কিপটে দিদি আর মিষ্টি বোন
কিপটে দিদি আর মিষ্টি বোন
ষষ্ঠ শ্রেণীতে পরে রিয়া আর দশম শ্রেণীতে পড়ে তার দিদি প্রিয়া। একদিন সকালে তাদের বাবা মা এক বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে যাবে। সেদিন রিয়া ঘুম থেকে এখনও উঠেনি আর প্রিয়া বসে টিভি দেখছে। তার বাবা মা রেডি হয়ে এসে প্রিয়া কে বললেন,
-- প্রিয়া, আমি এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে যাচ্ছি। রিয়া কে ঠিকমতো খাবার দিস।
-- আচ্ছা, মা, তুমি যাও।
প্রিয়া বলে আবার টিভি দেখতে বসলো। আর তার মা ভাবলো।
প্রিয়া খুব কিপটেমি করে। ওকে বলে যাই। ও যাতে কিপটেমি না করে।
-- প্রিয়া, তুই কিন্তু আর কিপটেমি করবি না ।
-- ঠিকাছে মা.
এই বলে তার বাবা মা চলে গেলো। ২ মিনিট পর রিয়া ঘুম থেকে উঠেই বলল,
-- দিদি, মা বাবা কোথায় ?
-- মা আর বাবা এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেমন্তন্ন খেতে গিয়েছে।।
-- ঠিকাছে। আমাকে খাবার দাও প্লিজ,
এই বলে রিয়া খাবার টেবিলে বসলো। আর প্রিয়া খাবার নিয়ে আসলো। আর খাবার দেখে রিয়া চমকে উঠে বললো।
-- দিদি। আমাকে কি খাবার দিয়েছো? এখানে মাত্র ১০ চামচ ভাত আর ২ চামচ তরকারি।
-- হ্যাঁ। খাবার খেলেই হয় না, খাবার বাঁচাতে হয়। তুমি এখন এটুকু খেলে । আবার পরে খেতে পারবে।
-- দিদি প্লিজ। তুমি আরেকটু ভাত আর তরকারি দাও। আমার খুব খিদে পেয়েছে।
-- না, তুমি এটুকুই খাবে ।
এই বলে প্রিয়া চলে গেলো। আর রিয়া খেল।
10 মিনিট পরে রিয়া এসে বললো।
-- দিদি, তুমি আমাকে তখন ভাত বেশি দাওনি দেখে। আমার এখন খিদে পেয়েছে আমাকে আম কেটে দাও।
প্রিয়া তখন রান্নাঘরের থেকে একটা আম নিল। তার অর্ধেক খেতে প্রিয়া কে খেতে দিল
-- দিদি তুমি অনেক কিপটেমি করছো। আম টা পুরো টুক কাট
-- না। এটা আমি রেখে দিব। আবার কালকে খেতে পারবে। যদি এখনি পুরো টুক কাটি। তাহলে আম গুলো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে তারপর আনতে বললে টাকা নষ্ট হবে।
-- দিদি প্লিজ। এমন করো না ।
এই বলে খেতে লাগলো। বিকাল বেলা তাদের বাবা মা আসলো। প্রথমেই তাদের মা বাবা রিয়ার কাছে আসলো। আর রিয়া তার মাকে সব বলল। তারপর তার মা বলল।
-- কি ? প্রিয়া এরকম করেছে। ঠিকাছে। আমি তোর বাবাকে বলছি। রাতে বিরিয়ানি নিয়ে আসতে।
-- ঠিকাছে ।
এই বলে সে বিরিয়ানি আনতে বললো
রাতে বিরিয়ানি খেল সবাই। তখন প্রিয়া বিরিয়ানি অর্ধেক খেল আর অর্ধেক রেখে দিল। তখন তার মা সেটা দেখে বললো
-- প্রিয়া সবটুকু খা। আর কিপটেমি করিস না
-- আরে মা, আমি আর খাবো না
-- তুই যদি এটা রেখেদিস তাহলে কালকে আর খেতে পারবি না কারণ গন্ধ হয়ে যাবে। আর যদি ফ্রিজে রেখেদিস তাহলে আরো বাজে হয়ে যাবে।
-- উমম।
এই বলে সবাই ঘুমাতে চলে গেলো। ঠিক এভাবেই চলতে লাগলো তাদের জীবন।
রিয়া নদীর পাড়ে বাসন মাজ ছিল। তখন প্রিয বলল।
-- সাবান এতখানি কেনো নষ্ট করছো। তুমি অল্প করে নাও
রিয়া কিছু বলল না। সে বাসন মেজে সাবান নিয়ে চলে গেলো।
আবার রিয়া রাঙ্গলি দিচ্ছিল। হটাৎ প্রিয়া এসে বললো।
-- রিয়া তুমি এরকম করে রাঙ্গলী দিচ্ছ কেন। এভাবে দিলে সব শেষ হয়ে যাবে । তুমি বরং এই বোতল টা দিয়ে দাও। তাহলে আর সব তাড়াতাড়ি শেষও হবে না আর অনেক সুন্দরও হবে।
রিয়া, প্রিয়ার কথায় কান দিল না। সে রাঙ্গোলি দিয়ে চলে গেলো। ঠিক এভাবেই চলতে থাকে তাদের জীবন
প্রিয়া তো কিপটামি ছাড়লই না।