অ তিথি
অ তিথি
মনে পড়ে কাবুলিওয়ালা, আমি হলাম মিনি,
যেন অনেকটা তোমার সেই ছোট্ট মেয়ে ।
মানছি অনেক ভালোবাসো আমাকে,
কিন্তু দুশ্চিন্তা করো যে অনেক বেশী তার চেয়ে।
বড় হয়ে আছি যে এখন নিজের সংসারে,
তুমি কি বোঝোনা, নাকি বুঝতে চাওনা,
দিনে, রাতে, সকালে, দুপুরে, বিকেলে বা সন্ধ্যায়
দরকার নেই তোমার আমার অতিথি হয়ে।
বাংলা ভাষায় বলেছি একই কথা ফিরে ফিরে।
জানি বলবে, মনের জোর কম, এগুলো কুসংস্কার,
শরীর ও মাথা দুর্বল, তাই এসব চিন্তা আসে আমার।
যদি বলি "ভালো আছি" তোমার প্রশ্নের উত্তরে…
কিছু না কিছু আপদ উপস্থিত হয় আমার তরে।
হয়তো কাকতালীয়, তবু গরম তেলের লাগলো ছিটে,
অথবা হঠাৎ করেই মাথাটা গেল ব্যাথায় ফেটে।
দাঁতের ফাঁকে হয়তো আটকে গেল কাঁকর,
হঠাৎ ব্যাথায় শুরু করে দিলাম ত্রাহিমাম চিৎকার!
তাতেই যেন পিলে চমকে গেল সবার।
একদম কাঙ্খিত নয় এসব ফরেন এলিমেন্টস,
কি করে কাউকে বোঝাই ব্যাথায় হয়ে গেলাম শেষ।
কি হয়েছে সেকথা বোঝাবারও নেই ক্ষমতা,
অনেক কষ্টে ইশারায় বোঝাই দাঁতে ব্যাথা।
কি করে হলো, জিজ্ঞেস করাতে মুখে আমার কুলুপ,
দেখে চোখে জল, করেছে সবাই একটু চুপ।
বাড়িতেই ছিল আগে থেকে এনে রাখা কমবিফ্লাম,
এতো রাতে দোকান বন্ধ, মিলতোনা দিলেও দাম।
কিছুক্ষণ পর ব্যাথাটা একটু সহনীয় হতে,
আয়না, টর্চ আর টুথপিক এলো আমার হাতে।
অবাঞ্ছিত এই অজানা অতিথিকে দিতে চাই বিদায়,
আমার রাতের ঘুমের একেবারে বারোটা যে বাজায়।
অনেক চেষ্টাতেও আমার সাধ্যের না কুলায়,
একটু ভেঙে বেরোয় বাকিটা থেকে যায়।
এভাবেই থাকতে হবে কিছুই আর করার নেই,
ডানদিকের দাঁত, মাথা, চোখ ব্যাথা তো সবেতেই।
খবরটা পেলেই নিজেকে ভাবতে বসবে অপয়া,
একথা আমি বলিনা, ভালো, মন্দ বা সুস্হ হ ওয়া,
সবটাই থাকে যে আমাদের সকলের ভাবনায়।
তাই বলি নিজের, অন্যের বা ভালোবাসার মানুষদের,
নিয়ে দুশ্চিন্তা একেবারেই বন্ধ করো, নৈব নৈব চ,
ভাবনাগুলো শুধু রেখো সবসময় ভালো থাকবার।