো সবাই এগিয়ে যাই।"
কিছুদূর যাওয়ার পর সবাই একটি বাংলো দেখতে পেল। বাংলোটিকে দেখে খুব সহজেই বোঝা গেল এটি একটি ভুতুড়ে বাংলো। বাংলোটির চারপাশে সুপারি বাগান। পরিবেশটাও শান্ত।বাংলোটি খুব পুরনো। এই বাংলোটিতে ছিল ইংরেজ আমলের জমিদার বিক্রম প্রতাপ সিংহের।
কাছাকাছি যেতেই দেখা গেল ভিতরে আলো জ্বলছে।
পিনাকী বাবু: "কি চমকে দিলাম তো সবাইকে!"
রোহিনী : "এটা তো ভুতুড়ে বাংলো নয়। এখানে তো লোকজন আছে। তবে তুমি যে বলেছিলে আমাদের ভুতুড়ে বাংলোতে নিয়ে যাবে?"
পিনাকি বাবু:" আরে মামু !এত রাগ করছ কেন? আমার পুরো কথাটা তো শোনো।"
রিমি: " কি শুনবো?"
পিনাকি বাবু : "সকলের ভিতরে চলো। সব বলছি।"