Sampa Maji

Abstract Fantasy Others

4  

Sampa Maji

Abstract Fantasy Others

অন্য সফর

অন্য সফর

16 mins
406


#ট্রাভেলডাইরি

ট্রেন থেকে নেমে ওই যে মেয়ের দলটা হেঁটে চলেছে মেস বাড়ির দিকে , ওরা  মহিষাদল গার্লস কলেজের ছাত্রী সবাই , আজ ওদের ফাইনাল সেমিস্টারের শেষ দিন। খুব খুশি ওরা, নিজেদের যেন মুক্তি পাখি মনে করছে আজ, এখন কি করবে বুঝে উঠতে  পারছে না ,ওদের মাথায় মধ্যে শুধু ঘুরে বেড়ানোর ভুত কাজ করে কিন্তু পরীক্ষা জন্য কিছু করতে পারছিল না। এতোদিন। তাই আজ ট্রেন থেকে নেমে বাসে না উঠে 2 কিলোমিটার পথ হাঁটবে ঠিক করেছে। তারপর একটা রেস্টুরেন্টে খেয়ে সন্ধ্যাটা কলেজ মাঠে একটু বসে একটু আড্ডা মেরে   ৮টায় মেসে যাবে । এই সন্ধ্যেটা ওরা খোলা আকাশের নিচে বসে একটু আনন্দ করতে চায়। ওদের আনন্দ আর তো অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী । কলেজ জীবন শেষ, তবে কেউ আপাতত পড়াশোনার ইতি টানছে না। এবার কেরিয়ারের দিকে ঝোঁক দেবে সবাই।

 আজই মেস বাড়িতে ওদের শেষ রাত্রি, কাল সকালে যে যার বাড়ি চলে যাবে। কাল সন্ধ্যায় আর একসাথে থাকবে না ভেবেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে ঠিক মতো আনন্দ উপভোগ ও করতে পারছে না।

দিয়া তো মাঝে মাঝেই বলে চলেছে , সত্যিই আমরা কাল থেকে একসাথে থাকবো না।

 আনন্দের মাঝে ওর এই কথা শুনে তিয়াসা বলে, এসব কথা বলে কেন আনন্দ মাটি করে দিতে চাইছিস বলতো।সত্যকে মানতেই হবে তাই না, তাছাড়া ফোন তো আছেই।

তিয়াসা যানে এসব ওর মন গড়া কথা ওর ও খুব খারাপ লাগছে।আজ থেকে তিন বছর আগে যখন ওরাএখানে এসেছিলাম তখন কেউ কাউকে চিনতাম না। আর আজ সবাই যেন এক হরিহর আত্মা। শুধু মেস নয় কলেজেও সবাই জানে ওদের  বন্ধুত্বের কথা। কিন্তু ওদের পড়ার বিষয়  এক নয়। তৃনা , তিয়াসা আর অহনা আর্টস , নুপুর আর দিয়া সায়েন্স  ,নিশা কমার্স ।

গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় অনেক দিন পর খোলা মাঠে একসাথে খুব ভালোই লাগছে  এতোদিন পড়ার চাপে বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তবে বাইরে বেড়োই নি তা নয় মনটা এতটা ফ্রি থাকতো না তখন। এটা জরুরি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ওদের এখন। অনেক দিন আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল আজ শুধু শেষ প্রস্তুতি বলেই চলে। পরীক্ষার পর ওরা একসাথে সবাই ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। কাছে পিঠে নয় একটু দূরে, রাজ্য থেকে বেরিয়ে একটু সবুজের মাঝে, যাকে বলে অ্যাডভেঞ্চার । তবে ওদের পরিকল্পনা এতো সহজে সফল হওয়ার নয় ।তার বড় কারন ওদের সফরে সবাই ওরা মেয়ে  এটাই বড় কারন।   মেয়েরা একা  একা ঘুরতে যাবে তাও আবার অন্য রাজ্যে এটা যেন ভাবতেই অসম্ভব লাগছে। ওরা এই অসম্ভব টাকেই সম্ভব করতে চাই, কচুরিপানার দলে গা না ভাসিয়ে একটু অন্য রকম ভাবে আনন্দ করতে চায়।এতে  বাড়ির লোকেদের রাজি করানো খুবই কঠিন তবুও চেষ্টা করতে ক্ষতি কি ।তাই বাবা মা এদের কিভাবে মন জয়  করা যায় সেই নিয়েই আজ শেষ আসরে আলোচনা । বর্তমান আধুনিক সময়ে  ভয় গুলো থেকেই গেছে বাকি সব আধুনিক হয়েছে।মেয়েরা জীবনে একটু অন্য রকম ভাবে ভাবলেই যত সমস্যা বাড়ির লোকজন দের। এর জন্য অবশ্য বাড়ির লোকজন কে দায়ী করা ঠিক হবে না। বিশেষ করে আত্মীয় স্বজন বাড়ি লোকদের মাথা খেয়ে নেয়।  আবার লোকেদের কোনো ভাবে রাজি করানো গেলেও পাড়া প্রতিবেশীর পিন ফোটানো কথায়  বাড়ির লোকের মন ভয় ধরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। মেয়েরা একলা গেলে নাকি অনেক বিপদ হতে পারে অথচ দেখো যদি ওই মেয়েরাই একটা চাকরি পেয়ে যায় তখন আর দূরকে দুর মনে হবে না ,মেয়ে একা এই নিয়ে এও কোনো প্রশ্ন উঠবে না যদি আবার সরকারি চাকরি হয় তখন তো আর কোথায়ই নেই। সমাজের কিছু বাঁধাধরা নিয়ম , প্রচলিত ধারণা আছে সে  গুলো যদি তুমি মেনে চলতে পারো তো তুমি খুব ভালো না হলেই বেপরোয়া । এসব নিয়ে আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে । সবার পরিবারের সদস্যদের মন তো এক নয় তাই যে যার মতো করে বুদ্ধি খাটিয়ে মন জয় করতে হবে । তবে দুটো শর্ত আছে,

এক – বাড়িতে মিথ্যে বলা চলবে না।

দুই- শেষ মুহূর্তে বাতিল করা চলবে না, যে ভাবো হোক মানাতেই হবে বাড়ির লোকদের ,তার জন্য কাটাকাটি কিংম্বা ইমোশনাল ব্লাকমেইল যার যেটা ভালো লাগে করতে পারো কোনো সমস্যা নেই ।

টাকা নিয়ে ভাবতে হবে না যার যতোটা সামর্থ্য দেবে বাকি টা দিয়ার ঠাম্মি দেবে বলেছে । দিয়ার ঠাম্মি এই সব বিষয়ে খুব আগ্রহী। দিয়া ঠাম্মিকে ঘরতে যাওয়ার পরিকল্পনাটা আগেই শুনিয়েছে, শুনে ঠাম্মি বলেছে,

- দিদিভাই তোদের প্লান মন্দ নয়, আমার বয়স থাকলে আমিই তোদের সঙ্গে যোগ দিতাম। আমি তো যেতে পারবো না তোদের কাছে গল্প শুনে মন ভরাবো। তবে আমি না গেলেও আমার  একটা জিনিস তোদের সাথে যেতে পারে ।

- কি ঠাম্মি?

- আমি তো কোথাও বেড়াই না তাই আমার হাত খরচাও নেই । আমার সব খরচ তোর বাবা আর কাকুই দেখে , আমি বললেও আমার টাকা হাত দেয় না , বলে বাবা উপর থেকে দেখলে খুব রাগ করবে।, তাই বলছি তোদের ঘুরতে যাওয়ার গাড়ি ভাড়া যা লাগে আমি দেবো , তোর বন্ধু দের বলে দিস।

 

অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে ফাইনালি যাওয়ার দিন ঠিক হয় , প্রথমে তো বাবা মায়ে রা  মানছিল না কিছুতেই শুধু নুপুরের বাবা ছাড়া ।নুপুরের বাবা একেবারে খোলামেলা স্বভাবের মানুষ তিনি নিজেও বন্ধুদের সাথে ঘুরতে ভালো বাসেন। তিনি বোঝেন এই সময়  মেয়েদের ও একটু আধটু একা ছাড়া দরকার তবেই তো ওরা নিজেদের চিনতে শিখবে , নিজের মতো জীবন গড়তে পারবে। বাকি মেয়েদের বাবা মায়ে দেযর সাথে কথা বলে তাদের রাজি করিয়েছেন নুপুরের বাবা । নুপুরের বাবা বিভাস কাকুর কোন এক বন্ধু ওখানকার ফরেস্ট Department  কাজ করে তার সাথে কথা বলেছে এবং নাম্বার ও দিয়েছে, যদি কোনো অসুবিধা হয় ফোন করে নিতে। তিনি ও মাঝে মাঝে ফোন করে খবরাখবর নেবে বলেছে। এসব শুনে সবাই একটু ভরসা পেয়েছে তাই রাজি হয়ে যায় বাড়ির লোক। তবে একটা শর্ত দিয়েছে , ফোন সুইচ অফ রাখা চলবে না, যখনই ফোন করবে ফোন তুলতে হবে, বা নতুন জায়গা যাওয়ার আগে মেসেজ করে জানিয়ে দিতে হবে এই মুহূর্তে কোথায় আছে, লোকেশন শেয়ার করে দিতে হবে।ওরা এই শর্তে এক বাক্যে রাজি হয়ে যায়।

টিকিট কাটা থেকে লোকেশন ঠিক, ব্যাগ পেকিং , হোটেল বুকিং  সব ওরা নিজেরাই করতে চায়।এর জন্য শুধু গুগলের সাহায্য নেবে, এই অ্যডভেঞ্চার জার্নির পুরো ক্রডিট ওরা নিজেরাই রাখতে চায় । তবে সবাই কাজ ভাগ করে নিয়েছে যে যার দায়িত্ব পালন করবে , তাহলে কোনো অসুবিধা হবে না, যদিও  সবাই একসাথে সমাধান খুঁজে নেবে।

 

হাওড়া থেকে ওরা যে  ট্রেনে উঠেছে তার শেষ গন্তব্য স্থল চেন্নাই তবে ওরা বিশাখাপত্তনম এ নামে ।না ওরা বিশাখাপত্তনম যাচ্ছে না, সমুদ্র নয় সবুজ পাহাড়, ঝরনা,নদী এসবই ওদের টানে বেশি। তাই ওরা ওখান থেকে লোকাল বাস ধরে যাবে আরাকু ভ্যালি । বাড়ির লোক বলেছি ওখান থেকে গাইড নিয়ে Personal গাড়ি নিতে কিন্তু ওরা পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ঘুরতে গিয়ে একটু কষ্ট না করলে মজা নেই। অ্যাডভেঞ্চার আরামের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না, অভিজ্ঞতা করতে এসেছে একটু তো সাধারণ হতেই হবে। এদের যুক্তির কাছে বাড়ির লোকজন হার মেনে যায়। তাই আর কিছু বলতে না , শুধু বারবার একটাই কথা আওড়াতে থাকে চোখ কান খোলা রেখে চলা ফেরা করবি , অপরিচিতের সাথে বেশি কথা বলবি না, কেউ কিছু দিলে খাবি না ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদের ও এই একই কথা শুনতে শুনতে কান ব্যাথা হয়ে গিয়েছে তাই আর কিছু বলে না শুধু ‘হুম ‘বলে ফোন  রেখে দেয়।

 

ট্রেন থেকে নেমে আধ ঘন্টা অপেক্ষা করতেই আরাকু ভ্যালি যাওয়ার বাস এসে পরে । বাস আসলে  ওরাও তাড়াতাড়ি উঠে সিট খুঁজে নেয়, ওদের ভাগ্য সাথে আছে তাই সিট পেতে কষ্ট হয়না মাঝের সিট পেয়েছে । বাস 10 মিনিট পরে ছাড়বে তাই কিছু হালকা খাবার নিয়ে উঠে আসে বাসে । বাসে  ভিড় নেই ,বেশি কয়েকটা লোকাল লোক আর বাকি সব টুরিষ্ট দেখে মনে হচ্ছে। বাস ওদের নিয়ে  পাহাড় ঘেরা খাঁড়াই পাহাড়ী রাস্তা দিয়ে বাস এঁকে বেঁকে পাহাড়ী পথে চলতে শুরু করে। বাসে চড়ে পাহাড়ী রাস্তায় এই প্রথম। নিশা, তৃনা ওরা দার্জিলিং গিয়েছিল খুব ছোট্ট বেলায় তেমন কিছু মনে নেই শুধু ছবি দেখেই বুঝতে পারে ঘুরতে গিয়েছিল এইটুকু। এই আঁকা বাঁকা পাহাড়ী পথে একটা ভয় মিশ্রিত আনন্দ আছে তা ওরা 5 জন অনুভব করতে পারছে শুধু নিশা ছাড়া।নিশা একটু ভিতু মেয়ে কিন্তু বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবে শুনে ভুলে গিয়েছিল ওর বেশি ওপর থেকে নিচে তাকালে ওর মাথা ঘোরায় । এখন খুব ভয় করছে তাই চোখ বন্ধ করে তৃনার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। বাসটা দুদিকে পাহাড় ফেলে রেখে ছুটে চলেছে গন্তব্যের দিকে। রাস্তার দুই দিকে কি সুন্দর ছোট্ট ছোট্ট সবুজ পাহাড় ।

হঠাৎ অদ্রিজা চেঁচিয়ে ওঠে- দেখ কি সুন্দর পাহাড়ের মাঝখান থেকে ছোট্ট ঝর্না নেমেছে যেন মন হচ্ছে শিবের জোটা থেকে গঙ্গা নেমেছে।

এমন সুন্দর দৃশ্য কি ভালোই না লাগছে, এখন ভাবছে যদি প্রাইভেট গাড়িতে করে আসতো তাহলে একটু গাড়ি থামিয়ে ভালো করে দেখে নিত। আবার তিয়াসা বলে ওঠে- এদিকে আবার একটা ,বা বেশ ভালো তো।

ওদের এই উচ্ছাস দেখে বাসের বাকি লোক জন ওদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মন ঘুরিয়ে নেয়। ওদের খুশির ভাগিদার হতে চায় না। আসলে নিত্য যাত্রীতো তাই ওদের কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু ওদের আনন্দ উচ্ছ্বাস একটুও কমে না লোকে কি ভাবছে দেখার দরকার নেই ওরা ঘুরতে এসেছে একটু আনন্দ করবে না তা আবার হয় নাকি। তাছাড়া বাঙালিরা একটু বেশিই উচ্ছাস প্রবন মানুষ তারা যেমন খাদ্য রসিক তেমনই ঘুরতে আনন্দ করাতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। কন্টাক্টর  এগিয়ে এসে টাকা নেয় তারপর জিজ্ঞেস করে

-আপলোক ঘুমনে আয়হো ।


- জি আঙ্কেল।

-   বহুত খুব, বহুত খুব। আপলোক বাঙালি আছো।

-   জি আঙ্কেল, কিউ

-   নেহি নেহি কুচ্ছ নেহি, হম অসমীয়া আছে। আপলোক খুব আনন্দ লেনা ইস সফরকা ।

-   বাত করকে আচ্ছা লাগা আঙ্কেল।

-   তন্দ্রুস রহো , সফরকা মজা লো।

 

কন্ট্রাক্টর  আঙ্কেল অন্য জনের কাছে চলে গেলে ওরা আবার বাসের জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরের প্রকৃতির মজা নিতে নিতে কিভাবে 4 ঘন্টার ভয় মিশ্রিত রাস্তা অতিবাহিত করে বুঝতে পারে না। সূর্য যখন ঠিক মাথার ওপর তখন ওরা পৌঁছে যায় ওদের গন্তব্য স্থলের খুব কাছে। বাস থেকে নেমে একটা অটো রিক্সা নিয়ে পৌঁছে যায় ওদের বুক করে রাখা সরকারি রিসট এ । দুপুরে ফ্রেস হয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে ভাবে এতো টা জার্নি করে এসেছে একটু ঘুমবে , কিন্তু আনন্দে কারও কোনো ক্লান্তি নেই সবাই খুব রিলাক্স মুডে, শুধু তিয়াসা ছাড়া , তিয়াসা একটু ঘুম কাতু ও একটু ঘুমতে ভালো বাসে তাই বাকিরা যখন কখন কোথায় যাবে পরিকল্পনা করছে ও তখন ঘুমে চৈতন্য। সবাই যে বাড়িতে ফোন করে দিয়েছে পাছে চিন্তা না করে বাড়ির সবাই ।

 

দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই ওরা বেড়িয়ে পড়ে ঘুরতে ওরা আগেই লোকেশন দেখে নিয়েছে কাছাকাছি কি আছে একটা অটোরিকশা নিয়ে পৌঁছে যায় TRIBAL Museum । ভেতরে প্রবেশ করে অবাক হয়ে যায় এতো সুন্দর পুতুল দেখে। যেন মনে হবে সবাই জীবিত। উপজাতি সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি পুতুলের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে। ঘন্টা খানেক ভেতরে দেখার পর বাইরে বেড়িয়ে আসতেই দেখে বৃষ্টি শুরু হয়ে কিন্তু তখন ও পুরো Museum দেখা শেষ হয় না তাই একটু ভিজে ভিজেই ঘুরে দেখে চারিপাশ। তার পর বৃষ্টি তে ভেজা ঠিক নয় ভেবে হোটেলের রুমে ফিরে আসে।

 

পরের দিন সকালে ওরা একটা গাইড এর নেয় , সেই গাইডই ওদের কে গাড়ির বদলে স্কুটির নেওয়ার পরামর্শ দেয় । খরচ খুব বেশি নয় কিন্তু সফর খুব আনন্দের হবে । ওরাই ও এই সুন্দর সুযোগ টা হাত ছাড়া করতে চায় না , খোলা আকাশের নিচে খোলা যানে করে ঘোরার মজাই আলাদা। তাছাড়া এখানে ওয়েদার খুব মনোরম , না খুব শীত না গরম। তাই খুব অসুবিধা হবে না। তৃনা বাদে সবাই স্কুটি যানে, তাই কোনো সমস্যাই নেই বদলা বদলিকরে চালিয়ে নিতে পারবে । আগের দিন ওদের গাইড Whatsapp location পাঠিয়ে দিয়েছে তাই একটা অটো রিক্সা নিয়ে চলছে আসতে বলে ওদের কে গাইড অফিসে। ওখান থেকে ওদের যাত্রা শুরু। গাইডের কথা মতো ওরা সকাল সকাল তৈরি হয়ে চলে আসে গাইড অফিসে ওদের তিনটে স্কুটি বেছে নিতে বলে । ওদের জন্য তিনটে এবং গাইডদের জন্য এটা মোট চারটে স্কুটি  নিয়ে ওরা বেড়িয়ে পরে ওদের অ্যাডভেঞ্চার সফরে । প্রথমে যাবে Padma Purana Gardens , সকালের আবহাওয়া খুব সুন্দর তাই স্কুটি চালাতে খুব ভালোই লাগছে । হালকা কুয়াশায় মোড়া সবুজ প্রকৃতি ঘেরা গাড়ি শূন্য রাস্তায় যেতে ওদের খুব মজা লাগছে । প্রকৃতির আমেজ উপভোগ করতে করতে ওরা পৌঁছে যায় ওদের প্রথম গন্তব্য স্থলে। Garden এর প্রবেশ দ্বারে সুন্দর শিব-দূর্গার মূর্তি দেখে ওদের মনটা ভরে যায়। কিছু সময় ঘুরো ঘুরি করে ওরা ওখান থেকে বেরিয়ে যাবে Coffee Museum। কফি ঘেরা রাস্তার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে কিছু ক্ষন দাঁড়িয়ে কফি বাগান গুলো ভালো করে দেখে নেয়। ওরা কফি গাছের পাসে কয়েকটা গোল মরিচের গাছ দেখে , ওদের গাইড ওদের চিনিয়ে দেয় গাছ , এখন ফলের সিজিন নয় এই সব ফুল ধরেছে তাই কয়েকটা পাতা নিয়েই ওদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কিছু ছবি এবং কফি , কফি পাতা  গোল মরিচের পাতা সঙ্গে নেয় স্মৃতির হিসেবে রাখার জন্য , তার পর চলে আসে কফি মিউজিয়ামে। কফির তৈরি কিভাবে হয় , কফির দানা কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি দেখতে থাকে , সাথে কিছু কফি দিয়ে তৈরি খাবার কিনে নেয় বাড়ির জন্য। Coffee Museum এসে কফি খাবে না তা কখনো হয়। কফি বাগানে পাসে বসে সুস্বাদু কফি খেতে কার না ভালো লাগে। ওরা প্রান ভরে এক কাপ করে কফি খেতে আবার বেড়িয়ে পরে Araku Valley উদ্দেশ্যে। ওরা শুনেছে এখানে সিনেমার শুটিং হয় । ওদের গাইড বলতে থাকে কোনো কোনো সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানে। এতো সুন্দর জায়গা এর আগে দেখেনি , দূর থেকে খুব সুন্দর লাগছে কাছে তো আরও সুন্দর লাগবে । ওরা কিছু ক্ষন এদিক ওদিক হেঁটে বেড়ায় । সুন্দর প্রকৃতি তার ওপর সুন্দর আবহাওয়া, যেন সোনায় সোহাগা। সবাই এক একটা ফটোগ্রাফার হয়ে নিজের ইচ্ছে মত ফটো তুলতে থাকে । ফোটা তোলায় তিয়াসা খুব ফেমাস , এদের সাথে একটা ক্যামেরা আছে , সুন্দর দৃশ্য আরও সুন্দর করে বন্দী করে নেয় সবাইকে দেখানোর জন্য। সবাই খুব খিদা লাগে তাই রাস্তার পাশের একটা রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ওঠে। খাওয়ার অর্ডার  দিয়ে অপেক্ষা করছে তখন হঠাৎই আকাশ মেঘলা হয়ে আসে  ওরা হোটেলে ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আসে ওরা অনেকটা পথ এসেছে স্কুটিতে । এতোটা পথ ওদের তো স্কুটি চালিয়েছে ফিরতে হবে , যদি অনেক ক্ষন বৃষ্টি হয়, যদি বৃষ্টির মধ্যেই যেতে হয় তাহলে শরীর খারাপ হতে পারে , সাথে রেনকোট নেই । ওদের চিন্তিত দেখে ওদের গাইড কারন জানতে চায় । সব শুনে গাইড ,

-   আপলোগ পরিসান মত  হুইয়ে, হাম আপলোগো কা গাইড হে, হামরা কাম আপলোগো কো সুরকস্কিত রাখনা।ওর  ইতনি জলদ বারিস নেহি আয়েগি ,  । ফের ভি আয়েতো বহত জলদ রুক ভী  যাএগী, ফেরভি কৌউ দিক্তক নেহী।হামারে পাস আপলোগোকে লিয়ে Raincoat হ্যা। Tensions হামলোগোকে পাস ছোর কর আপলোগ Energy করো।

-   গাইডের কথা শুনে ওরা নিশ্চিত হয় , শান্তিতে খাবার খেয়ে নেয়। তখনই অঝোরে বৃষ্টি আসে, সকালে কতো সুন্দর আবহাওয়া ছিল, সকাল কেন ১ ঘন্টা আগেও বোঝা যায় নি বৃষ্টি আসবে। এই বৃষ্টি দেখে ওদের খুব মজাই লাগছে , এইজন্য বলে প্রকৃতির দুয়ারে কিছুর অভাব নেই। রৌদ্র, বৃষ্টি সবই মজুত আছে যখনই চাইবে তখনই দিয়ে যাবে, আবার না চাইলেও দিয়ে যায়। যদিও ওরা কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি আসতে পারে ভেবে ভয় পাচ্ছিল।ওরা এখন ভাবছে বৃষ্টি না আসতে তাহলে অনেক কিছুই মিস করে যেত। এই শান্ত প্রকৃতির মাঝে বিহঙ্গ বৃষ্টি কি ভালোই না লাগছে। ওদের আনন্দ করতে দেখে গাইড বলে, - আপ জমা আরাহী হে।

-   জরুর।

৪৫ মিনিট অঝর বৃষ্টির পর আকাশ একটু পরিষ্কার হয়ে যায় । ওরা এখান থেকে বেড়িয়ে পরে এবার হোটেলে ফেরার পালা । পথে আর কোথাও দাঁড়ানোর নেই সোজা হোটেলে ফিরবে আর একটা জায়গা নিয়ে যেতে কিন্তু বৃষ্টির জন্য সেখানে আর যাওয়া হবে না। বৃষ্টির পর চারিদিকটা খুব সুন্দর দেখায়, গাছের পাতা গুলো অন্যরকম লাগছে ভেজা পাতা রং টা সুন্দর লাগছে।  ফেরার পথে একটা কফি বাগানে ঘেরা রাস্তার পাশে ছোট একটা দোকানে এককাপ করে কফি খেয়ে নেয়। তার পর আবার স্কুটি চলতে শুরু করে , আজকে মতো ওদের Ride শেষ হয়। ওদের গাইড ওদের কাছে জেনে নেয় এই স্কুটি সফরের অভিজ্ঞতা। ওদের গাইড এর নাম তো বলাই হয় নি,অনিশ  আর মন্থনা।ওরা  Husband and wife এরা ৩ বছর ধরে এই কাজ করছে। বিদায় দেওয়া আগে একটা গ্রুপ ফটো তুলে নেয়।

 

সন্ধ্যায় ওরা কোথাও বেড়োয় না , রুমে বিশ্রাম নিয়ে কাটিয়ে দেয়। কিন্তু পরের দিন বৃষ্টি ভিলেন হয়ে দাঁড়ায় ওদের সম্মুখে, আকাশ মেঘলা হলে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে , আবহাওয়া বিচ্ছিরি হয়ে যায় , এই ওয়েদারে ঘুরার আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে তাই ওরা ঠিক করে আজকে বেশি দূরে কোথাও বেড়বে না কিছু কেনাকাটা সেরে নেবে এখান থেকে বাড়ির জন্য ‌ বিকেলের দিকে । পরিকল্পনা একটু পরিবর্তন করতে হবে বিশাখাপত্তনমে থাকার পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে যেহেতু ওদের হাতে এখনো দুটো দিন আছে তাই আজকে না বেড়োলে কোনো সমস্যা হবে না কালকে যদি আবহাওয়া হয় তাহলে খুব ভালোই। ওদের এই টুকু রিকস নিতেই হবে। আসলে ওরা মনের কথা শুনতে ভালো বাসে। তাছাড়া বিশাকাপত্তনম আবার আসতে পারবে আর আসবেও তাই এটাই ঠিক হয় এইখানে একটা দিন থাকবে কাছে পিঠের জায়গা গুলো একটু ঘুরে নেবে।

  পরের দিন খুব সুন্দর ওয়েদার , , ওদের সিদ্ধান্ত টা সঠিক ছিল তাই একটুও সময় নষ্ট না করে গাড়ি কে ফোন করে ।ওরা সকাল সকাল স্নান করে তৈরি হয়ে নেই । এখান থেকে চলে যাবে তাই রুম ছেড়ে দিতে হবে, তাই সব কিছু ভালো করে গুছিয়ে নেয় । ওদের গাড়ির এসে গিয়েছে আজ ওরা কয়েকটা জায়গা দেখবে তবে আজ আর স্কুটি নয় ,আজ স্করফু । আর এখানে ফিরবে না , গাড়ি বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে পৌঁছে দেবে স্টেশনে সেখান থেকে যাবে বিশাখাপত্তমে। সকালের নাস্তা সেরে গাড়িতে উঠে পরে , গাড়ি ওদের নিয়ে পৌঁছে যায় Araku Galikonda view point. সত্যই অপূর্ব দৃশ্য। যেন সুইসাইড পয়েন্ট এখান থেকে একবার নিচে পরে গেলে আর রক্ষা নেই। পৃথিবীর  ভয়ঙ্কর জায়গা গুলোই সব থেকে সুন্দর হয় । পার্কে তো বাদাম ভাজা বিক্রি হয় কিন্তু এখানে বাদাম সেদ্ধ বিক্রি হয়েছে ওরাও কিছু সেদ্ধ বাদামই কিনে নেয়।সেদ্ধ বাদাম, সাথে অপরূপ দৃশ্য কি দারুন লাগছে। ফোন বা ক্যামেরার দৃশ্য বন্দী করার পাসা পাসা মনের ক্যামেরায় ও আবদ্ধ করে নেয় ।  কিছুটা সময় কাটিয়ে ওরা চলে আসে Tariguda Water Falls. এতো বড় ঝরনা এই প্রথম তবে এটা পাহাড়ের বুক চিরে উৎপন্ন হয় নি , এটা নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার ফলে সৃষ্ট হয়েছে। সে যাই হোক খুব সুন্দর , কিন্তু স্নান করলে অনেক সমস্যা আছে তাই জল হাঁটু জলে নেমে একটু আনন্দ করি নেয়।   এর পর ওরা যায় Chaparai water Cascade ঠিক যেন ছোট্ট জলপ্রপাত। খুব সুন্দর নয় তবে সুন্দর , পাহাড়ের সব জায়গাতেই  সুন্দর লাগে। আজ ওদের জল দেখেই দিনটা কাটাতে হবে মনে হচ্ছে এর পর যায় Katika Water Falls , চারিদিকে শুধু ঝরনা আর ধরনা কৃত্রিম নয় তো প্রাকৃতিক । আজ ওরা একটা নতুন খাবার খায় যেটা এখানে খুব ফেমাস তা হল  ‘বাম্বু চিকেন’ বাঁশের ভেতর তৈরি মাংস । খুব সুস্বাদু ,একটা অন্য স্বাদ , মনে রাখার মতো। যাইহোক দুপুরের খাবার টা ওরা একটু তাড়াতাড়িই সেরে নেয় । তারপর ওরা যায় Borra Caves , এটা একটা Historycall place. এই গুহা আবিস্কারের একটা ইতিহাস আছে ওদের গাইড বিশ্বনাথন আঙ্কেল চলে বলে। গল্প শুনতে শুনতে ওরা গুহার ভেতরে প্রবেশ করে খুব পিচ্ছিল জায়গা , খুব সাবধানে পা ফেলে ফেলে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে , নিচ থেকে একটা সিঁড়ি উঠেছে ওপর দিকে ১২০০ ওপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে একটা কালী মায়ের মূর্তি দেখা যাবে । ১২০০ সিঁড়ির গল্প শুনে দিয়া আর তৃনা পিছিয়ে আসে । ওরা বলে আমরা নিচ থেকেই মাকে প্রনাম করে নিচ্ছে তিনি আমাদের আশির্বাদ করে দেবেন। কিন্তু তিয়াসা , নিশা আর নুপুরের খুব ইচ্ছে উপরে ওঠার । কোনো ভাবেই যখন দিয়া আর তৃনাকে রাজি করানো গেল না তখন ওরা সিদ্ধান্ত নেয় ওরা চার জনেরই যাবে আর ওরা নিচে থাকবে । আসলে ওরা কিছুতেই দল ছুট করতে চাইছে না , কিন্তু ওরা যখন যাবে না বলেছে তখন যাবে না তাই ওরা যেন অন্য কোথাও না চলে যায় এখান থেকে বেড়িয়ে সামনের ক্যাফেতে অপেক্ষা করে। ওরা রাজি হয়ে যায় । ওদের ৬ জনের দলটা ২ জনকে রেখে গুহার মধ্যে সিঁড়ি বেয়ে উঠে পর  কালী মূর্তির কাছে। তবে যতোটা উৎসাহ নিয়ে ওরা উঠতে আরম্ভ করেছিল , কিছুটা উঠার পর সেই উৎসাহ ক্লান্তিতে পরিনত হয় । খাওয়ার পর উঠতে একটু বেশিই কষ্ট হচ্ছে , অহনা তো বলে,-

না আসলেই ভালো হতো ঠাকুর আমার মাথায় থাক, দক্ষিনেশ্বরের কালী মাকে দেখে নিতাম গিয়ে। ক্লান্তি ,‌বিরক্তি, দুঃখ, হাসির ইত্যাদি নিয়েই শেষ শেষ পৌঁছে যায় ওরা । তবে যতোই কষ্ট হোকনা কেন যদি না এখানে আসতো তাহলে সুন্দর এই দৃশ্যটা মিস করে যেত। আর কোনো দিন এখানে আসতে পারবে কিনা জানা নেই তবে একবার যখন এসে পড়েছে তখন কোনো কিছুই ছেড়ে যাওয়া ঠিক না। ঘুরতে যখন এসেছে কষ্ট তো একটু করতেই হবে। যাই হোক  Borra Caves থেকে বেড়িয়ে ওদের গাড়ি ওদের কে  Borra railway station নামিয়ে দিয়ে ওদের বিদায় জানায়, আবার আসার জন্য আমন্ত্রণ জানায় ওরাও ধন্যবাদ দেয় সুন্দর পরিসেবা দেওয়ার জন্য। মেয়েদের দলটা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে , ওর এখান থেকে যাবে বিশাখাপত্তনম । বিশাখাপত্তনম থেকে হাওড়া । ওদের ঘুরে ঘুরি আপাতত এখানেই শেষ টাইম মতো চলে আসে ওরা সিটে উঠে বসে , এটা একটা লোকাল ট্রেন খুব একটা ভির নেই , এটার বেশির ভাগই টুরিষ্ট। ওদের নিয়ে ট্রেনটা পাহাড়ের বুক চিরে চলতে থাকে, ওদের খুব অবাক লাগে , এই ভাবে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে কি ভাবে ট্রেন লাইন তৈরি করেছে। সত্যিই এর জন্য ইংরেজি দের ধন্যবাদ দিতে হয় , পাহাড়ের ভিতর দিয়েও যে মানুষ যেতে পারে ওরা ২০০ বছর আগেই তৈরি করে করে গিয়েছে। তবে এখানে একটা ভাববার বিষয় হলো, যখন এই রেল পথটা তৈরি হয় তখন কিন্তু এতো আধুনিক যন্ত্র পাতি ছিল না । মানুষ হাতে ধরেই এই পাহাড়ের ভেতর রেল পথ তৈরি করেছে। সে তেমন করেই হোক না কেন এক অন্য অভিজ্ঞতা। অনেক জায়গাই  ট্রেন গুহার মধ্য দিয়ে যায় শুনেছি সে ৬-৭ মিনিট হবে, কিন্তু এই পথটা  মিনিট ১০ এর মতো খোলা আকাশ ছিল বলতে গেলে আর  বাকিটাই গুহার ভেতর ।ট্রেন ঠিক সময় ছিল তাই ওরা বিশাখাপত্তনমে পৌঁছে যায় এবং কিছু খাবার কিনে পরবর্তী ট্রেনে উঠে পরে বাড়ি ফেরার জন্য। 

 ওদের এই সফর টা সত্যিই অসাধারণ , বাড়ির লোক মেয়ে বলে ছাড়তে চাইছিল না কিন্তু এখানে এসে তেমন কোনো অসুবিধাই হয়নি। মেয়েদের দেখে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি বরং সবাই খুব ভালো ব্যবহার করেছে হয়তো মেয়ে বলে একটু বেশি সুবিধা পেয়েছে তাকে বলে  মায়াপ্যাথি । তাতে ওদের তো কোন দোষ নেই , ভারতের সমাজ মেয়ে দের যদি অবলা ভাবতে চায় তাতে তো মেয়েদের কোনো হাত নেই তারাও তো নিজেদের সাবলম্বী ভাবতে চায় ।এই সফরে ওরা অনেক কিছু দেখেছে এবং শিখেছেও। অনেক অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরবে ওরা , জীবন ইচ্ছে টা খুব সুন্দর ভাবে কোনো অসুবিধা ছাড়াই সফল করতে পেরেছে ভেবে আরও ভালো লাগছে। একা আনন্দ দায়ক সফর শেষ করেছে,মেয়ে দলটা আজ কোনো পুরুষের সাহায্য ছাড়াই যদিও ওরা এখনো উপার্জন করতে পারেনি তাই টাকাটা বাবার, তা বাদে … অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিয়ে সুস্থ এবং সুন্দর ভাবে ঘুরে বাড়ি ফিরছে ওরা।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract