/প্রেম পূজা/
/প্রেম পূজা/
নানু আর রাজু দুজনা ঠিক করল মুর্শিদাবাদে এক রাজবাড়ি বুক করে বিয়ে করবে।
রাজু বসু সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
নানু একটা কলেজে বাংলা পড়ায়।পুরো রাজবাড়ীটা ফুল আর আলোর মালা দিয়ে সাজানো হলো।রাজুর বন্ধুবান্ধবরা সব চলে গেল রাজবাড়িতে।
পুরো রাজবাড়ীটা আলোর মালায় সেজে উঠেছে।দারুন লাগছে একেবারে ফাটাফাটি।ইউনিক। ওরা এবার রাজা রানীর মত বিয়ে করবে এক দিক দিয়ে পালকি আরেকদিকে ঘোড়া।
নানু রাজবাড়ীতে বিয়ের একদিন আগে চলে গেল
রাজু নানুকে বলল আমি ঠিক সময় পৌঁছে যাব চিন্তা করিস না আমার জন্য।
ওরা হানিমুনে যাবে মালদ্বীপ।
সব ঠিকঠাক হয়ে আছে।
বিয়ের দিনে নানু লাল টকটকে বেনারসি পড়ে
ছে।
একগা গহনা সাবেকি। এই সমস্ত গয়না সব ওর মার।
ওর দিদিমা ওর মাকে দিয়েছিল।
নানুকে আজকে দারুন লাগছে।
একেবারে ক্লাসিক সুন্দরী।
এদিকে বিয়ের লগ্ন এগিয়ে আসছে রাজু আসতে দেরি করছে।
নানু সমানে ফোন করছে।
রাজু গাড়ি চালিয়ে আসছে
রাজু বলছে চিন্তা করিস না আমি আর আধ ঘন্টার মধ্যে ঠিক পৌঁছে যাব।
রাজু খুব স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে।
রাস্তার উল্টো দিক থেকে এসে একটা বড় লরি রাজুর গাড়িটায় ধাক্কা দিল
রাজুর মাথা থেঁতলে গেল একদম রাজুকে চেনা যাচ্ছিল না।
রাস্তার পথচারীরা সবাই মিলে রাজুকে ধরাধরি করে
ফোন নাম্বার জোগাড় করে ফোন করলো
রাজু বিয়ে-সাজেই গাড়ি চালাচ্ছিল।
পথচারীদের মধ্যে এক মহিলা নানুকে ফোন করে সব বিস্তারিত জানালো।
নানু চিৎকার করে হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলো।
রাজুর বডিটা বরবেশের বদলে শব্ বেশে
রাজ বাড়িতে গেল।
তারপর নানু রাজুর বডিটাকে সুন্দর করে সাজালো ফুল চন্দন দিয়ে।
এক কৌটো সিঁদুর নিয়ে রাজুর হাত দিয়ে ওর সিঁথিতে পড়িয়ে দিল।
নানু পাথরের মূর্তির মতোই সমস্ত কাজ করলো।
তারপর বল হরি ,বল হরি ,বলে রাজুর বডিটা নিয়ে ওরা চলে গেল। চিরকালের মতো।
যেখানে একবার চলে গেলে আর কেউ আসে না।
এখন নানু একটা সাদা থান পড়ে থাকে।
আর সারাক্ষণ একটা গান শুনে
"সে চলে গেল বলে গেল না"
নানুর মা বাবা সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে।
নানু মাছ-মাংসের ছোঁয়না।
আজ নানুর ঠিকানা দার্জিলিং এসাইলাম।