Ananya Podder

Drama Classics Inspirational

5.0  

Ananya Podder

Drama Classics Inspirational

ভালো থাকার অঙ্গীকার

ভালো থাকার অঙ্গীকার

9 mins
1.2K


আজ পরমার জন্মদিন | কিন্তু বাড়িতে কারোর মনে নেই ওর জন্মদিনের কথা | স্বামী, ছেলে,মেয়ে সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত | মায়ের জন্মদিনটা যে বছরের একটা বিশেষ দিন,, সে খেয়াল কারোর থাকে না | পরমাও অভিমান করে কাউকে বলে না নিজের জন্মদিনের কথা | ডাক্তার স্বামী চিরকালই উদাসীন এ ব্যাপারে | তিনি নিজের জন্মদিনই মনে রাখেন না,, তার উপর আবার স্ত্রীয়ের জন্মদিন | এসব আশা করা তার কাছে বৃথা |


তবু পরমার ভরসা ছিল ছেলে মেয়ে দুটোর উপরে | ওরা যদি কখনো মনে রাখে মায়ের জন্মদিনটা | কিন্তু ছেলে মেয়ে দুটোও হোলো সেই রকম | অথচ, বাড়ির সবার বিশেষ দিনগুলোকে কত যত্ন করে, কত দায়িত্ব নিয়ে পালন করে পরমা | শুধু তার বেলাতেই কারোর সেই দায়িত্বের কথা মনে আসে না |


সকাল বেলায় অনুভাদি রান্নাঘরে ঢুকে পরমাকে জিজ্ঞেস করলো, "আজ রান্না কি হবে বৌদি??"


স্বামী, ছেলে মেয়ে সবাই সকালে খুব তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায় | তাই পরিপাটি খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয় না | কিন্তু রাতে খাবার টেবিলে বসে সবাই যদি ভালো কিছু খায় আজ পরমার জন্মদিনের জন্য,, তাই পরমা প্রশ্ন ছুঁড়লো ছেলে আর মেয়ের দিকে,, "কি রে, আজ রাতে কি খাবি তোরা?? মাংস করিয়ে রাখবো?? "


মায়ের প্রশ্নে পরমার মেয়ে তিলোত্তমা বললো, "না, মা আজ কলেজে আমাদের এক প্রফেসর খাওয়াবেন, উঁনার মেয়ে হয়েছে বলে | তাই রাতে আমি দুধ কর্নফ্লেক্স খেয়ে নেবো | ভারী কিছু খাবো না | "


ছেলে সায়ন বললো, "আমিও আজ অফিসের পরে বন্ধুদের সাথে বেরোবো মা | প্রিপ্ল্যানড আছে সব | হয়তো বাইরেই খেয়ে নেবো | তাই আর আমার জন্যও কিছু কোরোনা | "


এবার উদাসীন ডাক্তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলো পরমা, "আজ রাতে ভালো কিছু খাবে কি??"


পরমার ডাক্তার স্বামী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে তৈরী হতে হতেই বললেন, "কেন?? তোমার বুঝি ভালো কিছু খেতে ইচ্ছে করছে | তাহলে দুপুরেই বানিয়ে নাও না, রাতের অপেক্ষায় থাকছো কেন??"


পরমার দুচোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসছিলো | এরা কারা?? এরা নাকি পরমার আপনজন!! মায়ের একটা সামান্য জন্মদিনের তারিখই যদি মনে না রাখতে পারে, তাহলে মাকে ভালোবাসবে কি করে??


অনুভাদিকে বললো, "আজ পনির করে রেখে দাও | "


অনুভা বললো, "আর কি করবো বৌদি??"


পরমা বিরক্তির সাথে বললো, "যা তোমার মনে আসে, তাই রান্না করে রাখো আজ |"


স্বামী, ছেলে, মেয়ে একে একে কাজে বেরিয়ে গেলে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেসবুক ঘাঁটতে থাকে পরমা | হঠাৎ টুং করে একটা নোটিফিকেশন আসে | খুলে দেখে, কাজরীর একটা পোস্ট, "শুভ জন্মদিন মামনি |"


কাজরীর পোস্টটা দেখে আরও মন খারাপ হয়ে যায় পরমার | যে মেয়েটার সাথে এখনও পাকাপাকিভাবে সম্পর্ক তৈরী হয়নি, সেই মেয়েটাই মনে রাখলো ভাবী শাশুড়ির জন্মদিন | নিজের ছেলে মেয়েই ভুলে গেলো |


পরমা মনে মনে ভাবে, "হয়তো, আমার চেয়ে ওরা অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই আমাকে আর গুরুত্ব দেয় না | ছেলে ইনকাম ট্যাক্স অফিসার, মেয়ে কেমিস্ট্রির প্রফেসর, সেখানে আমি কি,, কত টুকু আমার যোগ্যতা?? সমীরের অসুস্থ মায়ের যত্নে যেন কোনো ত্রুটি না থাকে, তার জন্যই তো সমীর নিয়ে এসেছিলো আমাকে এ সংসারে | সুখ, সমৃদ্ধি, সামাজিক সম্মান সব কিছু পেলেও ছোটো ছোটো সুখ থেকে সারাজীবন বঞ্চিত থাকতে হোলো আমায় | আমাকে ভালো রাখার ইচ্ছেটা, আমার মনকে ভালো রাখার ইচ্ছেটা কারোরই কোনোদিন থাকলো না | তবুও শাশুড়িমা যতদিন বেঁচেছিলেন, ভালোবাসা পেয়েছি আমি | নিজে বিছানা ছেড়ে উঠতে পারতেন না, তবুও অনুভাদিকে বলতেন পায়েস বানাতে | আজ সেই মানুষটাও নেই, আর আমার জন্মদিনও কারোর মনে নেই | "



এসবের মাঝেই কাজরীর ফোন আসে, " হ্যালো মামনি,, কি হোলো তোমার?? অনলাইন আছো, অথচ আমার পোস্টের কোনো জবাব দিলে না তো?? "


ভাবী পুত্রবধূর কাছে নিজের ছেলেমেয়ের নামে কি আর অভিযোগ করবে,, এই ভেবে পরমা বললো, "একটু ব্যস্ত ছিলাম রে | "


কাজরী সোজা প্রশ্ন করে বসলো, "তোমার মন খারাপ,, তাই না মামনি?? সায়ন, তমা, বাপি -- কেউই মনে রাখেনি তোমার জন্মদিনের তারিখটা | তাই কষ্ট পেয়েছো, তাই তো?? "


ভাবী পুত্রবধূর কাছে মনের কষ্ট লুকোতে পারলেও একজন মনোবিদের কাছে বোধহয় নিজেকে লুকানো যায় না | তাই ধরা পড়ে যেতে হোলো কাজরীর কাছে |


পরমা কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো, "আসলে আমি তো ওদের মাঝে খুব বেমানান,, তাই বোধহয় আমার গুরুত্বটা ওদের কাছে এতো কম | আমাকে যে ভালোবাসতে হয়, আমাকে যে ভালো রাখতে হয়,, সে কথা কোনোদিন মনেই আসে না ওদের |"


কাজরী পরমার কথায় হো হো করে হেসে উঠলো | তারপরে বললো, "তোমাকে ভালো রাখার কথা ওদের কেন মনে আসবে মামনি?? তোমাকে ভালো রাখার কথা তো তোমার নিজের | নিজের জীবন, নিজে উপভোগ করো | কেউ এসে তোমাকে ভালো রাখবে,, তবে তুমি ভালো থাকবে মামনি?? এ কেমন কথা বললে তুমি??"


কাজরীর কথায় আর হাসিতে খুব রাগ হোলো পরমার | সে রেগে গিয়ে বললো, " তাই বলে মায়ের জন্মদিনটাও ভুলে যাবে ছেলেময়ে!! কই, আমি তো ভুলিনা কোনো কিছু?? ওদের কখন কি লাগবে, সে তো ওরা মুখ ফুটে বলার আগেই ওদের হাতে পৌঁছে দিই | বিনিময়ে এইটুকু কেয়ার কি আমি আশা করতে পারি না মা হিসেবে?? "


"না, পারো না | "


কাজরীর এমন অকপট জবাবে কেমন থমকে যায় পরমা |



কাজরী বলে চলে, " তোমার ছেলে মেয়েকে তুমি যা করো,, ভালোবেসে করো | সেখানে ফেরতের আশা রাখাটা তোমার ঠিক কাজ নয় | আজ তোমার জন্মদিন কেউ মনে না রাখলো তো বয়েই গেলো,, তুমি তো মনে রেখেছো | সেলিব্রেট করো নিজের জন্মদিন!! "


পরমা বললো, " তা আবার হয় নাকি?? "


কাজরী বললো, "কেন হবে না?? তুমি বেরিয়ে যাও বাইরে কোথাও | সারাদিন ঘুরে ফিরে রাতে বাইরে খেয়ে চলে আসবে | ওরা ফিরলে বলবে, আজ তোমার জন্মদিন, ওরা মনে রাখেনি,, তাই তুমি নিজেই সেলিব্রেট করেছো | "


পরমা বললো, "তাহলে, তু্ই বলতে চাস, ওদের আমার প্রতি এই উদাসীনতা,, এটা কোনো ব্যাপার নয়?? "


কাজরী এবার শান্ত ভাবে বললো, "সায়ন, তমা বা বাপি কেউই তোমার প্রতি উদাসীন নয় | আজকের ব্যস্ততার জীবনে আমাদের সাধারণ জীবনধারাকে আমরা কখনো হয়তো পিছনে ফেলে যাই | ওরা যে তোমার বিষয়ে একটু নজর কম রাখে, তার জন্য কিন্তু তুমিই দায়ী | তুমি যে সংসারে একজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ,, সেটা ওদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা কিন্তু তোমার নিজের |"


পরমা বললো, "হ্যাঁ, সব দায়িত্ব তো আমারই, ওদের কোনো দায়িত্ব নেই |"


কাজরী নরম সুরে বললো, " ওরা যতই বড়ো হয়ে যাক না কেন মামনি, ওরা তো তোমার সন্তান | আর সন্তান ভুল করলে তাকে সঠিকটা তো মায়েরই শিখিয়ে দেওয়ার কথা | তবে মামনি, আগে একটা শিক্ষা তুমি নিজে নাও -- নিজেকে ভালো রাখার শিক্ষা | তুমি যদি নিজেকে ভালো না বাসো, তবে কেউ তোমাকে কোনোদিন গুরুত্ব দেবে না |তুমি বলো তো, এতো গুলো বছরে নিজের জন্মদিনে নিজেকে কটা উপহার দিয়েছো তুমি??"


"একটাও না |" মৃদু স্বরে বললো পরমা |


"তাহলে আর অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ কি?? তোমার নিজের কাছেই যখন নিজের গুরুত্ব কম,, তখন বাকিদের দোষারোপ করে কোনো লাভ হবে না |"



পরমা কাজরীর কথা শুনে বললো, "তাহলে আমি কি করবো বল তো?? "


কাজরী একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো, "সে তো জানিনা | তবে আজ তুমি সারাদিন কেমন কাটালে সেটা কাল আমি জানবো তোমার থেকে |"


ফোনটা রেখে দিয়ে পরমা অনুভব করলো, মনের সেই চাপা দুঃখটা আর তেমন নেই | সত্যিই তো, বাড়ির সবাই তার জন্মদিন ভুলে গেলেও তার এই দিনটা তো আর বেকার যেতে পারে না |


ঘর থেকে বেরিয়ে অনুভাদিকে হাঁক দিলো সে, "অনুভাদি, পনির রান্না হয়ে গেছে??"


অনুভাদির ছোট্ট উত্তর, "এখনও হয়নি বৌদি |"


"তাহলে আর পনির করে লাভ নেই | ফ্রিজে দেখো, চিংড়ি রাখা আছে, বার করে আজ চিংড়ির মালাইকারি বানাও | তার সাথে নবরত্ন ডাল করো আর বড়ো বড়ো সাইজের বেগুনি | আর হ্যাঁ, শেষ পাতে একটু আমের চাটনি বানিও আজ |আমের চাটনি খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার |"


তারপরে স্নান করে বিকাশকে ফোন লাগালো পরমা, "হ্যালো বিকাশ, আজ একটু আসতে পারবে | গাড়িটা নিয়ে বেরোবো আজ |"


বিকাশ পরমার পার্ট টাইম ড্রাইভার | সে পরমার ডাকে সাড়া দিলো |


দুপুরে নিজের পছন্দের সব খাবার দিয়ে ভাত খেলো পরমা | অনুভাদিকেও আজ পাশে বসিয়ে নিয়েছে | তারপরে আলমারি থেকে একটা নতুন চুড়িদার বার করে পড়লো সে | চুড়িদারটা কেনার পরে 'এই আজ পরছি, কাল পরছি ' বলে আর পরা হয়নি | তাই আজকের দিনটাকেই বেছে নিলো পরমা নতুন চুড়িদারটা পরার দিন হিসেবে |


দুপুরের খাওয়ার পরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো সে | সারা বিকেল ধরে খুব করে মার্কেটিং করলো | সবার আগে নিজের জন্য একটা শাড়ী কিনে নিজেই মনে মনে বললো, "আমার আমিকে দিলাম উপহার | জন্মদিন খুব ভালো কাটুক | " তারপরে একে একে স্বামী, ছেলে, মেয়ে সবার জন্যই জিনিস কিনলো | শেষে বাড়ি ফেরার পথে বেশ কিছু পেস্ট্রি, আইসক্রিম, আর রাতের জন্য বিরিয়ানি, মাটন কোর্মা নিয়ে বাড়ি ফিরলো | যদিও সে জানে, রাতে তার ছেলে মেয়ে নাও খেতে পারে | তবুও সে কিনলো সব খাবার সবার জন্যই |



বাড়ি ফিরে এসে দেখলো, সমীর চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরে এসেছে | তমাও ওর নিজের ঘরে বসে টিভি দেখছে | এমনকি সায়নও ফিরে এসেছে বাড়িতে | বারান্দায় দাঁড়িয়ে কার সাথে ফোনে কথা বলছে |


খাবার গুলো রান্নাঘরে আর জামাকাপড়ের প্যাকেটগুলো বিছানার উপরে রেখে হাত মুখ ধুয়ে এসে সমীরের কাছে বসলো | সারা গায়ে লোশন মাখতে মাখতে বললো, "আজ চেম্বার থেকে এতো আগে উঠে এলে যে?? পেশেন্ট কম ছিল বুঝি |"


সমীর জবাব দিলো, "হুম | "


পরমা ছেলে আর মেয়েকে ঘরে ডেকে ওদের জন্য কেনা জিনিসগুলো দেখাতে লাগলো | তমা জিজ্ঞেস করলো, "আজ হঠাৎ এতো কেনাকাটা করলে মা??"


পরমা বললো, "এমনি, ইচ্ছে হোলো, তাই কিনলাম |"


সায়ন বললো, "আজ ভীষণ গরম পড়লেও বাইরে সুন্দর বাতাস বইছে | চলো সবাই মিলে ছাদে যাই | রোজ তো এসির হাওয়া খেয়েই থাকি |"


কথাটা বলে সায়ন ছোটো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ছাদে উঠে যায় | সমীর আর পরমা যায় ওদের পিছু পিছু,, তবে একটু সময়ের পার্থক্যে |


ছাদে এসেই পরমা চমকে যায় | সারা ছাদ আলো, বেলুন আর ষ্টার দিয়ে সাজানো | টেবিলের উপরে রাখা একটা বেশ বড়ো মাপের হোয়াইট ফরেস্ট কেক |


পরমা অবাক হয়,, তবে কি ওরা ভোলেনি কিছুই?? সকাল থেকে শুধু শুধুই মনে কষ্ট পাচ্ছিলো সে | কেক কাটার পরে তমা আর অনুভাদি মিলে প্লেট সাজালো | কেকের সাথে তান্দুরি চিকেন,, সায়নের নিজের হাতে বানানো | "অফিস থেকে ফিরে একটুও বিশ্রাম নেয়নি সায়নবাবা , জানো বৌদি!!", হাসতে হাসতে বললো অনুভাদি |


পরমার চোখে জল | এখনও তাহলে সংসারে তার দাম ফুরোয়নি!!


এমন সময় কাজরীর ভিডিও কল, "কি মামনি, কেমন কাটলো তোমার জন্মদিন?? "



পরমা হেসে বলল, "ওরে দুস্টু,, তু্ই বুঝি ওদের সব বলেছিস??"


পাশ থেকে তমা বলে ওঠে, "কাজরী আমাদের মনে করিয়ে দিতে যাবে কেন?? এই ভুলে যাবার প্ল্যানটা তো ওরই ছিল!! "


পরমা খুব অবাক হোলো এমন কথা শুনে |


কাজরী বললো, "এটুকু অভিনয় না করলে যে, তুমি নিজে নিজের জন্মদিনটা সেলিব্রেট করতে পারতে না মামনি | ওরা সবাই এতো ব্যস্ত,, হতেই পারে, ভুলে গেলো একবার | আমিও তো ভুলে যাই মাঝে মাঝে আমার বাবা মাকে কিছু সুখের মুহূর্ত দিতে | তাই বলে কি আমার বাবা মাকে আমি ভালোবাসি না?? সায়ন, তমা সবসময় আতঙ্কে থাকে, এই বুঝি ওদের কোনো কাজে তুমি নিজেকে ছোটো মনে করে ফেলো | মনের মধ্যে দ্বিধা নিয়ে কি ভালো থাকা যায় মামনি ?? তাই এই দুস্টুমিটুকু করে তোমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম,, নিজেকে ভালো রাখার অঙ্গীকার নিজেকেই করতে হয় |"


তমা বললো, "তু্ই এলি না কেন?? ভিডিও কলে কথা বলছিস | "


"আজ প্রচুর পেসেন্ট চেম্বারে | তাই আজ না, কাল যাবো | তোরা আজ সেলিব্রেট কর মামনির জন্মদিন, আমি কাল গিয়ে বাসি জন্মদিন পালন করবো | মামনি, আমার ভাগের কেক আর খাবার রেখে দিও কিন্তু |"


কাজরী ফোন রেখে দিলে ওরা চারজন ছাদে বসে গল্পে মেতে ওঠে | পরমা মনে মনে ভাবে, "দিনের শুরুটাই সব কিছু নয়,, দিনের শেষটার জন্যও অপেক্ষা করতে হয় কখনো সখনো | সত্যিই, আজ জন্মদিনে আমার পরম প্রাপ্তি, নিজেকে ভালো রাখার, নিজেকে ভালো বাসার অঙ্গীকার | এই অঙ্গীকারটুকু বাকি জীবন ধরে করে যাবো নিজের কাছে |"


---------------------------------------------------------------


সমাপ্ত




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama