বুড়ো বয়সে ভিমরতি
বুড়ো বয়সে ভিমরতি
শিবে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান পুরুষ বলে সবাই মনে করে। যে প্রথম স্ত্রীর ওপর ওয়্যারান্টি পেয়েছিলো। দেখুন সতী মরা যাবার আবার পার্বতীর বৌ পেলো , চাকুরী বাকরি করে না তবু বৌ ওর সংসারটা চালিয়েছে নিয়েছে। বন্ধুরা ওকে বেশ হিংসা করে এই জন্য।
ব্রম্ভাটাতো ভীষণ খুশি, আজ দূর্গা কাছে বেজায় মুখ ঝামটা খেয়েছে শিব বাবাজীবন। ভুমি কমানোর জন্য ও gym করে , সকাল বেলায় উঠে দৌড়তে যায়, সে অবধি ঠিক ছিলো। আজ একটু চুলে কলপ করেছে বলে কি কথাই না শেনালো দূর্গা। কার্তিক আবার তাতে ফোরন দিয়ে দিলো। ঠিকই কথা আইবুড়ো ছেলের বিয়ে না দিয়ে, বুড়ো বয়সে ভিমরতি ধরলো শিবের। পার্বতী বলে, "এই সব রঙ্গ দেখেইতো মেয়ে গুলো সব শিবের মতো বর চায়। মর্ত লোক রটীয়ে রেখেছে আমি ঝগড়াটে , মানে তোমরা একটু চান্স দাও আর আমি তোমাদের সাথে লীলা কীর্তন করি। কৈ কেতো , গনশার দিকে কেউ তো ঘুরেও তাকায়না!"
শিব বলল" আমি কোথায় লীলা করি , লীলা তো করে। ওই কেষ্টা।"
দূর্গা বললো " সেতো জানি, সেই লীলা তুমি তো ঢুকেছিলে চুরি করে সে কথা কেনা জানে।"
শিব জানে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। যৌবনে কিছু করতে পারলো না বৃদ্ধ বয়সে আর কি করবে। মর্ত লোক মেয়ে প্রেম করে সমবয়সী ছেলেদের সাথে, কিন্তু বিয়ে করে পয়সাওয়ালা বুড়োদের। তেমনি মুখে শিবের মতো বর চেয়েও , রাধা মতো কৃষ্ণ দিকে ছুটে বেড়ায় ওরা যৌবনে। বিয়ে করতে চায় রামকে। তাই অনেক বার ডিভোর্স দেবে বলেও শিব সাহস করে উঠতে পারিনি। বুড়ো বয়সে ওকে কেবা দেখবে। তাই দূর্গার মুখ ঝামটানি শুনে নেয় মুখ বুজে।
তবে শিব বলো ব্রম্ভা বলো সবার দুঃখ এক জায়গায়। কৃষ্ণ বা বিষ্ণুর মতো যৌবনকে ওরা কেউ উপভোগ করতে পারলো না। যমুনাতে সখীদের বস্ত্র হরণ করেও ও বদনাম হলো না। অথচ দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের সময় বস্ত্র দিয়ে হিরো হয়ে গেলো। বেটা রাম চন্দ্র অবতারে অগ্নি পরীক্ষার নামে বৌকে পুড়িয়ে মারা প্লান করেছিল তবু লোকে বলে দেখো পুরো রাম সীতার জোরি। সতী মরতে শিব পাগলা হয়ে গেছিলো। তবু অন্যের বৌয়ের সাথে পরকীয়া প্রেম করেও রাধাকৃষ্ণ নাকি শ্রেষ্ঠ প্রেমিক প্রেমিকা।শিবের পোড়া কপাল এমন কোন মেয়ে ওর সাথে কথা বলতে ই চায় না। যখন থেকে দূর্গা মনসার চোখ কানা করে দিলো। তবে সে যাইহোক অনেক মেয়েতো ওর মন্দির ভিড় জমায়, একটু আধটু ইমপ্রেস করতে চুল কালো করছে বলে এভাবে বুড়ো বলে ইনসাল্ট ভালো লাগেনা ওর। অবশ্য প্রতিবাদ করতো কিন্তু বৌ এর কালি রূপ দেখার পর ওর আর কোন সাহস হয় না।
তবে বৌ যে কদিন বাপের বাড়িতে যায় সেই কয়েকটি দিন ওর আনন্দ, বৃদ্ধ বয়সে ও নব যৌবন ফিরে আসে। কিন্তু মুস্কিল হলো এখন আবার WhatsApp location ট্রেস করে , মাঝে মাঝে video call করে বসে আজকাল দূর্গা। তাই ভোলানাথ , এখন গাঁজা সেবন করে ঘুমিয়ে দিন কাটায়, যৌবন ,ব্যার্ধক্য দুটোই তার ব্যর্থ হয়েছে এমন একটি দর্জাল বৌ পেয়ে।,
,,,,,,,,,