তারে যায় না বলা
তারে যায় না বলা
আষাঢ় - শ্রাবণ কে বোঝা দায়। কখন যে কালো মেঘ গুটি গুটি করে ভিড় করবে; তারপর ঝম ঝম বৃষ্টি। আলোর চমকানি, ভীষণ আওয়াজ। বড্ড একলা লাগে। নিঃসঙ্গতার হাল ধরে জানলার ধারে গিয়ে বসি, পাশে সাজানো বাহারি পাতার টব। কোনো কিছুতে মন বসাতে পারি না আজকাল । পুরোনো সুখ নিয়েই এখনো কাড়াকাড়ি করি, বাস্তব খোঁচা দেয়। সংশয় হয় , অনাদরে আর তো কেউ ডাকে না ।খুব অপেক্ষা করে থাকি একটা ফোনের।মাঝে মাঝে দু চারটে পোষাকি কথা হয়, আবার ঝগড়া হয় । বুক ঠেলে কান্না পায় আমার, অনেক কথা বেরোতে চায় কিন্তু অভিমানের পাহাড় ডিঙোনো সহজ নয় । আর আমার তো কোন মেঘদূতও নেই।অগত্যা, সাজানো সময়ের স্মৃতিতে বর্ষা আসে, তবু ফোন আসে না। 'এখনও কি ডাকার সাজে সাজেনি?যে টেলিফোন বাজার কথা বাজেনি। 'জলের ফোঁটা বাড়তে বাড়তে বৃষ্টি এল, সাথে ঝড়। এরকম সময়ে বেশ কয়েকটা কদম ফুল ছিটকে বারান্দায় এসে পড়ে। ইলেক্ট্রিকের তারে জমা হয় বিন্দু বিন্দু জলরাশি; ঘরের নীল আলোটা আমার বিরহ আরো ঘনিয়ে তোলে। দীর্ঘশ্বাস ফেলি। এখন আমার মনে অবিরাম একটা আপন মানুষের ছবি ভেসে ওঠে। তার নাম ধরে চুপি চুপি ভীষণ ডাকি । বুকভাঙা বোঝায় আমার ক্লান্ত লাগে খুব। নানান লোকের মাঝে দুঃখ চেপে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে অসময়ে তোমাকে ভালোবাসতে।আমি ভীষণ চাই বৃষ্টির ঘন স্পর্শে, মেঘের গর্জনে আমাদের থেমে থাকা চ্যাট বক্স-টা আবার ভরে উঠুক। তারপরে ঘুম আসুক, বহু আকাঙ্খিত গোপন কথার পরে।' কথা কও , কথা কও,অনাদি অতীত, অনন্ত রাতে কেন বসে চেয়ে রও। 'সকলের নিজস্ব দুঃখ আছে, কিন্তু তার প্রকাশ নেই । শুধু একটাই শব্দ ইগো। আমরা কেউ অচেতন নই, তবু ভাবি চুপ করে দূরে থাকলেই মুখর দিনগুলোর চঞ্চলতা শেষ হয়ে যাবে।আমরা নিজদের ভুলে থাকার চেষ্টা করি, খেলার ছলে বিনামূল্যে কারুর কাছে নিজেদের বোঝাতেও চাইনা। যদি সব জেনে গেলে অবহেলা করে?পিছুটান তুচ্ছ করে দেউলিয়া হতে পারি তবু মুখ ফোটাতে পারি না। অনেক টাই ফাঁকি থেকে যায় দুজনের কাছে, আর মনে হয় তোমাকে হারিয়ে ফেললেও হার টা তো স্বীকার করিনি।যদি প্রেম দিলে না প্রানেকেন আকাশ তবে এমন চাওয়া চায় এ মুখের পানে?