Suparna Chakraborty

Abstract

4.5  

Suparna Chakraborty

Abstract

//বিচ্ছেদ প্রেম//ভূতের গল্প /

//বিচ্ছেদ প্রেম//ভূতের গল্প /

3 mins
448


সালটা ছিলে ২০১২। ববিতা টেস্ট অ্যালাও হল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলো না। জনি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল। খুব ভালো রেজাল্ট করলো। ববিতা জনির বাড়িতে চলে এলো। আমাকে এক্ষুনি বিয়ে করতে হবে না হলে আমি গলায় দড়ি দেবো। জনি ববিতা কে বিয়ে করে ফেলল। ববিতার মা দিদি ঝাঁটা, জুতো ,লাঠি দিয়ে পেটালো। আবার চুলের মুঠি ধরে টানলো, গুমগুম করে কিল মারলো। তারপর ওরা বাড়ি চলে গেল। ববিটাকে দেখতে শুনতে খুবই ভালো। ওর দাদা কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। ওর দিদির বিয়ে হয়ে গেছে ছোট্ট একটা মেয়ে। বাবা মারা গেছে, মা আছে। ববিতাকে নিয়ে ওর মার, দাদার খুব আশা। খুব ভালো ছেলের সাথে ওর বিয়ে ঠিক করে রেখেছিল। বড় ব্যবসায়ী পয়সাওয়ালা ছেলে। বম্বে থাকে ওর ওদের পার্টি ঘর। ছেলেটার মা আছে বাবা নেই অর্থাৎ বাবা মারা গেছে। ছোট্ট সংসার। ছেলেটা সোনার কারিগর। এছাড়া বোম্বেতে ওর দোকান আছে। সঙ্গে আছে হীরের ব্যবসা। জনির বাবা কাজ, করে মা কাজ। জনি নিজেও কাজ করে। কলকাতায় একটা কাপড়ের দোকানে। মালিক মাড়ওয়ারী। জনি কি দিয়ে প্রচুর খাটায়। যাইহোক ওদের দিন খুব ভালোই যাচ্ছিল। সুখে শান্তিতে ,।আনন্দ করে কাটছিল। ওর এক ননদ ছিল সারাক্ষণ পাহারা দিত। কোথায় যায় কার সাথে কথা বলে? ওদের বাড়ির নামে নিন্দা করে কিনা এইসব শুনতো। ও কিন্তু ভাবতেও পারিনি যে পালিয়ে সে এত কষ্ট ভোগ করবে। যাই হোক ও সকাল পাঁচটার সময় ওঠে বাসন মাজা ঘর মোছা রান্না করা জামাকাপড় গোছানো কাচাকাচি সমস্ত কাজ করতো। ছোট থেকে কাজকর্মে পটু। পড়াশোনায় মোটামুটি। যাই হোক একদিন সন্ধ্যেবেলায় কাছ থেকে ফিরে জনির সাথে ববিতার একটু কথা কাটাকাটি হয়। জনতা চোখ বুজেছে একটু তন্দ্রা মত এসেছে ফট করে ববিতা ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়েছে। এত জেদ অভিমান রাগ ছিল। মেয়েদের এত জেদ ভালো না, এত রাগ ভালো না। জনি ঘুমটা ভাঙতেই দেখছে ববিতা ফ্যানের ঝুলে আছে। চিৎকার করে সবাইকে ডাকতে সবাই ছুটে এলো। দড়ি কেটে জনি নামালো। ততক্ষণে ববিতা শেষ। ডাক্তার দিকে আনল ডাক্তার রিপোর্ট দিল শেষ। আর কিছু করা যাবে না। এর পরের দিন জনি রাত্রিবেলা ঘুমাচ্ছে দেখছে পাশে ববিতা শুয়ে আছে। পাড়ার সব মানুষ ভয় পাচ্ছে। কি যেন সাদা কাপড় পড়ে হেঁটে যাচ্ছ বাড়ির সামনে দিয়ে। আবার অনেকে দেখছে ভোরবেলা উঠে কেউ কে যেন উঠান ঝাট দিচ্ছে বাসন মাজছে রান্না করছে। এই সমস্ত দিনের পর দিন হতেই চলেছে। পাশের বাড়ির একজন লাস্ট ট্রেনে কাছ থেকে বাড়ি ফিরছে দেখছে ওদের গেটে সাদা কাপড় পরে ঘোমটা দিকে দাঁড়িয়ে আছে। ভয় পেয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেছে। ওই বাড়িতে কেউ থাকতেই পারছে না। রাত তিনটের সময় বাথরুমে কেউ কল খুলে রেখেছে। আবার দেখছে ভোর পাঁচটার সময় রান্না ঘরে কে যেন বাসন মাজছে। উঠে যেতেই দেখছে কে যেন সরে গেল। রান্নাঘর জলে ভিজে আছে। সন্ধ্যাবেলায় জনি কাজ থেকে ফিরে ঘরে ঢুকতে দেখছে ঘোমটা দিয়ে খাটের মধ্যে কে বসে আছে? চিৎকার। কেউ নেই সরে গেল। দুপুর বেলা জনির বোন ডলি জামা কাপড় নিয়ে ছাদে মেলতে যাচ্ছে। সেটাকে এক ধাক্কা দিয়ে ফেলেছে পড়ে মাথা ফেটে রক্তারক্তি। ডলি চিৎকার করে কাঁদতে থাকে। ওর মার ছুটে আসে তারপর ওকে হসপিটালে নিয়ে যায়। ডলির এমন অবস্থা হয়েছিল ওকে আইসিইউতে রেখেছিল। পাড়া প্রতিবেশী সবাইকে বলতে লাগলো এই ঘরে পূজো কর যাগ যজ্ঞ করো প্রেতশিলাগিয়ে পিন্ডদান করে আসো নয়তো এই ঘরে থাকতে পারবেনা জনি পিন্ডদান করে এলো। পিন্ডদান করলেই কি সব মিটে যায়। ববিতা বুক ভরা আশা ভালবাসা নিয়েই তো জনির কাছে চলে এসেছিল। ওর আত্মা সহজে যাচ্ছিল না। জানিনা বাড়িতে পুজো করলো। জনি আবার বিয়ে করেছে ওর একটা ছেলে আছে। পৃথিবী থেকে যে যায় সে আর আসে না। তবে আত্মা অবিনশ্বর। সে বারে বারে দুঃখ দিয়ে পৃথিবীতে আসে নিজেদের লোকদের সাথে দেখা করার জন্য।। এবার বল গল্পটা কেমন লাগলো?



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract