Suparna Chakraborty

Tragedy Inspirational

4.5  

Suparna Chakraborty

Tragedy Inspirational

চিরদিনের বান্ধবী

চিরদিনের বান্ধবী

2 mins
334


ঝরনা ও জুলি দুই বান্ধবী।


ঝর্ণার বাবা নিমাই বাবু র বিরাট ব্যবসা বলতে গেলে কোটিপতি। ঝরনার মা মিনা দেবী হাউজ ওয়াইফ।


জুলি সেন ঝরনার বান্ধবী একেবারে প্রিয় বান্ধবী।

জুলি সেন এর বাবা বিমান সেন মা রানী দেবী।

বাবা বিমান সেন একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করে।

ভাই রাজু সেন ক্লাস নাইনে পড়ে। পড়াশোনায় বেশ ভালো।


ঝরনা আর জুলি একসাথে স্কুলে যায় একসাথে প্রাইভেট পড়তে যায় একসাথে টিফিন খায় ভালো মন্দ কথা ওরা একসঙ্গে শেয়ার করে।

ওরা দুজনে একসাথে পার্কে ঘুরতে যায় একসাথে সিনেমা যায়।

ঝরনা আর জুলির দুটো পুতুল ছিল একটা ছেলের পুতুল আর একটা মেয়ে পুতুল ওরা দুই পুতুলের বিয়ে দিয়েছিল খাওয়া-দাওয়া বন্দোবস্ত করেছিল।

বলতে গেলে ওদের বন্ধুত্ব চির স্মরণীয়।

এইরকম দেখা যায় না বাস্তবে একেবারে মনে হয় যেন এক মায়ের পেটে দুই বোন।

শুধু তাই নয় স্কুলে যখন সরস্বতী পুজো হয় ওরা দুজনে এক রকম শাড়ি পড়ে।


সরস্বতী পূজায় একসাথে অঞ্জলি দেওয়া ফুল তুলতে যাওয়া ঠাকুরের সমস্ত কাজকর্ম করা অঞ্জলি দেওয়া প্রসাদ বিতরণ করা।


এই বছরের ওদের মাধ্যমিক পরীক্ষা খুব পড়াশোনা করছে দুই বান্ধবী।


জুলি ভীষণ ভালো রেজাল্ট করেছে।

ঝর্ণা ভালো রেজাল্ট করেছে।


জুলি সাইন্স নিয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছে সঙ্গে ঝর নাও যাচ্ছে।


বড় রাস্তা পেরিয়ে গিয়ে একটা লড়িএসে জুলিকে ধাক্কা মারতে স্পট ডেট।

জুলিভর্তি হলো না ঝরনা আর ভর্তি হলো না।


জুলি একেবারে পৃথিবী থেকে চলেই গেল।

জুলিদের বাড়িতে শোকের বন্যা বয়ে গেল এমনকি ঝর্ণাদের বাড়িতে শোকের বন্যা বয়ে গেল।

খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেল।

রান্না বন্ধ হয়ে গেল।


ঝর্ণা সব জায়গায় জুলিকে দেখতে পেল।

এমনকি ঝর্ণা দেখতে পাচ্ছে জুলিওর পাশে শুয়ে আছে।

স্কুলে গেলে পাশাপাশি যাচ্ছে।

ঘরের মধ্যে অলটাইম ঘোরাফেরা করছে।

ঝর্না খুব কান্নাকাটি করছে।

ওদিকে জুলির মা বাবা ভাই সবাই খুব কান্নাকাটি করছে।


জুলি ওর মাকে স্বপ্ন দেখালো তোমরা আমার জন্য কান্নাকাটি করোনা, আবার পরজনমে তোমার মেয়ে হয়ে আসবো।


জুলিঝরনা কে স্বপ্ন দেখালো" কাদিস না আমি আবার পরজনমে তোর বান্ধবী হয়ে আসবো।"


এক্সিডেন্টে মৃত্যু বলে প্রেতশিলাই গিয়ে জুলির বাবা মা পিন্ডদান করে এলো।


বেশ কয়েক বছর পর ঝর্ণার বিয়ে ঠিক হলো

বিয়ের দিনের সমস্ত খাবার জুলির ফটোর সামনে সাজিয়ে দিল ঝরনা।

ঝরনা যখন খাবার সাজাচ্ছিল তখন জুলির সাথে কথা বলছিল।

সত্যি !সত্যি !কথা বলছিল।

ঝর্ণা তখন খুব কাঁদছিল।


তোমাদের ঝর্ণা আর জুলির বন্ধুত্ব কেমন লাগলো?


আমার খুব খুব ভালো লেগেছে।


এইরকমই বান্ধবী হওয়া দরকার।



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy