কফি নিয়ে গল্প
কফি নিয়ে গল্প
জানিস পুলক কফি নিয়ে একটা গল্প আছে যা খুব মজার। আশীষ কথাগুলো বলতে বলতে কফি কাপে চুমুক দিলো।
কফি হাউসে ঢুকতেই বাঁদিকের এই টেবিল টা আমাদের বড় প্রিয়।
কফি আবিষ্কার নিয়ে আরবে একটি মজার গল্প প্রচলিত আছে।
বহু শতাব্দী আগে একবার কালদি নামের এক মেষ পালক মেষ চড়াতে গিয়ে এক অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ করে, তার সাথে আসা অল্প বয়সি কিছু মেষ সবুজ উদ্ভিদের লালচে ফল খাচ্ছে আর লাফাচ্ছে। লক্ষ করলো বেশি বয়সী মেষ গুলোও ঐ ফল খেয়ে ভারি শরীর নিয়ে লাফাচ্ছে ছুটছে, দুষ্টুমি করছে। জানোয়ার গুলোর ঐ লাফা লাফি ছোটাছুটি দেখে সে নিজেকেও থামাতে পারেনা ও ঐ ফল খায়,এবং খুব প্রানবন্ত মনেহয় নিজেকে। এই অনুভূতির কথা কালদি নিজের মালিককে জানায়। মালিক ও সেই ফল খায়। মালিকের ও ঐ ফল খাবার পর অনুভূতি ছিল একই রকম।
আমি বললাম, এটা বোধহয় কফিতে থাকা ক্যাফিন এর এফেক্ট।
পরে জানা যায়, ঐ ফল ছিল কফি। এই গল্পের কোনো লিখিত দলিল নেই। কিন্তু বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে ষোড়শ শতকে মধ্যপ্রাচ্যে ও ইয়োরোপের বিভিন্ন দেশে কফি পান শুরু হয়।
আমি বললাম, কফি নিয়েই যখন গল্প, তখন কফির বিষয়ে ভাল কিছু বল।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে কফি পান-কারীদের মৃত্যু সম্ভাবনা কম হয় কিছু শারীরিক জটিলতা থেকে,যেমন করোনারি হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগ।
দিনে এক থেকে দুই কাপ কফি পান করা হার্ট ফেইলিওর প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে, যখন দুর্বল হৃদপিণ্ড শরীরের চারপাশে পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে অসুবিধা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বেশি কফি পান করেন তাদের টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।লিভারের জন্য উপকারী। আরো অনেক গুনাগুন আছে কফি পান করার।
সঠিক ভাবে দিনে দুই থেকে চার কাপ কফি পান করা যেতেই পারে।